মঙ্গলবার ● ১৪ অক্টোবর ২০১৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ৫ কোটি গ্রাহকের মাইলফলক অতিক্রম করলো গ্রামীণফোন
৫ কোটি গ্রাহকের মাইলফলক অতিক্রম করলো গ্রামীণফোন
বাংলাদেশে ৫ কোটি গ্রাহকের মাইলফলক অতিক্রমকারী প্রথম মোবাইল টেলিযোগাযোগ অপারেটর হিসেবে অগ্রযাত্রা অটুট রেখেছে গ্রামীণফোন। আজ ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা প্রদান করা হয়।
“আজকে আমাদের এই মাইলফলক উদযাপন আমাদের গ্রাহকদের নিয়েই। আমরা যখন এই যাত্রা শুরু করেছিলাম, তখন আমাদের অঙ্গীকার ছিলো আমাদের গ্রাহকদের জন্য আপোষহীন সেবা প্রদান করা। আমি আজ আনন্দিত কারণ আমরা আমাদের অঙ্গীকার থেকে বিচ্যুত হইনি এবং এখনও গ্রাহকদের জন্য সর্বোত্তম সেবা দিতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। গ্রাহক সেবাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য”, বলেন গ্রামীণফোনের সিইও বিবেক সুদ।
তিনি আরো বলেন, “আমাদের গ্রাহক, সহযোগী, রেগুলেটর এবং অন্যান্য অংশীদারদের অক্লান্ত সমর্থন ছাড়া আমরা এত দূর আসতে পারতাম না।”
সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের সিইও এটাও জানান যে আগামী পাঁচ বছরে প্রতিষ্ঠানটি ৫কোটি ইন্টারনেট গ্রাহককে নিজস্ব নেটওয়ার্কের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করেছে।
৫ কোটি গ্রাহকের এই মাইলফলক উদযাপন শুধুমাত্র গ্রামীণফোনের জন্যই নয়, এমনটি জানিয়ে “একসাথে উদযাপনের” উদ্দেশ্যে গ্রাহকদের জন্য আকর্ষণীয় সব অফারের তালিকা তুলে ধরেন চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) অ্যালান বনকে।
এই উদযাপনের আওতায়, গ্রামীণফোন থ্রিজি গ্রাহকেরা তাদের মোবাইল ডিভাইসে বিদ্যমান ইন্টারনেট প্যাকেজে কোন অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই দ্বিগুন ইন্টারনেট গতি উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও জিপি নেটওয়ার্কের আওতায় গ্রাহকরা প্রতি ১০ সেকেন্ড পালসে ৫ পয়সার বিশেষ রেট উপভোগ করতে পারবেন সীমিত সময়ের জন্য। “সবচেয়ে বেশি গ্রাহককে সেবা প্রদানকারী অপারেটর হিসেবে আমরা সবচেয়ে বেশি মানুষকে নিয়ে উদযাপন করছি। সবচেয়ে বড় উদযাপনের অংশগ্রহণে সবাইকে স্বাগতম,” বলেন সিএমও।
গ্রামীণফোনের প্রথম এবং ৫ কোটিতম গ্রাহক এসময় উপস্থিত ছিলেন এবং তাদেরকে বিশেষ স্মৃতিস্মারক দিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
গ্রাহক কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে অতি সম্প্রতি গ্রামীণফোন “কাস্টোমার ফার্স্ট” উদ্যোগের আওতায় কর্মকর্তাদের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন চালু করেছে যার মাধ্যমে কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠানটির ব্র্যান্ড মুখপাত্র হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারবেন। গ্রাহকদের মতামত জানতে এবং তাদের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে গ্রামীণফোন প্রতিনিয়তই নিত্য নতুন উপায় খুঁজে নিচ্ছে।
মার্চ ২৬, ১৯৯৭ তারিখে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে যাত্রা শুরু করে বর্তমানে দেশের সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক এখন গ্রামীণফোনের। “সবার জন্য ইন্টারনেট” লক্ষ্যের আওতায় গ্রামীণফোন প্রথম অপারেটর হিসেবে দেশের ৬৪টি জেলায় থ্রিজি সেবা পৌছে দিয়েছে। দেশজুড়ে বর্তমানে গ্রামীণফোনের ৮,৬০০টি বেস স্টেশনের মাধ্যমে ৯৯% জনগণের মাঝে মোবাইল নেটওয়ার্ক পৌছে যাচ্ছে।
সর্বপ্রথম অপারেটর হিসেবে গ্রামীণফোন ১৯৯৯ সালে প্রি-পেইড সেবা ও আন্তর্জাতিক রোমিং সেবা, ২০০০ সালে ওয়্যাপ সেবা, ২০০৫ সালে এজ সেবা সহ অনেক সুবিধাই গ্রাহকদের জন্য নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মোবাইল অপারটের এবং মোবাইল ইন্টারনেটের অগ্রদূত হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করার এবং গ্রাহকদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার লক্ষ্য গ্রহন করেছে।