শনিবার ● ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » নিউজ আপডেট » নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির উদ্যোগে সাড়া মেলেনি
নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির উদ্যোগে সাড়া মেলেনি
নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করার জন্য রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে তেমন সাড়া মেলেনি। অধিকাংশ রাজধানীবাসীই বাসার নিচের গ্যারেজ, খালি জায়গা, রাস্তা ও গলির ওপর কোরবানি দেন। তবে উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে অধিকাংশ নগরবাসী।
আজ শুক্রবার রাজধানীর মগবাজার, মালিবাগ, কমলাপুর, খিলগাঁও, নয়াপল্টন, পুরানা পল্টন, সেগুনবাগিচা, আজিমপুর, সাতমসজিদ রোড, গ্রিন রোড, ফার্মগেট এলাকাগুলোর বেশির ভাগ ‘নির্ধারিত’ স্থানে কোরবানির পশুর জবাই হয়নি। তবে গ্রিন রোডে নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করা হয়। কিন্তু সেই সংখ্যা হাতে গোনা।
নির্ধারিত স্থানে কেন কোরবানি করছেন না, জানতে চাইলে মগবাজারের শামসুদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ী বলছেন, ‘কোরবানি করার জায়গা কোথায়, সেটাও জানি না। কাছে হলে নিশ্চয় জানতাম। তবে সিটি করপোরেশনের এই উদ্যোগ অনেক ভালো। হয়তো আগামীতে সবাই মানবে।’
মধুবাগে মওলানা আরিফুর রহমান বলেন, ‘মধুবাগ মাঠে কোরবানি করার নির্ধারিত জায়গা। সকাল থেকে সেখানে কেউ যায়নি। তারপর আমি অন্য জায়গায় গিয়ে পশু কোরবানি শুরু করছি।’
আজিমপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার ওপর শামিয়ানা টাঙিয়ে চামড়া কেনা-বেচা চলছে। তবে কোরবানি দেওয়ার নির্ধারিত জায়গা সম্পর্কে কেউ জানে না। অথচ ওই এলাকার কোরবানির নির্ধারিত স্থান হচ্ছে-আজিমপুর কলোনির ভেতর বিভিন্ন খেলার মাঠ, পলাশী আজাদ স্টাফ কোয়ার্টারের খোলা জায়গা, আজিমপুর ছাপড়া মসজিদসংলগ্ন আজিমপুর জনকল্যাণ সমিতির অফিস, আজিমপুর গার্লস সরকারি স্কুল ও কলেজের ভেতরে মাঠ। কিন্তু এসব জায়গার কোথাও কোরবানি দেওয়ার দৃশ্য চোখে পড়েনি।
এই এলাকার বাসিন্দা মওলানা সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, কোরবানি দেওয়ার নির্ধারিত স্থানে মানুষ কম থাকে। এ কারণে ওই স্পটে মানুষ কোরবানি দেয়নি বলে তিনি মনে করেন।
রাজধানীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনি এলাকায় নির্ধারিত স্থানে কাউকে কোরবানি দিতে কাউকে দেখা যায়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনির শাহজাদা ইসলাম বলেন, ‘মাইকে কইয়া গেছে এই জায়গায় কোরবানি দিতে। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত এখানে কেউ আসেনি।’
রাজধানীর ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডেও কেউ সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই করেনি। এভাবে পশু জবাইয়ের জন্য ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন ৫৩৫টি স্থানে কোরবানি দেওয়ার উদ্যোগ তেমন সাড়া মেলেনি। তবে কসাইখানা ও আবাসিক এলাকাতে নির্ধারিত স্থানগুলোতে কম হলেও মানুষ কোরবানি দিয়েছে।