মঙ্গলবার ● ১ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সাইবার নিরাপত্তায় প্রত্যেক নাগরিকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
সাইবার নিরাপত্তায় প্রত্যেক নাগরিকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
প্রতিদিন তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। ইন্টারনেট বা সাইবার জগতে মূলত কোনো সীমানা নেই। পুরো বিশ্ব এক। সুতরাং সাইবার অপরাধের ভয়াবহতাও অনেক। বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে যেকোনো স্থানে আক্রমণ করা সম্ভব। দেশের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে শুধু সরকারি উদ্যোগ যথেষ্ট নয়, বরং সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে প্রত্যেক নাগরিকের নিজ নিজ জায়গা থেকে ভূমিকা রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীতে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক এক সেমিনারে এসব কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। ‘সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস-২০১৬’ উপলক্ষে গুলশানের একটি ক্লাবে দিনব্যাপী এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ‘সাইবার নিরাপত্তা- পূর্বাভাস; প্রস্তুতি; সুরক্ষা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে ইনফরমেশন সিস্টেমস অডিট অ্যান্ড কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের (আই-সাকা) ঢাকা শাখা। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা শাখার প্রথম সভাপতি আলী আশফাক।
আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, আইসাকা ঢাকা শাখা সভাপতি তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ একেএম নজরুল হায়দার, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) আইন বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. জুলফিকার আহমেদ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের প্রধান ড. তৌহিদ ভূইয়া, আইসাকা’র ঢাকা শাখা সেক্রেটারি ওমর ফারুক খন্দকার, গ্রামীনফোনের ইনফরমেশন সিকিউরিটি বিভাগের প্রধান শাহাদাত হোসাইন, ইনফরমেশন সিস্টেমস সাইবার অ্যাওয়ারনেসের বাংলাদেশ শাখার (আইএসএসএ) সভাপতি এমআর মারুফ আহমেদ ও ইস্টার্ন ব্যাংকের ইনফরমেশন সিকিউরিটি ম্যানেজার মো. আবুল কালাম আজাদ ।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, গত মাসের হিসাব অনুযায়ী দেশে বর্তমানে ইন্টারনেটের গ্রাহক সংখ্যা ৬ কোটি ৩২ লাখ। দেশের তথ্যপ্রযুক্তির সেবা সংক্রান্ত বিষয়গুলোর বেশিরভাগই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত। সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শুধু সরকারেরই কাজ নয়, বরং নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের এ ব্যাপারে ভূমিকা রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, মূলত ইন্টারনেট জগতের কোনো বর্ডার (সীমানা) নেই এবং এখানে কারো একক মালিকানাও নেই। পুরো পৃথিবী এক। সুতরাং বিশ্বব্যাপী সাইবার অপরাধের ভয়াবহতা ব্যাপক। পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকে আক্রমণ করা সম্ভব। তাই সাইবার অপরাধ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি খুব গুরুত্বপূর্ণ।
বিকেলে সেমিনার শেষে আইসাকার বিভিন্ন পর্যায়ের কোর্স সম্পন্নকারী ৩৫ জন সদস্যের হাতে সনদ তুলে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সাল থেকে আমেরিকা, ২০১১ থেকে নরওয়ে এবং ২০১২ থেকে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশ অক্টোবরকে ‘সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস’ হিসেবে পালন করে আসছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।