সর্বশেষ সংবাদ
ঢাকা, নভেম্বর ১৫, ২০২৪, ১ অগ্রহায়ন ১৪৩১
ICT NEWS (আইসিটি নিউজ) | Online Newspaper of Bangladesh |
রবিবার ● ১২ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » আইসিটি শিল্প ও বানিজ্য » দুই বছরেও চূড়ান্ত হয়নি ইন্টারনেট সেবার মূল্য
প্রথম পাতা » আইসিটি শিল্প ও বানিজ্য » দুই বছরেও চূড়ান্ত হয়নি ইন্টারনেট সেবার মূল্য
৬৯১ বার পঠিত
রবিবার ● ১২ মে ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

দুই বছরেও চূড়ান্ত হয়নি ইন্টারনেট সেবার মূল্য

---
অপারেটররা অধিক চার্জ আদায় করছে বলে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার মূল্য নির্ধারণে ২০১৭ সালে ডাটা কস্ট মডেলিংয়ের উদ্যোগ নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। দুই বছর আগে নেয়া এ উদ্যোগের ফলাফল এখনো দৃশ্যমান হয়নি। এর আগে ২০১৩ সালে নেয়া উদ্যোগও আলোর মুখ দেখেনি। তাই কর্তৃপক্ষের বাড়তি সতর্কতা প্রত্যাশিত ছিল, যার অনুপস্থিতি লক্ষণীয়। বাংলাদেশে মুঠোফোন ইন্টারনেট গ্রাহকদের সবচেয়ে বড় অভিযোগ মূল্য নিয়ে।

তবে অপারেটরদের মতে, উচ্চকর, মধ্যবর্তী সেবার উচ্চমূল্য ও ব্যয়বহুল তরঙ্গের মতো বিষয়গুলো ইন্টারনেটের মূল্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এমন পরিস্থিতিতে সঠিক চিত্র পেতে কস্ট মডেলিং একটি স্বতঃসিদ্ধ পদ্ধতি। এর আগে এ মডেল ব্যবহার করে ভয়েস কলের মূল্য নির্ধারণ করেছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা। প্রশ্ন হলো ডাটা কস্ট মডেলিংয়ের ওপর নির্ভর করে মূল্য নির্ধারণে দীর্ঘ সময় ব্যয় হওয়া নিয়ে। গতকাল বণিক বার্তায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, এরই মধ্যে বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদন হাতে পেলেও সেবাটির মূল্য নির্ধারণে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

এক্ষেত্রে সময়ক্ষেপণ ইন্টারনেট বিকাশে প্রতিবন্ধক হিসেবেই কাজ করবে। যদি কস্ট মডেলিং অনুসারে মূল্যহ্রাসের পরামর্শ আসে, তবে তা বাস্তবায়নে সরকারকে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। মূল্য কমলেও সেবার মান উন্নত হবে কিনা, সে চ্যালেঞ্জ কিন্তু থেকে যাবে। কারণ মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গেলে নানা সমস্যা উপস্থিত হয়। মুঠোফোনের মধ্যে ইন্টারনেট ডাটা ব্যবহার করতে গেলে যে গতি পাওয়া যায়, তা সন্তোষজনক নয়। ইন্টারনেটের গতি কেবল ধীরই নয়, হঠাৎ ইন্টারনেটের সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সংকটের সমাধানও নিশ্চিত করতে হবে।

সর্বাধিক ব্যবহারকারীর অধিকার রক্ষার স্বার্থে কস্ট মডেলিং সম্পন্ন করার বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। আমরা যখন ইন্টারনেট ব্যবহারের দিক থেকে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে এমনকি ভারতের থেকে বেশ এগিয়ে থাকার জন্য আত্মপ্রসাদ লাভ করছি, তখন ভারত তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বছরে লাখ লাখ লোকের নতুন কর্মসংস্থান করছে এবং শত বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আয় করছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সব ধরনের সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে আয় এখনো বিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে পারেনি। যদিও সরকার ও উদ্যোক্তারা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারের রফতানি বা রেমিট্যান্স আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন মোটেও কঠিন বিষয় নয়। সেক্ষেত্রে যেসব বিষয়ের প্রতি নজর দেয়া আবশ্যক, তার মধ্যে ইন্টারনেটের গতি ও সেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রান্তিক পর্যায়ে দাম কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে। গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্য কমিয়ে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করাই সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিএসসিসিএল, বিটিআরসিসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মূল লক্ষ্য হওয়া বাঞ্ছনীয়।

মূল্যহ্রাসের পাশাপাশি সরকারকে সেলফোনে দ্রুতগতির ইন্টারনেটের ওপর নজর দিতে হবে। প্রযুক্তির প্রাণ ইন্টারনেটকে স্বচ্ছন্দে চলতে দিতে হলে এর মূল্যের ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে। সর্বক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশন করতে হলে এটা অচিরেই কার্যকর করতে হবে।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
বাংলালিংক ও ভিভোর অংশীদারিত্ব
আইএসডিবি-বিআইএসইডব্লিউ আইটি স্কলারশিপ প্রোগ্রামের ৬৫তম রাউন্ডের আবেদন আহ্বান
প্রতিবন্ধী গ্রাহকদের সেবা প্রদানে রবি’র বিশেষ উদ্যোগ
‘ভিসা পেমেন্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪’ জিতলো বিকাশ
দারাজ ১১.১১: প্রথম ২৪ ঘণ্টায় কেনাকাটার উচ্ছ্বাস
চীন ভিত্তিক সাইবার হামলা নিয়ে সফোসের প্রতিবেদন ‘প্যাসিফিক রিম’
বাজারে ব্রাদার এর নতুন প্রিন্টার টোনার
বিকাশ অ্যাপে ঢাকা ব্যাংকের ইসলামিক ডিপিএস সেবা
যুগপূর্তিতে কাজের স্বীকৃতি পেলো কেয়ারটিউটরসের কর্মীরা
সিটিআইটি মেলায় আসুস ল্যাপটপে বিশেষ অফার