রবিবার ● ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » ইএটিএল-প্রথম আলো অ্যাপস প্রতিযোগিতা শুরু
ইএটিএল-প্রথম আলো অ্যাপস প্রতিযোগিতা শুরু
আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো ‘ইএটিএল-প্রথম আলো অ্যাপস প্রতিযোগিতা ২০১৫’ শীর্ষক অ্যাপস প্রতিযোগিতা। তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য মোবাইল ফোনের অ্যাপ্লিকেশনস (অ্যাপস) তৈরির এ প্রতিযোগিতার আয়োজক এথিকস অ্যাডভান্সড টেকনোলজি লিমিটেড (ইএটিএল) এবং প্রথম আলো ।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ সময়ে তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি এখন দৈনন্দিন জীবনের অংশ। আর এ প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে আমাদের নতুন প্রজন্মের মেধাবীদের এগিয়ে আসার ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রতিযোগিতা বেশ সহযোগিতা করে। আমাদের আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে হলে নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিদের বিশ্বমানের প্রযুক্তি ও শিক্ষাসেবা সুবিধা দিতে হবে। তবেই তারা দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।’
বিশেষ অতিথি এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে অ্যাপস তৈরিতে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। আশা করছি, এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অন্যবারের চেয়ে এবার আরও বশি অ্যাপসের ধারণা আসবে।’
অ্যাপস সারা বিশ্বেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি জানান, ২০১০ সালে ‘অ্যাপস’ শব্দটি ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হয়েছিল। এত দ্রুত এ শব্দটি জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হচ্ছে এর দ্রুত অগ্রগতি। দেশের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি স্নাতকদের সংখ্যা বাড়ানো এবং অবকাঠামোগত দিকগুলোর দিকে আরও নজর দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস বলেন, ‘নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বিটিআরসি সব ধরনের সহযোগিতামূলক কাজ করে যাচ্ছে এবং যাবে। আমরা এ ধরনের আয়োজনে সহযোগী হিসেবে থাকতে পেরে আনন্দিত। আশা করছি, তৃতীয়বারের মতো এবারের আয়োজন আরও ভালো হবে।’
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, এ প্রতিযোগিতার পাশাপাশি সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ইনোভেশন ফান্ড চালু হয়েছে, যা চাইলে যে কেউ নিতে পারবেন। তবে তথ্যপ্রযুক্তি স্নাতকদের সংখ্যা বাড়াতে হবে এবং ভবিষ্যতে হার্ডওয়্যার তৈরির চিন্তা করতে হবে।
প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, এটি জ্ঞানভিত্তিক, মেধা অন্বেষণের একটি প্রতিযোগিতা। তরুণদের মধ্যে যে মেধা আছে সেটা বের করার জন্য এটা দারুণ এক উদ্যোগ। বাংলাদেশের সামনে যে বিশাল সম্ভাবনা আছে সেটি তরুণদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
গ্রামীণফোনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা এলেন বঙ্কে বলেন, ইন্টারনেট শিক্ষাসহ অন্যান্য খাতে তরুণদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করছে। এ ছাড়া এখন সারা দেশে দ্রুতগতির তৃতীয় প্রজন্মের থ্রিজি সুবিধা বিস্তৃত রয়েছে। এখন আমাদের প্রয়োজন স্থানীয় ভাষায় কনটেন্ট তৈরি করা।
অনুষ্ঠানে সভাপতি ইএটিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তৃতীয়বারের মতো এ উদ্যোগ আগের চেয়ে বড় আকারে করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশাবাদী। অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন ইএটিএলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে বলা হয়, আগামী বছর মানুষের চেয়ে মোবাইলের সংখ্যা বেশি হবে। বাংলাদেশেও যে উদ্ভাবনী আইডিয়া নিয়ে কাজ চলছে সেটি দারুণ।
তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য দেশীয় মোবাইল অ্যাপস তৈরির এ প্রতিযোগিতা চলবে প্রায় নয় মাস ধরে। প্রাথমিকভাবে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে অ্যাপস তৈরির ধারণাপত্র দেওয়া যাবে। বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিযোগিতার পর চূড়ান্ত পর্বে সেরা বিজয়ী পাবেন ১০ লাখ টাকা, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিজয়ী পাবেন যথাক্রমে পাঁচ লাখ ও দুই লাখ টাকা। এ ছাড়া শীর্ষ ১০ বিজয়ী পাবেন একটি করে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ও ইএটিএলে চাকরির সুযোগ। এ ছাড়া এবার জমা পড়া ধারণাগুলোর মধ্যে নির্বাচিত সেরা অ্যাপস ধারণাপত্রের জন্য পুরস্কার হিসেবে থাকছে এক লাখ টাকা।
প্রতিযোগিতা চলাকালীন শুরুতে ধারণাপত্র সংগ্রহের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যক্রম চলবে। বিস্তারিত জানা যাবে www.eatlapps.com ঠিকানার ওয়েবসাইট থেকে।