রবিবার ● ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » ঢাকায় মুক্ত সফটওয়্যার দিবস পালিত
ঢাকায় মুক্ত সফটওয়্যার দিবস পালিত
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হলো মুক্ত সফটওয়্যার দিবস। প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় শনিবার বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে জাঁকজমকভাবে পালিত হয় এই দিবসটি। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে পালন করা হয়েছে ‘মুক্ত সফটওয়্যার দিবস ২০১৪’। ২০০৪ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা এই দিবসটি পালন করে আসছে। বাংলাদেশে ২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) দিবসটি পালন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলনের গুরুত্ব ও অবদান তুলে ধরতে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে। বিডিওএসএন উদ্যোগে এবং ওপেন নলেজ বাংলাদেশ ও ক্রিয়েটিভ কমন্স বাংলাদেশের সহযোগিতায় গত শনিবার বিডিওএসএন কার্যালয়ে কেক কাটা হয়। পরে অনুষ্ঠিত হয় মুক্ত আড্ডা।
অনুষ্ঠানে মুক্ত সফটওয়্যার দর্শনের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন বিডিওএসএনের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান ও ওপেন নলেজ বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর এবং বাংলা উইকিপিডিয়ার প্রশাসক নুরুন্নবী চৌধুরী হাছিব অনেকে। আড্ডায় মুনির হাসান বলেন, ‘সফটওয়্যারকে ইচ্ছামতো ব্যবহারই মূলত এর স্বাধীনতা। সফটওয়্যার ব্যবহারের ক্ষেত্রেও রয়েছে স্বাধীনতা। সফটওয়্যার কীভাবে কাজ করে সেটি জানার স্বাধীনতা যেমন সবার রয়েছে, তেমনি এটিকে পরিবর্তন করে নিজের মতো ব্যবহার করার, ভালো লাগা সফটওয়্যার অন্যকে দেওয়ার স্বাধীনতাও থাকার প্রয়োজন রয়েছে।’ আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক ফিরোজ জামান চৌধুরী, বাংলা উইকিপিডিয়া এবং উইকিমিডিয়া কমন্সের প্রশাসক নাহিদ সুলতান, মুক্ত আসরের সভাপতি আবু সাঈদ, বিডিওএসএনের সমন্বয়ক প্রমি নাহিদসহ অনেকে।
উল্লেখ্য, সফটওয়্যার ফ্রিডম ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান সর্বপ্রথম এই দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেয় এবং বর্তমানে এটি একটি সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। ২০০৪ সালের জানুয়ারির শুরুর দিকে ম্যাট ওকুয়েস্ট নামের একজন প্রোগ্রামার বিনা মূল্যে সফটওয়্যার বিতরণের জন্য একটি আন্তর্জাতিক দিন ঘোষণার প্রস্তাব করেন। তখন ‘দি ওপেন ডিস্ক’ নামের একটি প্রকল্প শুরু করা হয়েছিল, যার মাধ্যমে মাইক্রোসফট উইন্ডোজে ব্যবহার-উপযোগী মুক্ত বা বিনা মূল্যে সফটওয়্যারগুলো একত্রে বিতরণ করা হয়। পরে তাঁর এই প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে ‘সফটওয়্যার ফ্রিডম ডে’ নামের এ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।