সোমবার ● ৬ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » আইসিটি শিল্প ও বানিজ্য » রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প-কারখানায় স্বচ্ছতা আনতে সফটওয়্যার অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম চালুর তাগিদ
রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প-কারখানায় স্বচ্ছতা আনতে সফটওয়্যার অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম চালুর তাগিদ
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চিনিকল, সার-কারখানাসহ অন্যান্য পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো লাভজনক করতে এগুলোর ব্যবস্থাপনা ও বিপণন দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের আংশিক মালিকানাধীন বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহীরা। কারখানাগুলোর আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনতে বাধ্যতামূলকভাবে সফটওয়্যার অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম চালুর তাগিদ দেন তারা।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আংশিক মালিকানাধীন বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে মন্ত্রণালয় মনোনীত পরিচালকদের পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যে গতকাল শিল্প মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সভায় এসব পরামর্শ দেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পরাগের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) হাবিবুল্লাহ মঞ্জু, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের (বিটিএবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনিম, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেদার লেলেসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব সংস্থা ও করপোরেশনের প্রধান।
সভায় ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি বাংলাদেশ (বিটিএবি) এবং কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) পক্ষ থেকে পৃথকভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনা, বিপণন কৌশল, হিসাব সংরক্ষণ পদ্ধতি, জনবলের প্রশিক্ষণ এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কার্যক্রম নিয়ে পৃথকভাবে তিনটি উপস্থাপনা তুলে ধরা হয়।এর ওপর ভিত্তি করে রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানাগুলোর উন্নয়নে কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে, সে বিষয়ে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
মুক্ত আলোচনায় প্রতিষ্ঠান তিনটির কর্মকর্তারা রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প-কারখানার উন্নয়নে ব্যবস্থাপনা ও বিপণন দক্ষতা বাড়ানোর তাগিদ দেন। একই সঙ্গে তারা এসব কারখানার জনবলের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণ, আর্থিক স্বচ্ছতা ও হিসাব ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে খাতভিত্তিক কোর কমিটি গঠনের পরামর্শ দেন। তারা কোম্পানি ব্যবস্থাপনা বোর্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত সদস্যদের প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে আরো নিবিড়ভাবে জড়িত হওয়ার সুপারিশ করেন।
এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে চিনি, সার এবং অন্যান্য পণ্য উৎপাদনকারী রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানাগুলোর জনবল ও ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বাড়াতে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজনের বিষয়ে সম্মত হন উল্লেখিত কোম্পানি তিনটির প্রধান নির্বাহীরা।
সভাপতির বক্তব্যে শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম বলেন, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শিল্প-কারখানাগুলো লাভজনক করতে মন্ত্রণালয়ের আংশিক মালিকানাধীন কোম্পানি তিনটির ব্যবস্থাপনা দক্ষতা, পরিকল্পনা ও কর্মকৌশল কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে।
তিনি উল্লেখিত কোম্পানি তিনটির অনুসরণে বিসিআইসি, বিএসএফআইসি এবং বিএসইসির আওতাধীন কারখানাগুলোর ব্যবস্থাপনা, হিসাব, উৎপাদন ও বিপণন কৌশল ঢেলে সাজানোর নির্দেশনা দেন।
চিনি শিল্পকে কোনোভাবেই লোকসানি প্রতিষ্ঠান হতে দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করে সচিব এ শিল্পের উন্নয়নে বিটিএবির মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা আখচাষীদের ক্ষেত্রে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্ব দেন।
তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়কে একটি পেশাদার মন্ত্রণালয় হিসেবে উল্লেখ করেন এবং শিল্প ও বাণিজ্য সম্পৃক্তদের সঙ্গে শিল্প মন্ত্রণালয়ের শক্তিশালী লিংকেজ গড়ে তোলার তাগিদ দেন।