বুধবার ● ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যাবহারে গ্রামীণফোনের উদ্যোগ
শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যাবহারে গ্রামীণফোনের উদ্যোগ
সম্প্রতি নিরাপদ ইন্টারনেট নিয়ে অভিভাবকদের জন্য একটি গাইড বই বের করেছে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ও ইউনিসেফ। তাদের দাবি, এই গাইড বই পড়ে শিশুদের কীভাবে ইন্টারনেটে নিরাপদ রাখা যাবে, সে দিকনির্দেশনা পাবেন অভিভাবকেরা।
গাইড বইটি বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই প্রকাশ করা হয়েছে। গ্রামীণফোন টার্গেট গ্রুপের মধ্যে গাইড বইটি বিতরণ করবে। এ ছাড়া নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে ব্র্যাকের সহায়তায় সারা দেশে ৫০০ স্কুলে কর্মশালার আয়োজন করবে গ্রামীণফোন।
নিরাপদ ইন্টারনেট প্রসঙ্গে ইউনিসেফের চাইল্ড প্রোটেকশন স্পেশালিস্ট জামিলা আখতার বলেন, কম্পিউটার এবং প্রযুক্তিগত যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট এক আমূল পরিবর্তন এনে দিয়েছে। দ্রুত প্রসার পাওয়া যোগাযোগের এ মাধ্যমটি আমাদের এবং আমাদের সন্তানদের জন্য যেমন অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে, তেমনি সামাজিক অনেক উদ্বেগেরও কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা খর্ব হওয়ার ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে যে কাউকে প্রতারণা করার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। কিছু প্রতিকূলতা থাকলেও শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহারে বাধা দেওয়া যাবে না। কারণ এতে করে শিশুরা পিছিয়ে পড়বে বরং যা করতে হবে তা হলো শিশুরা যাতে সঠিকভাবে ইন্টারনেটের শক্তিকে কাজে লাগাতে পারে সে জন্য তাদের যথেষ্ট ধারণা দেওয়া ও ইন্টারনেটের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে তাদের অবহিত করা। আর এ ক্ষেত্রে পিতামাতার ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ইউনিসেফ ও গ্রামীণফোনের উদ্যোগে তৈরি ‘প্যারেন্টস গাইড’ শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে বুঝতে অভিভাবকদের সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
গ্রামীণফোনের করপোরেট রেসপনসিবিলিটির প্রধান দেবাশীষ রায় বলেন, ‘আজকের শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। তাদের সামনে ইন্টারনেটের দরজা খুলে দেওয়া যেমন আমাদের দায়িত্ব, তেমনি সেখানে তাদের নিরাপদে বিচরণ করার ব্যবস্থা করাও আমাদের দায়িত্ব। আমাদের এই গাইড বই ইন্টারনেটের পূর্ণ সুবিধা ব্যবহারে শিশু-কিশোর এবং তাদের অভিভাবকদের সহায়তা করবে।’
এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর আজিমপুরের অগ্রণী স্কুল ও কলেজে গাইড বইটির উন্মোচন ও আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, অগ্রণী স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ রিয়াজুজ্জামান ভূঁইয়া, ইউনিসেফের শিশু নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জামিলা আখতার, ব্র্যাকের কমিউনিকেশনস লিড রনি মির্জা ও গ্রামীণফোনের করপোরেট রেসপনসিবিলিটির প্রধান দেবাশীষ রায়।
অনুষ্ঠান শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গ্রামীণফোন জানায়, সম্প্রতি এশিয়ার অসংখ্য মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করা শুরু করেছে। কিন্তু ইন্টারনেটের নিরাপদ ব্যবহার ও স্পর্শকাতর বিষয়ে শিশুদের সঙ্গে কথা বলতে অভিভাবকদের ঝামেলায় পড়তে হয়। দায়িত্বশীল মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে টেলিনর এ গাইড বই প্রকাশ করেছে। এতে ইন্টারনেটের সঠিক কনটেন্ট সম্পর্কে শিশুদের নির্দেশনা দিতে পারবেন অভিভাবকেরা।’