সোমবার ● ২৭ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » চালু হচ্ছে মোবাইলভিত্তিক সেবা ‘ন্যাশনাল হেল্প ডেস্ক’, সবধরনের নাগরিক সেবা এখন ২০৪১ নম্বরে
চালু হচ্ছে মোবাইলভিত্তিক সেবা ‘ন্যাশনাল হেল্প ডেস্ক’, সবধরনের নাগরিক সেবা এখন ২০৪১ নম্বরে
দেশে একটি হটলাইন নম্বরেই সবধরনের নাগরিক সেবা সুবিধা দিতে চালু হচ্ছে মোবাইলভিত্তিক সেবা ‘ন্যাশনাল হেল্প ডেস্ক’। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ প্রাথমিকভাবে ‘২০৪১’ নম্বরের শর্টকোডটি চালু করছে। তবে সর্বস্তরের মতামত গ্রহণের ভিত্তিতে চূড়ান্ত শর্টকোড চালুর কথা বলা হলেও ‘২০৪১’ নম্বরই কেন্দ্রিয় শর্টকোড হিসেবে রাখার সম্ভাবনা বেশি।বিভিন্ন সরকারি সেবা, জীবন-জীবিকা বিষয়ক তথ্য, পরামর্শ ও বিভিন্ন জরুরী সেবা সম্পর্কিত তথ্য আদান-প্রদান করা হবে এই নম্বর থেকে।
কেন্দ্রিয়ভাবে মোবাইলভিত্তিক এই হেল্প ডেস্ক পরিচালনা করবে আইসিটি বিভাগ। চিহ্নিত ১৭টি সার্ভিসের মধ্য থেকে প্রাথমিক অবস্থায় আট থেকে ১০টি সার্ভিস নিয়ে কাজ শুরু হচ্ছে। আগামী দু মাসের মধ্যে সেবাটি বেটা ভার্সনে বৃহৎ পরিসরে শুরু করার কথা বলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
‘মনে রাখুন একটি নম্বর’ স্লোগান সামনে রেখে ন্যাশনাল হেল্প ডেস্ক থেকে ভয়েচ কলের মাধ্যমে সেবা নেওয়া যাবে। এছাড়াও সাধারণ মানুষ এসএমএস, মোবাইল অ্যাপ, ওয়েবপোর্টাল, সরাসরি ভিডিও কল, ফেইসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেও সেবা নিতে পারবেন।
জরুরী প্রয়োজনে ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তার, পুলিশসহ সরকারি বেশকিছু সেবা দেওয়া হবে। আর এটি খোলা থাকবে ৩৬৫/২৪ ঘণ্টা।
সোমবার বিকেলে আইসিটি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ‘ন্যাশনাল হেল্পডেস্ক ২০৪১’ উদ্যোগের মতবিনিময় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বেসরকারি সংস্থায় পরিচালিত কলসেন্টারের দায়ত্বশীল কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, উন্নত দেশগুলোতে একটি নম্বরে জরুরী সেবাসহ সবধরনের সেবা পাওয়া যায়। এবার আমরা সেটা চালু করছি। তবে যারা শর্টকোডে সেবা দেন সেগুলোও আগের মতোই থাকবে।
তিনি বলেন, তবে তাদের চেয়ে আমাদের সেবা এগিয়ে থাকবে। কারণ আমাদের এটা কোনো একমুখী যোগাযোগ নয়, এটা দ্বিমুথী যোগাযোগ। যেখানে তথ্য ও সেবা আদান প্রদান করা হবে।
পলক বলেন, অনেকেক্ষেত্রে দেখা যায় শর্টকোড নম্বরগুলোতে সন্ধ্যার পর আর তেমন ভালো রেসপন্স করা হয় না। কিন্তু আমাদের এই সেবায় সবসময় সমান গুরুত্ব দেওয়া হবে।
এই সেবা নিতে জনগণকে কোনো চার্জ দিতে হবে কিনা তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। যদি চার্জ দিতে হয় তবে সেটি একেবারেই কম হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল আলী আহম্মদ খান বলেন, স্মার্টফোনভিত্তিক সেবা দেওয়ায় আমাদের কাছেও এখন কল আসে অনেক। তবে যেহেতু একটি নম্বর থেকে সেবাটি দেওয়া হবে তাই খুব সতর্কতার সঙ্গে এগোতে হবে।
ঢাকা মেট্রো পলিটর পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিক সাপোর্ট) ইমাম হোসেন বলেন, বিষটি খুব সহজ মনে হলেও এটি বাস্তবায়ন কঠিন হবে। কেননা বিশেষ সময়গুলোতে খুব বেশি পরিমাণে ফোন আসে। যা সামাল দিয়ে বিভিন্ন কলসেন্টারে ফরোয়ার্ড করা কঠিন হয়ে পড়তে পারে। তাই এক্ষেত্রে অবকাঠামো খুব শক্তিশালী করার পরামর্শ দেন তিনি।
মতবিনিময় শেষে কলসেন্টারের অবকাঠামো উন্নয়নে ও এই সেবা দিতে চারটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর পরিচালিত কলসেন্টারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা, কৃষিকল সেন্টার, বিটিসিএল, স্বাস্থ্য বাতায়ন, ঢাকা ওয়াসা, জাতীয় মহিলা সংস্থা পরিচালিত কলসেন্টার তথ্য আপা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, চাইল্ড হেল্পলাইন, বাংলাদেশে ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, মহিলা ও শিশু বিষয়কল সেন্টার, ঢাকা মহানগর পুলিশের জরুরী হেল্পলাইনসহ বিভিন্ন হেল্পডেস্কের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।