শনিবার ● ২৫ অক্টোবর ২০১৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » প্রযুক্তির ভ্রাম্যমান হোটেল !!
প্রযুক্তির ভ্রাম্যমান হোটেল !!
কমদামে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সরবরাহের লক্ষ্যে রাজধানীতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিডি করপোরেশনের সঙ্গে মিলে ভ্রাম্যমাণ হোটেল চালুর উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)
ইতোমধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিক্রির জন্য প্রতিষ্ঠানটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি বিশেষ ধরনের ২৫টি গাড়ি আমদানির প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে। গাড়িগুলোতে এয়ার কন্ডিশনসহ খাবার মান নিয়ন্ত্রণে উন্নত সব প্রযুক্তি থাকবে।
সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট নথিতে বলা হয়েছে, প্রায় ৯০ লাখ লোকের বসবাস ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে। এ অঞ্চলে অপেক্ষাকৃত বিত্তবান ও অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বসবাস হওয়ায় তাদের জীবনযাত্রার মানও অনেক উন্নত। সঙ্গত কারণে খাবারের হোটেলগুলোতেও প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর দাম অনেক বেশি। ফলে মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে এ অঞ্চলের হোটেলগুলো থেকে খাবার কিনে খাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না।
ভ্রাম্যমাণ খাবার গাড়িগুলোতে থাকবে আধুনিক সব ধরনের খাবারের মেন্যু। যা গুলশান, বনানী ও বারিধারার হোটেলগুলোর দামের চেয়ে দুই তৃতীয়াংশ পর্যন্ত কম হবে। খাবারের মান হবে থ্রি স্টার বা ফাইভ স্টার হোটেলের মতো।
সূত্র জানায়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিডি করপোরেশন ভ্রাম্যমাণ খাবারগাড়িতে করে প্রস্তুতকৃত খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করার জন্য ডিএনসিসিকে একটি প্রস্তাব দেয়। এজন্য তারা ডিএনসিসির আওতাধীন অভিজাত এলাকা গুলশান, বনানী ও উত্তরার ১৬টি এলাকায় সার্ভিসটি চালু করার প্রস্তাব করেছে।
উক্ত এলাকাগুলো হচ্ছে- গুলশান-১ (তেজগাঁও লিংরোড) সিটি করপোরেশন পার্ক ও সুটিং কমপ্লেক্স এলাকা, ডিএনসিসি মার্কেট-১, ডিএনসিসি মার্কেট-২, গুলশান সার্কেল-১, গুলশান সার্কেল-২, গুলশার-২ এর কস্তুরি পার্কিং এলাকা, গুলশান-২ এর শেষ সিমানা, বনানী সিটি করপোরেশন কমিউনিটি সেন্টার পার্কিং এলাকা, বনানী বাজার সিটি করপোরেশন মার্কেট এলাকা, বনানী মসজিদ এলাকা, বনানী স্টার কাবাব এলাকা, মহাখালী আইসিসিডিআরবি, মহাখালী বাজার এলাকা, সংসদ ভবন এলাকা, উত্তরা সেক্টর ১ থেকে ৩, ৭ থেকে ৮, ১১ থেকে ১২ ও ১৩ থেকে ১৪।
তবে বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মান অপেক্ষাকৃত অনুন্নত হওয়ায় ডিএনসিসির অঞ্চল ২ ও ৪ এবং ৫ এর অধিকাংশ এলাকা এর প্রকল্পের আওতায় আসছে না।
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মাসুদ আহসান বলেন, ‘অভিজাত এলাকা গুলশান, বনানী ও বারিধারায় হোটেলগুলোর খাদ্যের দাম অনেক বেশি। যে কারণে তা সাধারণ নিম্ন বা মধ্য আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে। ডিএনসিসির এ প্রকল্পটির মাধ্যমে আমরা এ এলাকার সাধারণ মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ করে রাজস্ব আয় বাড়াতে পারবো।’
তিনি আরও জানান, প্রকল্পটি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আগামী বৈঠকে পাস হতে পারে।
সীমিত পরিসরে নিরাপদ খাদ্য ব্যবসার মাধ্যমে অর্থনীতিতে নতুন কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি করা এবং ভাসমান ও স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য খাদ্য ব্যবস্থাপনায় অবদান রাখাই হচ্ছে ডিএনসিসির লক্ষ্য। এছাড়া এর মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, বেআইনি গাড়ি ও দোকান প্রতিরোধ করা যাবে বলেও মনে করছে ডিএনসিসি।