শনিবার ● ২৫ অক্টোবর ২০১৪
প্রথম পাতা » অ্যাপস কর্নার » প্রেমিকেকে নজরদারিতে রাখতে ‘বয়ফ্রেন্ড ট্র্যাকার’ অ্যাপ
প্রেমিকেকে নজরদারিতে রাখতে ‘বয়ফ্রেন্ড ট্র্যাকার’ অ্যাপ
আপনার ছেলেবন্ধুটি কখন কোথায় যায়? কার সঙ্গে আলাপ করে এবং কার সঙ্গে কি সম্পর্ক? যাদের মনে এরকম সংশয় রয়েছে, তাদের জন্য সুখবর! সম্প্রতি ব্রাজিলের এক নির্মাতা মোবাইল ফোনের এরকমই একটি অ্যাপ তৈরি করেছেন। ইতিমধ্যে নিজের বয়ফ্রেন্ডের তথ্য গোপনে জানতে অনেকেই ব্যবহার করছেন এই ‘বয়ফ্রেন্ড ট্র্যাকার’ অ্যাপ। অবশ্য এই অ্যাপ নিয়ে চলছে ব্যাপক বিতর্ক!
বিতর্ক মূলত ব্রাজিলে। কারণ সেখানেই দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ‘বয়ফ্রেন্ড ট্র্যাকার’। অবস্থা বেগতিক দেখে গুগল তার স্টোর থেকে অ্যাপটি সরিয়ে ফেলেছে। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটি কোনও কারণ ব্যাখ্যা না করলেও ধারণা করা হচ্ছে, এই অ্যাপটি গোপনীয়তা-সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করছে!
নির্মাতা মাথিয়ুস গ্রিজোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মাত্র দুই মাস আগে প্রকাশ করা হয় অ্যাপটি। আর এরই মধ্যে পঞ্চাশ হাজারের মতো মানুষ সেটি ব্যবহার শুরু করে ফেলেছে।
বছর ৪৭-এর মারেসিয়া আলমাইদার, রিও ডি জানিরোর বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘ব্রাজিলীয়রা খুব কুচুটে স্বভাবের। নিঃসন্দেহে অ্যাপটি এখানে জনপ্রিয়তা পাবে’। বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগে সাত বছর আগে নিজের স্বামীকে ত্যাগ করেছেন আলমাইদার। তিনি এই অ্যাপের কার্যক্রমকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) নজরদারির সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ‘এটি একটি ভিন্ন ধরনের গোয়েন্দাগিরি। আপনি আপনার ঘনিষ্ঠ একজনের ওপর নজরদারি করছেন, অপরিচিত কারুর ওপরে নয়।’
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, গ্রিজোর এই উদ্ভাবন ব্যক্তিগত গোপনীয়তাবিষয়ক আইন লঙ্ঘন করে থাকতে পারে। তা ছাড়া ছেলেবন্ধুর ওপর নজরদারির বিষয়টি হাস্যকর হলেও বিপজ্জনক কাজেও অ্যাপটি ব্যবহার করা যেতে পারে বলে দাবি করছেন তারা। বিশেষ করে এটি একজন ব্যক্তির অবস্থান তাঁর নিজের অজান্তেই অন্যকে জানাতে পারে। যাঁর ওপর নজর রাখা হচ্ছে তাঁর মোবাইলে আসা বা মোবাইল থেকে যাওয়া বার্তা অন্য কোনো ফোনে ফরওয়ার্ড করা যেতে পারে। যে ফোনে এই অ্যাপটি সেটআপ করা হয়েছে, সেটি ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই নিরবে অন্য কোনো ফোনে কল করতে পারে। এতে করে নজরে থাকা ব্যক্তির কথোপকথনও অন্য কেউ শুনতে পারবে।
ডেভেলপার গ্রিজো অবশ্য মনে করেন, তাঁর অ্যাপ কোনো ধরনের গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন করছে না। তাই গুগল তাদের স্টোর থেকে অ্যাপটি সরিয়ে ফেললেও গ্রিজোর ওয়েবসাইটে সেটি এখনো রয়েছে।
বোঝা যাচ্ছে না অ্যাপটির ভবিষ্যৎ কি দাঁড়াবে। তবে আর যাই হোক এটি কারো জীবনে হাস্যরস যোগানো থেকে শুরু করে মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনতে পারে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ইন্টারনেট