সোমবার ● ১৫ জুন ২০১৫
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে শেষ হলো আইটি ক্যারিয়ার কনফারেন্স
স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে শেষ হলো আইটি ক্যারিয়ার কনফারেন্স
দুই হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো বেসিস স্টুডেন্টস ফোরাম আয়োজিত আইটি ক্যারিয়ার কনফারেন্স ও স্টুডেন্টস মিটআপ । দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সফলতার কথা ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন পেলেন তারা।সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিতব্য দেশের হার্ডওয়্যার প্রদর্শনীর শীর্ষ আয়োজন ‘আইসিটি এক্সপো ২০১৫ এর অংশ হিসেবে এই আইটি ক্যারিয়ার কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি, ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান সবুর খান, বেসিস সভাপতি শামীম আহসান, বিসিএস সভাপতি এএইচএম মাহফুজুল আরিফ, বেসিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, এটিএন নিউজের হেড অব নিউজ মুন্নি সাহা, কৌতুক অভিনেতা নাভিদ মাহবুব এবং বেসিসের পরিচালক ও বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের আহ্বায়ক আরিফুল হাসান অপু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বেসিসের পরিচালক আশরাফ আবির।
অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ জনবলের কোনো বিকল্প নেই। আর এই দক্ষ জনবল তৈরিতে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিটি ল্যাব প্রতিষ্ঠা করবে সরকার। এছাড়া তরুণদের মাঝে কোনো আইডিয়া থাকলে সেগুলো বাস্তবায়নে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সহায়তা দেবে সরকার। আইসিটি ডিভিশনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এসব আইডিয়া জমা দেওয়া যাবে। আমি মনে করি, তরুণরাই গড়বে দেশ, ডিজিটাল হবে বাংলাদেশ। তাই তরুণদের এখনই সিদ্ধান্ত নিবে হবে সম্ভাবনাময় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ক্যারিয়ার গড়ার।
ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান সবুর খান বলেন, প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে গড়ে উঠেছে প্রযুক্তি নির্ভর ক্যারিয়ার। এই ক্যারিয়ার গঠনে শুধুই যে প্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট থাকা প্রয়োজন, এমনটি নয়। যদি প্রযুক্তির প্রতি ভালোবাসা থাকে তবে যে কোনো ব্যাক গ্রাউন্ডের পড়াশুনা করে তরুণ-তরুণীরা সহজেই প্রযুক্তির ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবে। এজন্য থাকতে হবে স্বপ্ন।
বেসিস সভাপতি ও এফবিসিসিআই পরিচালক শামীম আহসান তরুণদের সফলতা ও উজ্জল ভবিষ্যতের জন্য ৭টি বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সরকারের পরিকল্পনা হিসেবে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে তথ্যপ্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই। আমাদের দেশের তরুণরাই এর মূল ধারক। এই তরুণদের হাত ধরে আমাদের প্রযুক্তি বিশ্ববাজারে ছড়িয়ে পড়বে। আর তারই লক্ষ্য হিসেবে বেসিস স্টুডেন্টস ফোরাম গঠন করা হয়েছে। বেসিস ২০১৮ সালের মধ্যে ১০ লাখ আইটি প্রফেশনাল তৈরির কাজ করে যাচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতায় বেসিস তরুণদের বিনামূল্যে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। আশাকরি তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে এগিয়ে গেলে লক্ষ্যমাত্রার অনেক আগেই বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব।
বিসিএস সভাপতি এএইচএম মাহফুজুল আরিফ বলেন, সফল হতে হলে স্বপ্ন দেখতে হবে। সূর্যাস্তের আগে উঠতে হবে স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে।
বেসিস পরিচালক ও বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের আহ্বায়ক আরিফুল হাসান অপু বলেন, সারাদেশে শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বেসিস স্টুডেন্টস ফোরাম গঠন করা হয়েছে। আমরা আজকের এই আয়োজনের মাধ্যমে সারাদেশের সেই শতাধিক প্রাইভেট ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ আইটিপ্রেমীদেরকে আইটি ক্যারিয়ার গঠনে একত্রিত করেছি। এখানে এসে তারা তাদের ভবিষ্যত আইটি পেশা সম্পর্কে জানতে পারছে। আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নিজেদের আইটি ক্যারিয়ার গঠনে বিশেষ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। এছাড়া আমাদের পরিকল্পনা হিসেবে আমরা নিয়মিত বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের মাধ্যমে সেমিনার, কর্মশালা ও সম্মেলনের আয়োজন করে আসছি।
তানিম