সর্বশেষ সংবাদ
ঢাকা, জানুয়ারী ৮, ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১
ICT NEWS (আইসিটি নিউজ) | Online Newspaper of Bangladesh |
মঙ্গলবার ● ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪
প্রথম পাতা » আইসিটি বিশ্ব » ইন্টারনেট ব্যাবহারে বাধা দেওয়ায় মায়ের ওপর ছুরি নিয়ে হামলা
প্রথম পাতা » আইসিটি বিশ্ব » ইন্টারনেট ব্যাবহারে বাধা দেওয়ায় মায়ের ওপর ছুরি নিয়ে হামলা
৫৮৮ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ইন্টারনেট ব্যাবহারে বাধা দেওয়ায় মায়ের ওপর ছুরি নিয়ে হামলা

 zobair7_1258065336_1-internet-addiction1.jpg

নিজের মা-র ওপরই হামলা চালাল এক কিশোর। কেন? কম্পিউটার বন্ধ করতে এলেই সে ছুরি নিয়ে চড়াও হয় মা-র ওপর। শুধু তাই নয়, তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, মা-বাবার ‘অন্যায়ের’ প্রতিবাদে জামা-কাপড় খুলে ফেলে সে।

স্মার্টফোন এবং কম্পিউটারের নেশায় গ্রস্ত ভারতের পুনের বাসিন্দা ওই কিশোর। ছেলের এই হাল দেখে চিন্তিত মা ছেলেকে। ইন্টারনেট থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেন। একদিন কম্পিউটার বন্ধ করার এবং স্মার্টফোন নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেই রেগে যায় ওই কিশোর। মা-র ওপর ছুরি নিয়ে চড়াও হয়। ওই মহিলার চিত্‍‌কার শুনে কিশোরের বাবা ছুটে আসেন। ছেলের হাত থেকে উদ্ধার করেন নিজের স্ত্রীকে।

পরের দিনই কিশোরকে মুম্বইয়ের বাইকুলার মসীনা হাসপাতালে সাইকায়াট্রিক ট্রিটমেন্টের জন্য নিয়ে আসেন তাঁরা। হাসপাতালে পৌঁছে সে রেগে যায় এবং নিজের সমস্ত কাপড় খুলে ফেলে।

হাসপাতালের এক চিকিত্‍‌সক জানিয়েছেন, ‘ওই ছেলেটি নিজের অনলাইন জীবনে এতটাই মগ্ন ছিল যে, সে নিজের মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিল।’ শক ট্রিটমেন্টের পর সে পুনে ফিরে যায়। কিন্তু রিহ্যাবে গিয়ে আরও তিনটে সেশন নিতে হবে তাঁকে।

জানা গিয়েছে, ১২ বছর বয়সেই তাঁর হাতে স্মার্টফোন তুলে দেন তার বাবা। প্রথমে ৩০ মিনিট গেমিং এবং সার্ফিং করলেও, পরে তা বেড়ে যায়। বাইরে বেরিয়ে খেলাধুলো দূর অস্ত, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাত্‍‌ বা মেলামেশাও করত না। শুধু অনলাইন বন্ধুদের সঙ্গেই চ্যাট করে দিন কাটাত। কথা বলত না-নিজের মা-বাবার সঙ্গেও। আবার অভিভাবকরা তাকে বোর্ডিং স্কুলে ভর্তি করলে, সেখান থেকে পালিয়েও বাড়ি চলে। বোর্ডিং স্কুলে ইন্টারনেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা থাকায়, সে বাড়ি পালিয়ে আসে। ইন্টারনেট প্যাক রিচার্জ করানোর জন্য বাড়িতে চুরিও করে সে। তখন অভিভাবকরা তাঁর চিকিত্‍‌সা করাতে চাইলে সে বেঁকে বসে।

মেন্টার হেল্থ এক্সপার্টদের মতে, ইন্টারনেটের নেশা আজ একটি সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁর ধারণা, এর ফলে বাচ্চাদের ক্ষতি হবে।

জানা গিয়েছে, প্রতি বছর ৪০ শতাংশ হারে ইন্টারনেট অ্যাডিক্টদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এঁদের মধ্যে অধিকাংশের বয়স ৮-১৮-র মধ্যে। আগামী ২-৩ বছরে এমন লোকেদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
ভিভো এক্স২০০ এর নজর কাড়া পাঁচ দিক
উবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৫ এর অফিসিয়াল মোবিলিটি পার্টনার
ইনফিনিক্স নোট ৪০এস এর সাথে বিনামূল্যে ওয়্যারলেস চার্জার
রিয়েলমি সি৭৫ এর কার্যক্ষমতা দেখলো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা
বাজারে এআই সুবিধাযুক্ত স্যামসাংয়ের ‘নিও কিউএলইডি ৮কে’ টিভি
ফুডপ্যান্ডা ও সিপি ফাইভ স্টারের মধ্যে চুক্তি
এআই-ভিত্তিক চ্যাট ইঞ্জিন আনল বাংলালিংক
রিয়াদে ইউএনসিসিডি ‘সিওপি-১৬’ সম্মেলনে প্রিয়শপ
সর্বোচ্চ পারফর্মেন্সের মাইলফলক অর্জন করেছে ক্যাসপারস্কি
সেমিকন্ডাক্টর খাতের বিকাশে টাস্কফোর্স গঠন