সর্বশেষ সংবাদ
ঢাকা, জানুয়ারী ৫, ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১
ICT NEWS (আইসিটি নিউজ) | Online Newspaper of Bangladesh |
সোমবার ● ২৩ জানুয়ারী ২০১২
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » প্রযুক্তিগত ভাবে চাঁদের থাকার উপযুক্ত স্টেশন তৈরী করা যাবে তৃতীয় দশকেই
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » প্রযুক্তিগত ভাবে চাঁদের থাকার উপযুক্ত স্টেশন তৈরী করা যাবে তৃতীয় দশকেই
৬১৮ বার পঠিত
সোমবার ● ২৩ জানুয়ারী ২০১২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

প্রযুক্তিগত ভাবে চাঁদের থাকার উপযুক্ত স্টেশন তৈরী করা যাবে তৃতীয় দশকেই

প্রযুক্তিগত ভাবে চাঁদের থাকার উপযুক্ত স্টেশন তৈরী করা যাবে তৃতীয় দশকেই

রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা চাঁদে যাবেন, সেখানে শীঘ্রই থাকার মতো স্টেশন তৈরী হবে. এর জন্য ২০২০ সালের মধ্যে চাঁদের উদ্দেশ্যে দুটি চাঁদের পিঠে নামার মতো “লুনা - রিসোর্স” ও “লুনা- গ্লোব” নামে মহাকাশযান পাঠানোর কথা হয়েছে. খবর জানিয়েছেন রসকসমস সংস্থার প্রধান ভ্লাদিমির পাপোভকিন. আজ থেকে বছর কুড়ি বাদেই মানুষ চাঁদে ছুটি কাটাতে যেতে পারবেন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন.

প্রযুক্তিগত ভাবে চাঁদের থাকার উপযুক্ত স্টেশন তৈরী করা যাবে তৃতীয় দশকেই. প্রথমে চাঁদে থাকতে যাবেন বৈজ্ঞানিকেরা, তাঁরা সেখানে পদার্থবিদ্যা, জীব বিদ্যা ও ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে গবেষণা করে দেখবেন. ধীরে চাঁদে জীবনের উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরী করা হবে, তার মধ্যে পর্যটনের উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরী হবে. প্রথম থেকেই মানব সমাজের চাঁদের জন্য বিশাল কোনও পরিকল্পনা ছিল না, কিন্তু যবে থেকে চাঁদের জলের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, বৈজ্ঞানিকেরা নিজেদের মত পরিবর্তন করেছেন, এই ধারণা ব্যাখ্যা করে রুশ বিজ্ঞান একাডেমীর মহাকাশ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ল্যাবরেটরী প্রধান ইগর মিত্রোফানভ বলেছেন:

“আমরা বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মহাকাশ প্রকল্প তৈরী করতে বাধ্য, যা প্রযুক্তির উন্নয়ন করবে ও প্রাথমিক ভাবে আমরা এই রকমের ঘাঁটি তৈরী করতে পারবো. প্রথম পদক্ষেপ হতে চলেছে এই দুটি মহাকাশ যান, যা চাঁদের পিঠে নামবে. সেখানে আমরা পরীক্ষা করে দেখবো, যা আমাদের পরবর্তী কালে চাঁদ ও তার সম্পদ ব্যবহারের জন্য সাহায্য করবে. চাঁদের মেরুতে পরিস্থিতি তার বিষুবরেখা ও নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের তুলনায় যথেষ্ট আলাদা রকমের, যেখানে আগে সোভিয়েত ও মার্কিন মহাকাশচারীদের পাঠানো হয়েছিল. চাঁদের মেরুতে জলের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে. এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ, যা আমাদের জন্য নতুন সম্ভাবনার পথ খুলে দিয়েছে”.

মানুষে চাঁদে মাটির তলায় থাকতে পারবে, সেখানে মানুষের জন্য মৃত্যুর মতো বিপজ্জনক মহাকাশের তেজষ্ক্রিয় রশ্মির বিকীরণ নেই ও পৃথিবীর মতোই তুলনার যোগ্য মাধ্যাকর্ষণ রয়েছে, যা মানুষে অভ্যস্ত. চাঁদের উপরে মহাকাশ যাত্রীর বিশেষ পোষাক স্কাফান্দার পরে বের হওয়া চলতে পারে, সুতরাং মনে হয় না যে, এই উপগ্রহে রোদ পোহানো চলবে. চাঁদের ঘাঁটি স্ট্র্যাটেজিক কারণেই দরকার, এই কথা ব্যাখ্যা করে “এনার্জ্জি” রকেট মহাকাশ কর্পোরেশনের প্রধান আলেকজান্ডার আলেকস্রান্দভ বলেছেন:

“চাঁদের ঘাঁটি - এটা পৃথিবীর মানুষের জন্য স্ট্র্যাটেজি মূলক কাজ. আন্টার্কটিকাও আমরা ঘাঁটি তৈরী করে অনুসন্ধান করতে শুরু করেছিলাম, সেই ভাবেই আমরা অন্যগ্রহ সম্বন্ধে গবেষণা করতে শুরু করব, সেখানে অল্প সময়ের জন্য উড়ে গিয়ে. পরে সেখানে পরিকাঠামো তৈরী হবে, এটা বিশ্বের মানুষদের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ. চাঁদে ঘাঁটি অবশ্যই তৈরী হবে”.

চাঁদের ঘাঁটি নতুন মহাকাশ যান তৈরী ও পরীক্ষা করার কাজ করতে দেবে, যা মঙ্গল ও অন্যান্য গ্রহে যেতে দেবে আর জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সূর্য ও অন্যান্য নক্ষত্র ভাল করে পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন. সময়ের সঙ্গেই মানব সমাজ শিল্প গঠন করতে পারবে পৃথিবীর উপগ্রহে. সেখান থেকে ব্যবহার যোগ্য খনিজ আহরণ করা সম্ভব হবে, নানা রকমের কারখানা ও সবচেয়ে বড় কথা মহাকাশ উড়ান কেন্দ্র তৈরী করা সম্ভব হবে, যেখান থেকে মহাবিশ্বের বহু দূর দূরান্তরে মহাকাশ যান পাঠানো সম্ভব হবে, এই রকম বিশ্বাস নিয়েই ইগর মিত্রোফানভ বলেছেন:

“চাঁদের মহাকাশ উড়ান কেন্দ্র থেকেই যেমন মঙ্গলের দিকে মহাকাশ যান পাঠানো সম্ভব হতে পারে, তা ভবিষ্যতে আরও বাস্তব ও লাভের বিষয় হতে পারে. কারণ পৃথিবীর কাছের কক্ষপথে এই ধরনের মহাকাশ যান জোড়া দেওয়া বা পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ পার হওয়া, চাঁদের পিঠ থেকে এই ধরনের অভিযান করার থেকে অনেক জটিল কাজ”.

আপাততঃ যখন বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর উপগ্রহ কাজে লাগানোর জন্য পরিকল্পনা করছেন, তখনই ব্যবসায়ীরা চাঁদের পিঠে জমি বিক্রী করে কম লাভ করছেন না. যে কোন লোকই চাঁদে বর্তমানে জায়গা কিনতে পারে একেকটা টুকরো সাড়ে সাত হাজার ডলার দাম দিয়ে.



প্রধান সংবাদ এর আরও খবর

নতুন “ডিজিটাল সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৪” মানবাধিকার লঙ্ঘনের নতুন হাতিয়ার নতুন “ডিজিটাল সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৪” মানবাধিকার লঙ্ঘনের নতুন হাতিয়ার
মাস্টারকার্ডের ‘উইন্টার স্পেন্ড অ্যান্ড উইন ক্যাম্পেইন ২০২৫’ শুরু মাস্টারকার্ডের ‘উইন্টার স্পেন্ড অ্যান্ড উইন ক্যাম্পেইন ২০২৫’ শুরু
২০২৫ সালের সাইবার হামলার ঝুঁকি ও সাপ্লাই চেইন হুমকি বিশ্লেষণ করেছে ক্যাসপারস্কি ২০২৫ সালের সাইবার হামলার ঝুঁকি ও সাপ্লাই চেইন হুমকি বিশ্লেষণ করেছে ক্যাসপারস্কি
নতুন বছরে ইনফিনিক্স হট ৫০ স্মার্টফোনে ছাড় নতুন বছরে ইনফিনিক্স হট ৫০ স্মার্টফোনে ছাড়
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪ নিয়ে ভয়েস এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪ নিয়ে ভয়েস এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ভিভো এক্স২০০ এ চলছে প্রি-অর্ডার, থাকছে অফার ভিভো এক্স২০০ এ চলছে প্রি-অর্ডার, থাকছে অফার
উইকিপিডিয়া কীভাবে পরিচালিত হয়, কতটা নির্ভরযোগ্য এর তথ্য? উইকিপিডিয়া কীভাবে পরিচালিত হয়, কতটা নির্ভরযোগ্য এর তথ্য?
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ মানুষকে বোকা বানানোর অপচেষ্টা: টিআইবি সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ মানুষকে বোকা বানানোর অপচেষ্টা: টিআইবি
নতুন বছরে অনার বাংলাদেশের মূল্যছাড় ও ক্যাশব্যাক অফার নতুন বছরে অনার বাংলাদেশের মূল্যছাড় ও ক্যাশব্যাক অফার
অরেঞ্জ ক্লাব পার্টনারদের নিয়ে বাংলালিংকের ‘২০২৪ উইন্টার ফেস্ট’ অরেঞ্জ ক্লাব পার্টনারদের নিয়ে বাংলালিংকের ‘২০২৪ উইন্টার ফেস্ট’

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
নতুন “ডিজিটাল সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৪” মানবাধিকার লঙ্ঘনের নতুন হাতিয়ার
মাস্টারকার্ডের ‘উইন্টার স্পেন্ড অ্যান্ড উইন ক্যাম্পেইন ২০২৫’ শুরু
২০২৫ সালের সাইবার হামলার ঝুঁকি ও সাপ্লাই চেইন হুমকি বিশ্লেষণ করেছে ক্যাসপারস্কি
নতুন বছরে ইনফিনিক্স হট ৫০ স্মার্টফোনে ছাড়
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪ নিয়ে ভয়েস এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ভিভো এক্স২০০ এ চলছে প্রি-অর্ডার, থাকছে অফার
উইকিপিডিয়া কীভাবে পরিচালিত হয়, কতটা নির্ভরযোগ্য এর তথ্য?
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ মানুষকে বোকা বানানোর অপচেষ্টা: টিআইবি
নতুন বছরে অনার বাংলাদেশের মূল্যছাড় ও ক্যাশব্যাক অফার
অরেঞ্জ ক্লাব পার্টনারদের নিয়ে বাংলালিংকের ‘২০২৪ উইন্টার ফেস্ট’