বৃহস্পতিবার ● ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪
প্রথম পাতা » আইসিটি শিল্প ও বানিজ্য » গ্লোবাল সার্ভিসেস লোকেশন ইনডেক্সে প্রথমবারের মতো অন্তর্ভুক্ত হলো বাংলাদেশ
গ্লোবাল সার্ভিসেস লোকেশন ইনডেক্সে প্রথমবারের মতো অন্তর্ভুক্ত হলো বাংলাদেশ
আইটি আউটসোর্সিং, ব্যাক অফিস বা অফশোরিং, বিজনেস প্রসেসিং আউটসোর্সিং (বিপিও), ভয়েস সার্ভিসসহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে অসামান্য অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় প্রথমবারের মতো গ্লোবাল সার্ভিস লোকেশন ইনডেস্ক (জিএসএলআই)-এ বিশ্বের শীর্ষ ৫০টি দেশের মধ্যে ২৬ তম অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ। তবে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসা সংশ্লিষ্ঠ খরচ সাশ্রয়ের দিকে থেকে প্রথম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ম্যানেজমেন্ট কনসাল্টিং প্রতিষ্ঠান এ.টি.কারনির সম্প্রতি প্রকাশিত এক জরিপে বাংলাদেশ এই সম্মানজনক অবস্থান পেয়েছে। প্রায় এক যুগ ধরে প্রতিষ্ঠানটি এই জরিপ করে আসছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’-এ এসব আনুষ্ঠানিকভাবে এসব তথ্য জানানো হয়। বেসিস সভাকক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি। বেসিস সভাপতি শামীম আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদ ও নির্বাহী পরিচালক সামি আহমেদ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর।
প্রধান অতিথি জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, গত ৫ বছর ধরে তথ্যপ্রযুক্তিতে নানান আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে আইটিইউ অ্যাওয়ার্ড, সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড, গার্টনার এবং সর্বশেষ এ.টি কারনি তাদের জরিপে বাংলাদেশকে সম্মানজনক স্বীকৃতি দিয়েছে। সরকার দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত ফাইবার অপটিক ক্যাবল সংযোগ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রগুলোকে ডিজিটাল সেন্টার হিসেবে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেখান থেকে সাধারণ জনগণ সব ধরণের সেবা পেতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী বেসিস এবং আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে অবিলম্বে একটা গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে এ.টি কারনির রিপোর্ট স্ববিস্তারে পর্যালোচনা করা এবং এখন থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান। যাতে দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ¦ল করা যায়। এরফলে বিদেশী খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের আইটি খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে উপযুক্ত স্থান মনে করতে পারবে।
বেসিস সভাপতি শামীম আহসান বলেন, এ.টি কারনি’র এ সূচকে প্রধানত দেশগুলোর বিশ্বের উল্লেখযোগ্য ৫০টি আইটি আউটসোর্সিং ও অফশোরিং দেশের মধ্যে এশিয়ার প্রভাব রয়েছে। অবস্থানগত দিক দিয়ে বাংলাদেশের পরেই রয়েছে যুক্তরাজ্য। এরপরে রয়েছে তিউনিশিয়া, স্পেন, মরক্কো, মরিশাস, কানাডা, আর্জেন্টিনা, তুরস্ক, ফ্রান্স, দক্ষিণ আফ্রিকা, সিঙ্গাপুর এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসা সংশ্লিষ্ঠ খরচ সাশ্রয়ের দিকে থেকে প্রথম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এখন বাকি দুটো ক্ষেত্র অর্থাৎ দক্ষ জনশক্তির সহজলভ্যতা ও ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করতে হবে। যাতে বাংলাদেশ এই সূচকের প্রথম, ১০টি দেশের মধ্যে আসতে পারে।