মঙ্গলবার ● ২১ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » অর্থমন্ত্রীর কাছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বাজেট প্রস্তাব পেশ
অর্থমন্ত্রীর কাছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বাজেট প্রস্তাব পেশ
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে ২০১৯-২০ মেয়াদের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি-সংশ্লিষ্ট বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে অনুষ্ঠিত সভায় বিস্তারিত আলোচনায় এসব প্রস্তাব পেশ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) মহাপরিচালক মো. আলী নূর, বেসিসের সহসভাপতি (প্রশাসন) শোয়েব আহমেদ এবং সহসভাপতি (অর্থ) মুশফিকুর রহমান।
অর্থমন্ত্রীর কাছে দেশীয় প্রকল্পে অংশগ্রহণের জন্য পিপিআর টেমপ্লেটে দেশীয় প্রতিষ্ঠানবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। পাশাপাশি ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতার দিকগুলো তুলে ধরা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বেসিস।
বাজেট প্রস্তাবনার মূল দিকগুলো ছিল কারিগরি সহযোগিতা প্রকল্পের জন্য ৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দ দেওয়া। যাতে অন্য অনুন্নত দেশে বাংলাদেশি সফটওয়্যার সেবা দিয়ে স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের সক্ষমতা বাড়ানো যায়। তুলনামূলক অনুন্নত দেশগুলোর তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশ কারিগরি সহযোগিতা দেবে এই শর্তে যে অনুদান পাওয়া দেশগুলো বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। পাশাপাশি সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে পৃথকভাবে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প উন্নয়ন তহবিল বাবদ ২০০ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়।
পাশাপাশি কর অব্যাহতি সনদ প্রদান সহজ করার প্রসঙ্গ তোলা হয়। জটিলতা নিরসনে বেসিস যাতে আয়কর অব্যাহতি সনদ প্রদান করতে পারে, সে বিষয়টিও তুলে ধরা হয়। কোনো প্রতিষ্ঠান যদি তাদের তথ্যপ্রযুক্তিকর্মীদের বৃত্তি দিয়ে বিদেশে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য পাঠায়, তাহলে তাদের বৃত্তি বা প্রশিক্ষণ ফি বাবদ খরচ করা অর্থের ওপর আয়কর ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়।
অর্থমন্ত্রী বৈঠকে উপস্থিত সিপিটিইউর মহাপরিচালককে জানান, এখন থেকে শুধু তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য পিপিআর টেমপ্লেটে দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর অগ্রাধিকার নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো বাস্তবায়ন করবে বলে নির্দেশ দেন তিনি।