বৃহস্পতিবার ● ২৫ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » আইসিটি শিল্প ও বানিজ্য » তথ্য প্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য সরকার একটি তহবিল করবেঃ (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম
তথ্য প্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য সরকার একটি তহবিল করবেঃ (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম
তিনি রোববার ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে ‘বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং’ সম্মেলনে ‘এক্সেস টু ফাইন্যান্স ফর বিপিও ইন্ডাস্ট্রি’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানান।
কাজী আমিন তথ্য প্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তার সমস্যার বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, “দেশে তথ্য প্রযুক্তি খাতে যুব সমাজের অনেক উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। কিন্তু এসব উদ্যোক্তার আইডিয়া দিয়ে ঋণ দেওয়ার মতো করে ব্যাংকিং খাত প্রস্তুত হয়নি। অথচ ইক্যুইটি ছাড়া উদ্যোক্তা তার আইডিয়াকে প্রোডাক্ট হিসেবে তৈরি করতে পারছে না।”
তিনি বলেন, “এমন পরিস্থিতিতে সরকার উদ্যোক্তা উন্নয়নের কাজে হাত দিয়েছে। উদ্যোক্তাদের ইক্যুইটির জোগান দিতে সরকার একটি তহবিল করবে। শিগগির সরকারের তরফ থেকে ফাইন্যান্সিয়াল ডেভেলপমেন্ট সিস্টেম নিয়ে একটা ঘোষণা আসতে পারে।”
সম্মেলনের এই আলোচনা পর্বে হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য জামাল উদ্দিন, বেসিসের সাবেক সহ সভাপতি শামীম আহসান এবং বিডিভেঞ্চারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত হোসেনসহ বেশ কয়েকজন বক্তব্য রাখেন।
শওকত হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধি-নিষেধের কারণে বাংলাদেশে একটি কোম্পানিকে বিনিয়োগ করানো সম্ভব হয়নি। বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে যেমন সহজ উপায় চায়, চলে যাওয়ার রাস্তাও সহজ চান। তাহলেই তারা বিনিয়োগ করেন।
“কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের আইন-কানুন এখনও সেকেলে, পুরনো দিনের। তাই দেশে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে সময়োপযোগী হতে হবে।”
হোসনে আরা বলেন, “আমাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় নীতিমালা ও আইন না থাকায় স্টার্টআপরা বিদেশ থেকে টাকা আনতে পারেন না, আবার পাঠাতেও পারেন না।
“এ বিষয়ে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে করেছি। প্রয়োজনীয় নীতিমালা তৈরিতে তারাও একমত হয়েছেন।”
জামাল উদ্দিন বলেন, “বিনিয়োগ করতে হবে ব্যাংকগুলোকে, বাংলাদেশ ব্যাংককে নীতি সহায়তা দিতে হবে। এই নীতি সহায়তা দিতে শিগগির বাংলাদেশ ব্যাংকে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।”
বিভিন্ন খাতে উদ্যোক্তাদের অর্থ জোগাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গঠিত ইইএফ ফান্ড থেকে তথ্য প্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তাদের অর্থ দেওয়ার বিষয়টিও আলোচনায় ওঠে।
জামাল বলেন, বিনিয়োগ করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ নয়। এটা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাজ। বাংলাদেশ ব্যাংকের যে ইইএফ ফান্ড ছিল, তাও এখন আইসিবিকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশে তথ্য প্রযুক্তি উদ্যোক্তা খাতে যে অর্থ সংকট তৈরি হয়েছে, তা মোকাবেলার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করা যেতে পারে।