রবিবার ● ২ আগস্ট ২০১৫
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কর বিষয়ক টাস্কফোর্স গঠনের আহবান
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কর বিষয়ক টাস্কফোর্স গঠনের আহবান
ডিজিটাল বাংলাদেশের উপর করা এক সাম্প্রতিক গবেষণায় অর্থ মন্ত্রণালয়, আইসিটি মন্ত্রণালয় এবং এনবিআর এর সমন্বয়ে একটি কর বিষয়ক টাস্কফোর্স গঠনের আহবান জানানো হয়েছে যা দেশে দ্রুত ব্রডব্যান্ড সেবা চালু করার জন্য একটি কার্যকরী কর ব্যবস্থা স্থাপন করবে।
এই টাস্কফোর্স কর ব্যবস্থাকে যুক্তিসংগত করার চেষ্টা করবে, যা সরকারের যথাযথ এবং স্থিতিশীল রাজস্ব আয়ের অধিকারের সাথে অপারেটরদের করের অভিঘাত সর্ম্পকে স্পষ্ট ধারণা থাকা এবং বাংলাদেশের মানুষের সুলভ টেলিযোগাযোগ সেবা পাওয়ার প্রয়োজনের মধ্যে সমন্বয় সাধন করবে।
নিম্ন ব্যয় ক্ষমতা, ডিভাইসের মূল্য এবং ব্যবহারের খরচের মিলিত অভিঘাতের ফলে অনেক বাংলাদেশীর পক্ষে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার কঠিন হয়ে পড়ে। সরকারের আরোপিত কর এবং ফি মোবাইল ফোন ক্রয় ও ব্যবহারের খরচের শতকরা ১৭ ভাগ হওয়ায় তা অতিরিক্ত বাধা হিসেবে কাজ করে।
“সম্ভাবনার ডিজিটাল বাংলাদেশ” শীর্ষক এই গবেষণাটি পরিচালনা করে টেলিকম থিংকট্যাংক লার্নএশিয়া এবং এতে সহযোগিতা করে টেলিনর গ্রুপ ও গ্রামীণফোন। আজ স্থানীয় একটি হোটেলে তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, এমপি, এই গবেষণা পত্রটির মোড়াক উম্মচোন করেন। ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, গ্রামীণফোনের সিইও রাজীব শেঠি, এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরি এবং লার্ন এশিয়ার সিইও রোহান সামারাজিভা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এই গবেষণাটি ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে এ পর্যন্ত অর্জিত সাফল্য চিহ্নিতকরণ, যে সব ক্ষেত্রে জরুরী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন তা চিহ্নিত করণ এবং সাফল্যের মানদন্ড নির্ধারণ করেছে। রোহান সামারাজিভা উপস্থিত অতিথিদের গবেষণা সর্ম্পকে বিস্তারিত ধারণা দেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন “এই প্রতিবেদন আমাদের বাস্তবসম্মতভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সাহায্য করবে।”
প্রতিবেদনে তরুণদের কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রভৃতি খাতে বিশেষ মনযোগ দিতে আহবান জানায় যা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এতে আরো উল্লেখ করা হয় যে মোবাইল ব্রডব্যান্ডর সম্পূরক হিসেবে মানসম্পন্ন এবং বিস্তৃত একটি ফাইবার নেটওয়ার্কের প্রয়োজন। ভালোমানের ফাইবার নেটওয়ার্ক তৈরিতে সবার মধ্যে প্রতিযোগিতা উম্মুক্ত করে দিতে হবে।
ডাক টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ” ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকারি এবং বেসরকারি খাতকে একসাথে কাজ করতে হবে।”
এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী বলেন,” আমাদের একটি সবাই বিজয়ী এমন একটি ইকোসিস্টেম প্রয়োজন যেখানে সরকারি এবং বেসরকারি সকল স্টেকহোল্ডার সমভাবে উপকৃত হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সকল স্টেকহোল্ডারের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।”
প্রতিবেদনটিতে উন্নত স্পেকট্রাম ব্যবস্থাপনা বিশেষ করে কখন কোন স্পেকট্রাম উম্মুক্ত করা হবে তার একটি নির্ভরযোগ্য পথ নির্দেশনা এবং বিদ্যমান স্পেকট্রামের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা চালুর বিষয়ে জোর দেয়া হয় যা অপারেটরদের যথাসময়ে গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সঠিক সেবা দিতে সহায়তা করবে।
গ্রামীণফোনের সিইও বলেন,” সবার জন্য সুলভ ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করাই ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মৌলিক পদক্ষেপ। সঠিক রেগুলেটরি এবং বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করা হলে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের সমর্থনে সবার জন্য ইন্টারনেট পৌছে দিতে সক্ষম হব।”
গ্রামীণফোনের লক্ষ্য হচ্ছে “সবার জন্য ইন্টানেট” পৌছে দেয়া। এই কর্মসূচীর অধীনে বাংলাদেশের সকল মানুষের কাছে ইন্টারনেট, ডিজিটাল কনটেন্ট এবং ই-সেবা পৌছে দিতে গ্রামীণফোন কাজ করে যাচ্ছে। টেলিনর গ্রুপও তার বিশ্ব জুড়ে অবস্থিত বিভিন্ন বাজারে একই লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে।