আইপিভি৬ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতি বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশ ঢাকা চ্যাপ্টারের আয়োজনে ৬ জুন ২০১২ বিশ্ব আইপিভি৬ দিবসে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আইপিভি৬ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতি বিষয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
‘বিশ্ব আইপিভি৬ দিবস: আমরা কি প্রস্তুত?’ শীর্ষক প্ল্যানারী সেশনে আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির উপাচার্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান, আইএসপি এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের সহ-সভাপতি সুমন আহমেদ সাবির। ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশ ঢাকা চ্যাপ্টারের সভাপতি ড. সৈয়দ ফয়সাল হাসানের সঞ্চালনায় আলোচনায় আরো অংশগ্রহন করেন আইপিভি৬ ফোরাম বাংলাদেশের সভাপতি এস এম আলতাফ হোসেইন এবং কিউবি বাংলাদেশের হেড অফ কোর আইপি এন্ড ট্রান্সমিশান মির্জা তানভির ইসলাম।হাসানুল হক ইনু তাঁর বক্তব্যে বলেন, এই উপমহাদেশে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের পরমাণু শক্তি কমিশনের ঢাকা কেন্দ্রে কম্পিউটার স্থাপন করা হলেও আজ আমরা ভারতের তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছি। ইতিমধ্যেই ভারত সফটওয়্যার এবং চীন হার্ডওয়্যার শিল্পে শক্ত অবস্থান করে নিয়েছে। কিন্তু আমাদের অবস্থান মোটেই সন্তোষজনক নয়। তবে আশার কথা বর্তমান সরকার এ বিষয়ে অন্তত সকলের মধ্যে একটা সচেতনতা গড়ে তোলার উদ্যেগ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, আজকে থেকে সরা পৃথিবীতে আইপিভি৬ অফিশিয়ালি কার্যক্রম শুরু করলো। আমাদের দেশেও আমরা সরকারিভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে নতুন নিয়ে আসা সকল নেটওয়ার্ক পণ্য যেন আইপিভি৬ কমপ্লাই করে। এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। প্রযুক্তি বিশ্বের সকল পরিবর্তনের সাথে আমাদেরকে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। তিনি বলেন, সকলের জন্য বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকে মৌলিক অধিকারের আওতায় আনতে সাংবিধানে অন্তর্ভুক্তির চেষ্টা চলচ্ছেন তিনি। আর এই কারণে শূন্য মূল্যে ব্যান্ডউইথ কানেকশন প্রদান এবং মডেম আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদানের জন্য অর্থমন্ত্রণালয়ের প্রতি আহবান জানান তিনি। ইন্টারনেটের ব্যবহারের উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাটের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার কেন এই ভ্যাট প্রত্যাহার করে না সে বিষয়টা আমাদের বোধগম্য হয় না।
ড. এম লুৎফর রহমান কেন আমাদেরকে আইপিভি৬ ভার্সনে যেতে সে বিষয়ে মতামত প্রদান করেন এবং সুমন আহমেদ সাবির বেসরকারি পর্যায়ে আমাদের প্রস্তুতির বিষয়টি সবার সামনে তুলে ধরেন।
প্ল্যানারী সেশনের পর ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশ ঢাকা চ্যাপ্টারের সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়।