রবিবার ● ২১ ডিসেম্বর ২০১৪
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » বেসিসের এজিএম-ইজিএম অনুষ্ঠিত
বেসিসের এজিএম-ইজিএম অনুষ্ঠিত
দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। বেসিস সভাপতি শামীম আহসানের সভাপতিত্বে সভায় বেসিসের সদস্য কোম্পানির প্রতিনিধিরা অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন বেসিসের সহ-সভাপতি এম রাশিদুল হাসান, মহাসচিব উত্তম কুমার পাল, যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, কোষাধ্যক্ষ শাহ ইমরাউল কায়ীশ, পরিচালক সানি মো. আশরাফ খান, সামিরা জুবেরী হিমিকা, আরিফুল হাসান ও নির্বাহী পরিচালক সামি আহমেদ। এছাড়া বেসিসের প্রাক্তন সভাপতি মাহবুব জামান, রফিকুল ইসলাম রাউলি, একেএম ফাহিম মাশরুর, এ তৌহিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বেসিস মহাসচিব উত্তম কুমার পাল বেসিসের ২০১৪ সালের কর্মকান্ডের বিবরণী এবং কোষাধ্যক্ষ শাহ ইমরাউল কায়ীশ বিগত ২০১৩-১৪ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পেশ করেন। পেশকৃত এসব প্রতিবেদনের উপর সভায় উপস্থিত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য আলোচনায় অংশ নেন ও গুরুত্বপূর্ণ মতামত দেন। বার্ষিক সাধারণ সভার আগে বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বেসিসের সেক্রেটারিয়েটকে আরও গতিশীল, কার্যকর, আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এই সভায় বেসিসের গঠনতন্ত্রে বেশ কিছু সংশোধনী পাশ হয়। এসব সংশোধনীর মধ্যে রয়েছে কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদ বাড়ানো এবং প্রতিবছর ৩টি পরিচালক পদে নির্বাচন, নির্বাহী পরিচালক (ইডি) কে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য করা ও আর্থিক ক্ষমতা দেওয়া, মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব ও ট্রেজারার পদগুলো বিলুপ্ত করে সহ-সভাপতির একটি পদ বাড়ানো ও পরিচালক পদে ৩ জনের পরিবর্তে ৫ জন করা ইত্যাদি।
নির্বাহী পরিচালক যোগ হওয়ায় নতুন সংশোধন অনুযায়ী কার্যনির্বাহী ১০টি পদের ক্রম হবে, সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, দুইজন সহ-সভাপতি, নির্বাহী পরিচালক ও পাঁচজন পরিচালক। এছাড়া প্রেসিডেন্ট ফোরামের বর্তমান সদস্য সংখ্যা পাঁচজন এর পরিবর্তে সকল সাবেক সভাপতিই প্রেসিডেন্টস ফোরামের সদস্য হিসেবে যুক্ত হবেন। বেসিস সভাপতি শামীম আহসান বলেন, আমরা বেসিস সেক্রেটারিয়েটকে আরও গতিশীল, শক্তিশালী ও কার্যকর করতে এবং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে বেশ কিছু সংশোধনী এনেছি। এগুলোর মাধ্যমে বেসিস তার ‘ওয়ান বাংলাদেশ’ ও সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে আরও কার্যকর ও দ্রুতভাবে কাজ করতে পারবে বলে আমরা আশা করছি। বেসিসের প্রাক্তন সভাপতি মাহবুব জামান বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের আইটি শিল্পের ব্র্যান্ডিং এর জন্য মোবাইল অ্যাপস ও গেমস হতে পারে পরিচিতির একটি বড় নির্দেশক।
বেসিসের প্রাক্তন সভাপতি রফিকুল ইসলাম রাউলি বলেন, অনেকদিন ধরেই বেসিস সদস্য কোম্পানিদের প্রত্যাশা ছিলো আরও শক্তিশালী একটি সেক্রেটারিয়েট। নতুন এই সংশোধনীর মাধ্যমে সেটি সম্ভব বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরও বলেন, বেসিসের যথেষ্ট ব্রান্ডিং হলেও দেশের আইটি শিল্পের ব্র্যান্ডিং সেভাবে হয়নি। এজন্য নিয়মিতভাবে একটি নিউজ লেটার প্রকাশের পরামর্শ দেন তিনি। বেসিসের অপর প্রাক্তন সভাপতি ফাহিম মাশরুর গঠনতন্ত্রের নতুন সংশোধনীকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, সরকার ঢাকার বাইরে আইটি পার্ক তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে অথচ ৯৫ ভাগ আইটি কোম্পানি ঢাকায় থাকা সত্বেও ঢাকাতে আজ অবধি কোনো সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক বা আইটি ভিলেজ গড়ে ওঠেনি। বেসিস থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দেওয়া দরকার।