বুধবার ● ১৯ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১২ » বাংলাদেশ এখন বিশ্ব উন্নয়নে এক রোল মডেল
বাংলাদেশ এখন বিশ্ব উন্নয়নে এক রোল মডেল
সকল জল্পনা-কল্পনা শেষে বুধবার বেলা ১১.৩৫ মিনিটে প্রযুক্তির চমক দিয়েই ৪র্থ বারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি উৎসব ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৬ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একটি রোবট প্রধানমন্ত্রীকে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড উদ্বোধনের অনুরোধ করলে প্রধানমন্ত্রী একটি বাটন চেপে ডিজিটালি তথ্যপ্রযুক্তির এই মহোৎসবের উদ্বোধন করেন।প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে “বাংলাদেশ এখন বিশ্ব উন্নয়নে এক রোল মডেল” দাবি করে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামীলীগ ১৯৯৬ সালে পুনারায় জনগনের সুযোগ পায়। আমরা সরকার গঠন করে মানুষকে উন্নত জীবন দানের প্রতিজ্ঞা করি। তারই অংশ হিসেবে আমরা টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে ঢেলে সাজাই।’
ঐ সময়ে মোবাইল ফোন করলেও ১০টাকা ধরলেও ১০টাকা, মোবাইল কলের সেই মনোপলি ভেঙ্গে দেয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিতে ব্যাপক পরিবর্তনের ধারা সূচিত হয়। ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা পেশ করি। জনগনের বিপুল ম্যান্ডেড নিয়ে ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর বিএনপি-জামাতের রেখে যাওয়া সবত্র লুটপাটের চিহ্ন মুছে ফেলে উন্নয়নের এক মহাপরিকল্পনা আমরা গ্রহণ করি।’
‘জাতির পিতা যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনের পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে আর্ন্তজাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থা আইটিইউ এর সদস্যপদ লাভ করে। তিনি ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশে বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা
পরিষদ বিসিএসআইআর প্রতিষ্ঠা করেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা দেশের প্রথম শিক্ষা কমিশনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন ড. কুদরত-ই-খুদা’র মতো বিজ্ঞানীর হাতে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে তিনি বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ও গবেষকদের দেশে ফিরিয়ে আনারও উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।’
‘বঙ্গবন্ধু দেশে টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি বিকাশের জন্য বেতবুনিয়ায় দেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করেন। আমাদের দূর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পালা শুরু হয়। আমাদের অগ্রযাত্রা স্তম্ভিত হয়ে যায়।’
অনুষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা
সফরের থেকেও ৫১টি ফাইলে ইলেক্ট্রনিক্যালি স্বাক্ষর করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
ডিজিটাল বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আমরা যে বহুদূর এগিয়েছি, এটি সারা বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ।
ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ইমরান আহমেদ বক্তব্যে বলেন, আমরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি তাতে সোনার বাংলা গড়তে বেশি সময় লাগবে না।
বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার তাঁর বক্তব্যে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য রপ্তানিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভর্তুকি চান। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন ও দেশের তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নের কোনো বিদেশীর প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশের ব্যাংকের যে রিজার্ভ চুরি হয়েছে সেটি আমাদের দেশের ছেলেরা থাকলে হতো না।
তথ্যপ্রযুক্তি সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি বাস্তব প্রয়োগ ও ব্যবহারে আমাদের তরুণ সমাজ আজ উজ্জীবিত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন(এটুআই) এর প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার।
বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম। তিনি জানান, এটি শুধু সরকারি আয়োজন নয়, এটি দেশের সকলের আয়োজন। এবারে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে ৫০টি স্টার্টআপ কোম্পানি অংশ নিয়েছে। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ৪০০ প্রদর্শক রয়েছে।