রবিবার ● ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » নাসা আয়োজিত প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৫ তরুণ
নাসা আয়োজিত প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৫ তরুণ
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আয়োজিত স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে বিজয়ী হয়েছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের দল অলিক। ‘বেস্ট ইউজ অব ডেটা’ বিভাগে ওই দলটির তৈরি ‘লুনার ভিআর’ সারা বিশ্বের এক হাজার ৩৯৫টি দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বিজয়ী হয়েছে।
লুনার ভিআর প্রকল্পের টিম লিডার আবু সাবিক মাহদী প্রথম আলোকে বলেন, তারা নাসার তথ্য ব্যবহার করে একটি অ্যাপ তৈরি করেছেন। তাদের প্রকল্পটি মূলত নাসার তথ্য ব্যবহার করে ভিআর উপাদান তৈরি। এতে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারকারী চাঁদে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পাবেন। নাসার সরবরাহ করা বিভিন্ন উপাদান থেকে থ্রিডি মডেল ও তথ্য সংগ্রহ করেন তারা।
নাসা অ্যাপোলো ১১ মিশনের ল্যান্ডিং এরিয়া ভ্রমণ, চাঁদ থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা এবং চাঁদকে একটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আবর্তন করা এই তিনটি ভিন্ন পরিবেশকে ভার্চুয়ালভাবে তৈরি করেছে টিম অলিক।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দলটির অন্য সদস্যরা হলেন-সাব্বির হাসান, বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী, কাজী মাইনুল ইসলাম, এস. এম. রাফি আদনান। তারা গত অক্টোবর মাসে দেশে আয়োজিত ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। প্রথম দিকে থ্রিডি অ্যানিমেশন নিয়ে কাজ করলেও পরবর্তীতে গেম, ভিজুয়াল ইন্টারঅ্যাকটিভ ও ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়ে।
মাহদী বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। বৈশ্বিক পর্যায়ে তাদের প্রকল্প জয় পাওয়ায় খুশি হয়েছেন তাঁরা।
এবারে চতুর্থবারের মতো নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস-বেসিস, বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহযোগিতায় ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে গত অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় এ প্রতিযোগিতা। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-নাসা আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের ২৫০টি শহরে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। বেসিস বাংলাদেশের ৯টি শহরে (ঢাকা, চট্টগ্রাম সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লা) এ আয়োজন করে।
বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, দেশের একটি প্রকল্প বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জেনে খুশি হয়েছি। শিগগিরই তাদের নিয়ে কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এবার ৯টি শহর থেকে দুই হাজারেরও বেশি প্রকল্প জমা পড়ে প্রতিযোগিতায়। সেখান থেকে শীর্ষ ৪০টি প্রকল্পকে নিয়ে হচ্ছে শুরু হয় দুই দিনব্যাপী হ্যাকথন।
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল হাসান অপুর ভাষ্য, আমাদের জন্য বড় পাওয়া। গত ডিসেম্বরে ছয় ক্যাটাগরিতে শীর্ষ ২৫ দলের মধ্যে জায়গা করে পেয়েছিল ‘টিম অলিক’।সেখান থেকে আটটি দলকে চূড়ান্ত পর্যায়ের জন্য মনোনয়ন পায়। সেখান থেকেই পুরস্কার পেল অলিক।