বৃহস্পতিবার ● ৩১ মে ২০১২
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সবচেয়ে ভয়ংকর কম্পিউটার ভাইরাসের সন্ধান লাভ
সবচেয়ে ভয়ংকর কম্পিউটার ভাইরাসের সন্ধান লাভ
পিসি এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে ভাইরাস।
এসব ভাইরাস হাজার হাজার পিসিকে বিকল করে দিতে পারে, নিয়ে নিতে পারে লাখো
কম্পিউটার থেকে গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য। সেকারণেই ভাইরাস নিয়ে সর্বদাই
শংকিত থাকতে হয় পিসি এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের। পিসি’র ক্ষতিকর এসব
নানান ভাইরাসের আক্রমণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অনেক কম্পিউটার বিকল হয়ে
গেছে, চুরি গেছে গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য। আর হ্যাকার বা সাইবার অপরাধীরা
প্রতিনিয়তই নতুন নতুন ভাইরাস তৈরি করে আক্রমণ করে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশের
পিসি এবং নানান ওয়েবসাইট। বিশেষ করে গত বছরে যেন ওয়েবসাইট হ্যাক করার ধুম
পড়ে যায়। তবে সম্প্রতি পিসি নিরাপত্তার সাথে সংশ্লিষ্টরা নতুন একটি
ভাইরাসের সন্ধান পেয়েছেন, যেটি কিনা এখন পর্যন্ত পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর
ভাইরাস। রাশিয়ার একটি কম্পিউটার ফার্ম এই ভাইরাসের সন্ধান পেয়েছেন। ধারণা
করা হচ্ছে এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে ইরান। তাছাড়া এটি সাইবার অস্ত্র হিসেবে
পশ্চিমা দেশগুলো বা ইসরায়েল কর্তৃক ব্যবহূত হতে পারে। ‘ফ্লেম’ নামের এই
ভাইরাসটিকে সনাক্ত করেছে বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা
ক্যাসপারস্কি ল্যাব। ক্যাসপারস্কি জানিয়েছে, এর আগে সবচেয়ে ভয়ংকর ভাইরাস
হিসেবে স্বীকৃত ‘স্টাক্সনেট’-এর চাইতেও এটি বেশি ক্ষতিকর। তারা বলেছে,
‘ফ্লেম’ মূলতই কাজ করবে সাইবার গোয়েন্দা হিসেবে। অর্থাত্, এটি যেকোনো
পিসিতে ঢুকে সেই পিসি’র সব ধরনের তথ্য চুরি করে নিতে পারবে। পিসিতে
রক্ষিত যেকোনো ডক্যুমেন্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্ক্রিনশট, ছবি এবং
এমনকি অডিও রেকর্ডিংও চুরি করে নিতে পারবে এটি। আর তারপর চুরি করা
তথ্যগুলো এটি পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে থাকা সার্ভারে পাঠিয়ে দিতে পারবে।
ক্যাসপারস্কি তাদের এক বক্তব্যে জানিয়েছে, ‘সাইবার অস্ত্র হিসেবে
ইতিমধ্যেই কিছু দেশ ফ্লেমকে ব্যবহার করছে। আর এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া
ভাইরাসগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম পরিপূর্ণ সাইবার অস্ত্র।’ তারা জানিয়েছে,
এই ভাইরাসের সন্ধান এখন মিললেও প্রায় দুই বছর ধরে এটি সাইবার অস্ত্র
হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। নতুন খুঁজে পাওয়া এই ভাইরাস
নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে গোটা প্রযুক্তি বিশ্ব। বিশেষ করে ওয়েব এবং
পিসি’র নিরাপত্তা নিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করছে, তাদের ধারণা, এটি
বিশ্বব্যাপী কেবল অস্ত্রই নয়, হয়ে উঠতে পারে একটি মোক্ষম মারণাস্ত্র।