সোমবার ● ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » আইসিটি শিল্প ও বানিজ্য » আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারজাত শুরু হলো ওয়ালটন ল্যাপটপ
আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারজাত শুরু হলো ওয়ালটন ল্যাপটপ
(২২ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারজাত শুরু হলো ওয়ালটন ল্যাপটপ। সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে (ঢাকা ওয়েস্টিন) অনুষ্ঠিত হয় ওয়ালটন ল্যাপটপ লঞ্চিং প্রোগ্রাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি, বেসিস সভাপতি মোস্তফা জাব্বার, ওয়ালটন গ্রুপের পরিচালক এসএম রেজাউল আলম, ইনটেল কর্পোরেশন এর কান্ট্রি বিজনেস ম্যানেজার জিয়া মঞ্জুর, মাইক্রোসফট প্রতিনিধি মিস্টার পুবুদো বাসনায়েকে। সভাপতিত্ব করেন ওয়ালটন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম শামসুল আলম।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের শীর্ষ আইসিটি ব্র্যান্ড ইনটেল, মাইক্রোসফট এবং বাংলাদেশের বিজয় বাংলার সহযোগিতায় ওয়ালটন ল্যাপটপ বাজারজাত করছে। সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, উচ্চমান এবং সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে ফ্রিজ, টিভি, মোবাইল ফোন, এয়ারকন্ডিশনারসহ অন্যান্য পণ্যের মতো ল্যাপটপের ক্ষেত্রেও ওয়ালটন বাংলাদেশের র্শীষ ব্র্যান্ডে পরিণত হবে।
ওয়ালটনের পরিকল্পনা রয়েছে পর্যায়ক্রমে প্রায় সব ধরনের আইটি পণ্য তারা দেশেই তৈরি করবে। যার প্রথম পণ্য হিসেবে বাজারে আসলো ল্যাপটপ। এখন থেকে ক্রেতারা বাজারে পাবেন ৬ষ্ঠ প্রজন্মের উচ্চগতির মাল্টিটাস্কিং বৈশিষ্ট্য সম্বলিত ল্যাপটপ। এছাড়া সুলভ মূল্যে মাইক্রোসফটের জেনুইন অপারেটিং সিস্টেম ও সফটও্যয়ার বাজারজাত করবে ওয়ালটন। ওয়ালটন ল্যাপটপের দামও হবে অন্যান্য আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের তুলনায় মডেলভেদে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ সাশ্রয়ী। প্রাথমিকভাবে বাজারে আসছে চারটি সিরিজের মোট ২০ টি মডেলের ল্যাপটপ। মূল্য থাকছে ২৯,৫০০ থেকে ৯৫,৫০০ টাকা।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশী ব্র্যান্ড ওয়ালটন ল্যাপটপ কম্পিউটারের মতো উচ্চপ্রযুক্তির একটি পণ্য বাজারজাত করছে। পর্যায়ক্রমে প্রায় সব ধরণের প্রযুক্তি পণ্য তারা দেশে তৈরি এবং বাজারজাত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। ওয়ালটনের এ উদ্যোগ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নতুন যুগের সূচনা করলো। বাংলাদেশ ডিজিটাল বিপ্লবের পথে আরো একধাপ এগিয়ে গেলো।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ইনটেল, মাইক্রোসফট এবং ওয়ালটনের যৌথ উদ্যোগে বাজারজাতকৃত ল্যাপটপ প্রযুক্তিপ্রেমীদের প্রত্যাশা পূরণ করবে। এর ফলে সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চমানের ল্যাপটপ পাবেন গ্রাহকরা। তিনি আশা করেন, ওয়ালটন পর্যায়ক্রমে সব ধরনের আইসিটি পণ্য তৈরির মাধ্যমে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার মানদন্ডে শীর্ষ দেশের কাতারে নিয়ে যাবে বাংলাদেশকে।