রবিবার ● ৪ জানুয়ারী ২০১৫
প্রথম পাতা » আইসিটি বিশ্ব » নতুন বছরের শুরুতেই মনে আঘাত দিলো ফেসবুক!
নতুন বছরের শুরুতেই মনে আঘাত দিলো ফেসবুক!
নতুন বছর উপলক্ষে ফেসবুক নতুন একটি চমক দিয়েছে সবাইকে। আপনারা ইতিমধ্যে পেয়েছেন যে, ২০১৪ সালজুড়ে যা যা করেছেন, সেখান থেকে ভালো ছবি ব্যবহার করে এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে নানা রংচঙ মাখিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে ফেসবুক। এই অটো জেনারেটেড অপশন দিয়ে আপনার আশাবাদ এবং নস্টালজিয়া তুলে ধরার চেষ্টা করেছে ফেসবুক।
ঝামেলা অন্যভাবে শুরু হয়েছে। লেখক এরিক মেয়ারের মেয়ের বছরটিকে এভাবে তুলে ধরতে গিয়ে ফেসবুক বেছে নিয়েছে এমন ছবি যাতে বেজায় নাখোশ হয়েছেন তিনি এবং অনেকে। একটা অনুষ্ঠানে বিশেষ ভঙ্গিমায় নাচার দৃশ্যটিকে ভালো চোখে দেখেননি কেউ। বেজায় চটেছেন লেখক এবং তার পক্ষ হয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে অনলাইনে।
মেয়ার খুব ভদ্রোচিতভাবে বিষয়টি তুলে ধরেছেন ফেসবুকের কাছে। এমনকি অভিযোগ উত্থাপনের প্রেক্ষিতে ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি তাদের ওপরই ন্যস্ত করেছেন।
গত এক বছরে ফেসবুকে লক্ষ-কোটি ডেটা থেকে সঠিক ছবিটি বের করে নেওয়ার মতো পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেনি ফেসবুক। তাই অনেকের ক্ষেত্রে এমন ছবি উঠে এসেছে যা মেনে নেওয়া যায় না। এ দিয়ে নতুন বছরের শুরুতেই অনেকের মনে আঘাত দিয়ে ফেলেছে ফেসবুক। তাই মানুষের মানসিক বিষয়টি মাথায় রেখে ফেসবুকের আরো নিখুঁত হওয়াটা বাঞ্ছনীয় বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
অনেকেই বলেন, এটা ঠিক যে এই বিশাল সোশাল মিডিয়া নিয়ে সব সময় নিখুঁত কাজ করা সম্ভব নয়। আসলে যে অ্যালগোরিদম (গাণিতিক প্রক্রিয়া) এর মাধ্যমে ছবিগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাছাই করা হয়েছে, সেই গাণিতিক প্রক্রিয়া কোন ছবিটি মানুষের মন খারাপ করে দেবে তা ধরতে অক্ষম। সম্ভবত অ্যালগোরিদম এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যা সবচেয়ে বেশি আপলোড হওয়া বা সবচেয়ে বেশিদিন ধরে থাকা ছবিটিকেই বেছে নেবে। তাই অনেকের ছবি এমন অর্থ প্রকাশ করছে যে তার গেলো বছরটি খুবই খারাপ গেছে। এ নিয়ে অনেকেই মনে দারুণ আঘাত পেয়েছেন। এ ধরনের যন্ত্রণাদায়ক ছবিটি কিভাবে বিনোদন অর্থে ব্যবহার করা হলো, তা বহু ব্যবহারকারীর বড় ধরনের প্রশ্ন।
কিছু দিন আগে এই ব্যথিতদের ফেসবুক পছন্দের ভিডিও তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে। এত ভালো বন্ধু হওয়ার জন্যে ফেসবুককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা। তবে ফেসবুক জানিয়েছে তাদের কিছু কাজ করা উচিত ছিলো। কিন্তু এই ‘উচিত’ শব্দটিকে মেনে নিতে নারাজ ব্যবহারকারীরা।
সূত্র : ইনডিপেন্ডেন্ট