বুধবার ● ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪
প্রথম পাতা » অ্যাপস কর্নার » ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে সরকারের ২৫টি মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে সরকারের ২৫টি মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন
বর্তমান সরকার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের মাধ্যমে মানুষের উন্নত জীবন যাপনের স্বপ্ন পূরণ করে জনগনের আরো কাছে যেতে চাই। ইতিমধ্যে দেশের মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পেতে শুরু করেছে। জনগনের দ্বারগোড়ায় সরকারী সেবা পৌছে দিতে আগামীতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হবে। আজ ২৫টি নতুন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন উদ্বোধন সরকারের জনগনের আরো কাছে যাওয়ার প্রচেষ্টারই অংশ।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওতে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) অডিটরিয়ামে ‘জনগনের আরো কাছে’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডাক, টেলিযোগাাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহ্মেদ পলক, এমপি। ‘জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচীর’ আওতায় বাংলাদেশ সরকাররের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধিদপ্তরের নির্বাচিত সেবা নিয়ে নির্মিতব্য ১০০টি মোবাইল এ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে গতকাল ২৫টি মোবাইল এ্যাপসের প্রথম সংস্করণ উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ ফারুক, বেসিসের জ্যেষ্ঠ সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি আবু হানিফ মো: মাহফুজুল আরিফ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন প্রকল্পের কর্মসূচী পরিচালক মিনা মাসুদ উজ্জামান, কর্মসূচী উপপরিচালক আলাওল কবির, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান এমসিসি লিমিটেডের সিইও আশ্রাফ আবির, ইএটিএল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুবিন খানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ তথ্য প্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, মোবাইল এ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন তথ্য ও সেবা পৌছে দিতে সরকার বদ্ধ পরিকর। থ্রিজি মোবাইল সেবা চালুর ফলে এখন তরুণ প্রচেষ্টায় হাতে হাতে স্মার্টফোন। এসব স্মার্টফোনের কার্যকর ব্যবহারের জন্য প্রচুর স্থানীয় মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন প্রয়োজন। সরকার বেসরকারী উদ্যোক্তাদের এ কাজে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জরুরী সেবাগুলো আস্তে আস্তে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে নিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, আজ যে এ্যাপ্লিকেশনগুলো উদ্বোধন করা হলো তা পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধিদপ্তর নিয়মিত হালনাগাদ রাখবে বলে আশা করি। বর্তমানে এসব এ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেলেও পরবর্তীতে তার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ সেবা দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ ফারুক বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ জনগনের হাতের মুঠোয় সরকারী তথ্য ও সেবা পৌছে দেওয়ার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এই ধরনের প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য গ্রহণের বিষয়ে সাধারণ মানুষের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে।
অনুষ্ঠানে এমসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আবির বলেন, সরকারী সেবা জনগনের কাছে নিয়ে যাওয়ার এই উদ্যোগের সাথে যুক্ত থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত। স্মার্টফোনে ইন্টারনেটের ব্যবহারকে কার্যকর করার জন্য আরো নতুন নতুন এ্যাপ্লিকেশন আনতে হবে। সরকারীভাবে শুরু হওয়া এই উদ্যোগকে অব্যাহত রাখতে হবে।
উদ্বোধন করা ২৫টি এ্যাপ্লিকেশন হচ্ছে-তথ্য অধিকার আইন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিএইচবিএফসি লোন ক্যালকুলেটর, নজরুল গীতি, সঞ্চিতা, ঢাকা চিড়িয়াখানা, সরকারী সেবা, বিটিআরসি, কপি রাইট আইন, আর্কিওলজী অব বাংলাদেশ, পাবলিক লাইব্রেরী, টেক্সটাইল ক্যালকুলেটর, প্রাইজ বন্ড, ই-জয়ীতা, এফডিসি, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, অফিসের ব্যায়াম, ৭২’এর সংবিধান, নদ-নদীর তথ্য, হাসপাতাল ফাইন্ডার, মাদকদ্রব্য ও কিশোর অপরাধ, ইমিউনাইজেশন এ্যালার্ট, ইনসেক্ট কন্ট্রোর অব ক্রপ, রুফ গার্ডেনিং, ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষ। এসব এ্যাপ্লিকেশন গুগল প্লে স্টোর এবং স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাটে পাওয়া যাবে।
অনুষ্ঠানে অ্যাপস উপস্থাপন ও আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এসময় ‘জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচীর’ অগ্রগতি, বাংলাদেশে স্মার্টফোন ও মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার, ২০২১ সালে তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ শীর্ষক বিভিন্ন জরুরী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। নজরুল ইন্সটিটিউটের পরিবেশনায় একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।