সোমবার ● ১৩ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » কেন ভাঁজযোগ্য স্মার্টফোন নিয়ে এতো বেশি আলোচনা
কেন ভাঁজযোগ্য স্মার্টফোন নিয়ে এতো বেশি আলোচনা
প্রযুক্তি নিয়ত পরিবর্তনশীল। বিশেষ করে মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে এ পরিবর্তন যেন খুব বেশিই চোখে পড়ে। বিভিন্ন রঙয়ের বিভিন্ন মডেলের ফিচার ফোন থেকে শুরু করে হরেক রকমের স্মার্টফোনে কেঁপেছে দুনিয়া। আর এখন সবকিছুকে ছাড়িয়ে আলোচনায় এসেছে ভাঁজযোগ্য (ফোল্ডেবল) স্মার্টফোন।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কী এই ভাঁজযোগ্য স্মার্টফোন আর কেনই বা এটা নিয়ে এতো আলোচনা। প্রযুক্তি সবসময়ই মানুষকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়। দেয় নতুন অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ। ভাঁজযোগ্য স্মার্টফোন প্রযুক্তির তেমনই এক উদ্ভাবন যা গ্রাহকদের সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা দেবে।
এ ধরনের স্মার্টফোন সহজেই ভাঁজ করে ফেলা যাবে যেমনটি আপনি ল্যাপটপের ক্ষেত্রে করে থাকেন। অর্থাৎ ভাঁজ খোলা অবস্থায় এটা আকারে অনেক বড় হবে। তখন ডিভাইসটিকে ট্যাবলেটের মতো দেখা যাবে। আর ভাঁজ করা অবস্থায় এটা দেখাবে সুন্দর একটি স্মার্টফোনের মতো।
ভাঁজযোগ্য স্মার্টফোন উৎপাদনের ঘোষণা আসে গত ফেব্রুয়ারিতে। তখন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্যামসাং জানায়, ভাঁজযোগ্য স্মার্টফোন নিয়ে কাজ শুরু করেছে তারা। ২০১৯ সালেই এটি বাজারে ছাড়া হবে।
স্যামসাংয়ের এই ঘোষণার কয়েকদিনের মধ্যেই ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে ভাঁজযোগ্য স্মার্টফোন আনার ঘোষণা দেয় হুয়াওয়ে। এ সময় তারা ‘মেট এক্স’ নামের ভাঁজযোগ্য স্মার্টফোন উন্মোচন করে। হুয়াওয়ের এই ফোনটি কিনতে গ্রাহকদের প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয় করতে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মটোরোলার ভাঁজযোগ্য ফোন
স্যামসাং এবং হুয়াওয়ের পর আরও বেশকিছু প্রতিষ্ঠান তাদের নিজ নিজ ভাঁজযোগ্য স্মার্টফোন প্রদর্শন করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠান হলো, শাওমি, মটোরোলা, অপো ইত্যাদি। ধারণা করা হচ্ছে, সবগুলো প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে ভাঁজযোগ্য স্মার্টফোন সরবরাহ শুরু করলে দাম কিছুটা কমবে। আর তখনই হয়তো সব গ্রাহকের নাগালে আসবে আধুনিক প্রযুক্তি এই স্মার্টফোনগুলো।
ভাঁজযোগ্য স্মার্টফোনের বিশেষ কিছু সুবিধার জন্য গ্রাহকরা এর প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। তেমনই কিছু সুবিধার মধ্যে অন্যতম একটি হলো বড় স্ক্রিন (পর্দা)। বর্তমান গ্রাহকরা বড় স্ক্রিন বেশ পছন্দ করেন। এ ধরনের স্ক্রিনে বিভিন্ন কাজ আরামদায়কভাবে করা যায়। এছাড়া নাটক-সিনেমা দেখতেও সুবিধা।
আরেকটি আকর্ষণীয় সুবিধা হলো এটা দিয়ে অনেক কাজ একসঙ্গে করা সম্ভব। সাধারণ স্মার্টফোনে একটির বেশি কাজ করা যায় না। অবশ্য কিছু স্মার্টফোন বর্তমানে দুই-তিনটি কাজ একসঙ্গে করার সুযোগ দিচ্ছে। তবে ভাঁজযোগ্য স্মার্টফোন দিয়ে বেশকিছু কাজ একসঙ্গে করা সম্ভব হবে। আধুনিক এই যুগে গ্রাহকদের জন্য এটা খুবই প্রয়োজনীয়। আর এ কারণেই ভাঁজযোগ্য স্মার্টফোন নিয়ে এতো বেশি আলোচনা হচ্ছে।
এ ধরনের স্মার্টফোন সর্বশেষ প্রযুক্তির। ফলে এতে দারুণ সব ফিচার সংযুক্ত করা হবে। ভাঁজযোগ্য স্মার্টফোনে একাধিক ডিসপ্লে থাকায় একই গেম দুজন একসঙ্গে প্রতিযোগী হিসেবে খেলা যাবে। আগে এমন গেম খেলতে হতো আলাদা দুটি ডিভাইস দিয়ে। কিন্তু এখন আর আলাদা ডিভাইস লাগবে না। দু’জন একসঙ্গে বসে মন চাইলেই প্রতিযোগী হিসেবে গেম শুরু করতে পারবেন।