রবিবার ● ২১ জুন ২০১৫
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সেলফি থেকে সেক্সটিং
সেলফি থেকে সেক্সটিং
তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর এই উত্তরাধুনিক যুগে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে প্রবল হারে বেড়েছে ‘সেক্সটিং’-এর নেশা। কিশোর-কিশোরীরা দিনদিন প্রযুক্তির সুফলের চেয়ে কুফলের দিকেই বেশি ঝুঁকছে। সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে বয়ঃসন্ধির দোরগোড়ায় পৌঁছানো ছেলেমেয়েদের। তাই বিকৃত যৌনতার গ্রাস থেকে তাদেরকে রক্ষা করতে উদ্যোগ নিল প্রশাসন।
অবাধ ইন্টারনেট ব্যবহারে অপেক্ষাকৃত কম বয়সীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে বিকৃত যৌনতার নেশা। তাই ব্রিটিশ সরকার তাদের তরুণ সমাজকে অনলাইনে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও লেনদেনের অভ্যাস বন্ধ করতে সক্রিয় হল।ব্রিটিশ গোয়েন্দা বিভাগের অধীনস্থ শিশু নিগ্রহ ও অনলাইন প্রতিরক্ষা কেন্দ্র এ উদ্যোগ গ্রহণ করে।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিতভাবে নিজেদের যৌন ছবি ও ভিডিও পোস্ট করার দিকে বেশি ঝুঁকছে অল্পবয়েসীরা। সেই সমস্ত যৌন ছবি শেয়ার ও ফরওয়ার্ড করার প্রবণতাও বাড়ছে।আবার এর জেরে বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের ঘটনাও।
অনলাইনে যৌনতা ছড়ানো রুখতে বাবা-মায়েদের হাতে প্রয়োজনীয় অস্ত্র তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে শিশু নিগ্রহ ও অনলাইন প্রতিরক্ষা কেন্দ্র।
সেই সাথে অশ্লীলতার প্রচার রুখতে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়, সুইডেনের লিংকোপিং বিশ্ববিদ্যালয় এবং জার্মান সংস্থা ইনোসেন্স ইন ডেঞ্জার-এর সহায়তায় দুই বছর ধরে তৈরি হয়েছে অ্যানিমেশন ভিত্তিক বিশেষ প্রোগ্রাম। এই প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অশ্লীলতা রুখা যাবে বলেও আশা করছেন তারা।
ব্রিটেন ও সুইডেনের ৫১ জন কিশোর-কিশোরীর সাক্ষাত্কারে বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে প্রবণতার পিছনের কারণ, কমবয়সীদের যৌনতার প্রতি হঠাত্ আকর্ষণের অর্থ এবং এর জেরে তাদের মানসিকতায় কী প্রভাব পড়ছে। তাদের বেশিরভাগই জানিয়েছেন, প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকার চাপে পড়েই নিজেদের নগ্ন ছবি বা ভিডিও শেয়ার করার কথা।
এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লিনিকাল সাইকোলজির লেকচারার তথা প্রকল্প প্রধান এথেল কোয়েইল জানিয়েছেন, সমীক্ষার উপর ভিত্তি করেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। তার ভাষায়, “বিষয়টি নিষিদ্ধ ঘোষণা না করে বরং এই বিষয়ে বাস্তবসম্মত আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। মজার কথা, বেশির ভাগ ছেলেমেয়েই জানিয়েছে, সেল্ফি তোলার নেশাতেই নিজেদের নগ্ন ছবি তুলে পোস্ট করেছে তারা।”
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান জো হিল্টন আরও জানান, “শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা প্রথমে নিছক মজার জন্য নিজেদের নগ্ন ছবি তুলে পোস্ট করে। পরবর্তীকালে তা ভুল হাতে পড়লেই বিপদ ঘনায়।”