শিল্পখাত বিকাশে মন্ত্রণালয়ের সব স্তরে চালু হবে ‘ই-ফাইলিং’

উদ্যোক্তাদের দ্রুত প্রয়োজনীয় সেবা দিতে মন্ত্রণালয়ের সব স্তরে ২০১৫ সালের জানুয়ারির মধ্যেই ই-ফাইলিং পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।

সোমবার সদ্য যোগদান করা শিল্পসচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়ার সভাপতিত্বে ‘গত ৫ বছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অর্জন ও ভবিষ্যৎ উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় জানানো হয়, ইতিমধ্যে দুটি শাখায় পরীক্ষামূলকভাবে এ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে গোটা মন্ত্রণালয়ে ই-ফাইলিং পদ্ধতি চালু হবে। এর ফলে দেশব্যাপি টেকসই শিল্পখাত বিকাশে মন্ত্রণালয়ের সেবাদান কার্যক্রম জোরদার হবে।

শিল্পখাতের উদ্যোক্তাদেরকে উৎসাহ দিতে মন্ত্রণালয় এ পর্যন্ত ১৭০ জন উদ্যোক্তাকে সিআইপি (শিল্প) কার্ড প্রদান করেছে বলেও সভায় তথ্য প্রকাশ করা হয়। এছাড়া উৎপাদন বৃদ্ধির প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে এ পর্যন্ত ১০টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়েছে।

সভায় বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ৮টি দপ্তর/সংস্থার সাথে শিল্প মন্ত্রণালয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করবে।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফরহাদ উদ্দিন। মন্ত্রণালয়ের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা ও গত পাঁচ বছরে অর্জিত সাফল্য উপস্থাপন করেন সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সলিম উল্লাহ। এতে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং এর আওতাধীন বিভিন্ন করপোরেশন ও সংস্থার প্রধানরা আলোচনায় অংশ নেয়।