বুধবার ● ২৯ জুন ২০১১
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » ইষ্ট ওয়েষ্ট ইউনিভার্সিটিতে প্রযুক্তি উৎসব
ইষ্ট ওয়েষ্ট ইউনিভার্সিটিতে প্রযুক্তি উৎসব
ইষ্ট ওয়েষ্ট ইউনিভাসিটিতে হয়ে গেল চার দিন ব্যাপী প্রযুক্তি উৎসব। গত ২৫ জুন শুরু হয় এই উৎসব। ইষ্ট ওয়েষ্ট ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রনিক্স ক্লাবের আয়োজনে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজার ২০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে। উৎসবের প্রথম দিনে অনুষ্ঠিত হয় কর্মশালা। কর্মশালায় ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করেন। কর্মশালায় পিচপাইপ ল্যাব ও ম্যাট ল্যাব বিষয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবের দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠিত হয় মুভি শো। মুভি শোতে দেখোনো হয় তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে সিনেমা। তৃতীয় দিনে ক্যারিয়ার বিষায়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শেষ দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় সবচেয়ে আকর্ষনীয় প্রজেক্ট প্রদর্শনী ও কুইজ প্রতিযোগীতা।
শেষ দিনের প্রজেক্ট প্রদর্শনীতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২৮টি প্রকল্প প্রদর্শন করা হয়। আয়োজনে বুয়েটের সিএসসি বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রদর্শন করেন জিডিটাল টেম্পার্যাচার মিটার এন্ড ফ্যান অটোমেশন প্রকল্পটি। প্রকল্পের উদ্ভাবকদের মধ্যে সুবির সাহা বলেন, দেশের বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করা হয় আমাদের এই প্রকল্পটি অনেক বেশী কাজ করবে। এই প্রকল্পে মাধ্যমে তাপমাত্রা অনুযাই ফ্যানের গতি কম বেশী হবে। এই প্রকল্পের সবচেয়ে আকর্ষনীয় দিক হলো ঘরের মধ্যে যদি কোন লোক না থাকে তবে ফ্যান অটো বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি বলেণ এর ফলে বিদ্যুতের অনেক অপচয় রোধ করা যাবে। ইষ্ট ওয়েষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এরিক, তৌহিদুর ইসলাম ও মো. তাহলা প্রদর্শন করছে রেইন টাইম অটোমেটিক উইন্ডো ক্লোজার। তারা জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে বৃষ্টি হয়ে অটোমেটিক ভাবে জালানা বন্ধ হয়ে যাবে। এর ফলে বাইরে বের হওয়ার সময় যদি ভুলে জালানা বন্ধ করতে ভুলে যান তাহলে বৃষ্টি শুরু হওয়া মাত্র আটোমেটিক ভাবে জালানা বন্ধ হয়ে যাবে। তারা বলেন, এই প্রকল্পটি আরো ব্যাপক আকারে চালু করার সুযোগ আছে। এছাড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ইউআইউইউ, এশিয়া প্যাসিফিক, সাউথ ইষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়সহ ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহন করেন।
আয়োজক ইষ্ট ওয়েষ্ট ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রনিক্স ক্লাবের সভাপতি ফাহমিদুর রহমান অনি বলেন, খুব ভালো সারা পাচ্ছি উৎসবে। আমাদের ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রতিবছর এই উৎসব আয়োজন করতে চাই। তিনি বলেন এর ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের অবসর সময় ভালো বিভিন্ন উদ্ভবন মুলক কাজে ব্যায় করতে পারবে। এর ফলে দেশেও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অনেক বেশী উন্নতি হবে। উৎসবে ঘুরতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ শিক্ষার্থী সালাম বিনতে বুশরা বলেন, প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই রকম বিভিন্ন উদ্ভবন মূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা উচিত। উৎসবে পুরো ইউনিভার্সিটিতে উৎসবের আমেজ দেখা দিয়েছে।
অনুষ্ঠানের শেষ দিনে সমাপনি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেণ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ড. মো. ফরাস উদ্দিন।