সোমবার ● ১১ আগস্ট ২০১৪
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » সরকারি উদ্যোগে নারীদের প্রথম ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কর্মশালা
সরকারি উদ্যোগে নারীদের প্রথম ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কর্মশালা
ফ্রিল্যান্সিংয়ে নারীর সম্পৃক্ততা বাড়াতে সরকারি উদ্যোগে চালু হলো নারীদের জন্য বিশেষ ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ। হাইটেক পার্কের অর্থায়নে ‘স্কিল এনহেন্সমেন্ট প্রজেক্ট’ এর আওতায় এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে ক্রিয়েটিভ আইটি লিমিটেড। মঙ্গলবার এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, হাইটেক পার্কের প্রকল্প পরিচালক এ এন এম শফিকুল ইসলাম, ইলান্স-ওডেস্ক-এর কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর মামুন খান, নারী উদ্যোক্তা ইমরাজিনা ইসলাম খান এবং ক্রিয়েটিভ আইটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনির হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানান উদ্যোগ নিয়েছেন। তারই অংশ হিসেবে দেশের নারীরা এখন স্পিকার, মন্ত্রী এবং বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জানান, দেশে বর্তমান পাঁচ লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ে ঢাকা এখন বিশ্বের তৃতীয় সেরা স্থান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আমাদের নারীরা এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসলে শিগগির আমরা প্রথম স্থানে চলে আসতে পারবো। তিনি আরও বলেন, আগামী ২০২১ সালে বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে নারীর সমান অধিকার নিশ্চিত হবে। নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যাপারে তিনি জানান, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর হাইটেক পার্কের কাজ দ্রুত এগুচ্ছে। এখানে আমাদের ৬০ থেকে ৭০ হাজার দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন। এখন যারা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তারা শুধু ফ্রিল্যান্সিংয়েই নয়, হাইটেক পার্কেও নিজেদের দক্ষতার প্রমাণ দেখাতে পারবেন। নারীদের প্রাযুক্তিক দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষে ‘স্কিল এনহেন্সমেন্ট প্রজেক্ট’ এর আওতায় অংশগ্রহণকারীদের প্রথম ব্যাচের উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে পলক ফেসবুক, গুগল ও মাইক্রোসফটের মতো শীর্ষ প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানের তরুণ নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, মার্ক জুকারবার্গ ও সত্য নাদেলার মতো তরুণরা বিশ্বের বড় বড় প্রাযুক্তিক কোম্পানিগুলো চালাচ্ছেন। আমাদের দেশের তরুণদেরও তাদের মতো হতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আইটি খাত থেকে সরকারের ১ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও তরুণরাই অগ্রগামী ভূমিকা রাখবে। হাই-টেক পার্কের প্রকল্প পরিচালক এ এন এম শফিকুল ইসলাম জানান, আইসিটি খাতকে আরো সম্প্রসারিত করতে সরকার সারাদেশে হাই-টেক পার্ক করার উপর গুরুত্ব দিয়েছে। আর এর জন্য যোগ্য মানবসম্পদ তৈরিতে প্রশিক্ষণেরর কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি। তিনি জানান, প্রশিক্ষণে নারীদের এগিয়ে নিতে ক্রিয়েটিভ আইটি সরকারের সাথে যৌথভাবে বিশেষ স্কলারশীপ দিচ্ছে। অনুষ্ঠানে ইলান্স-ওডেস্ক এর কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর মামুন খান জানান, সারাবিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিংয়ে নারীদের অগ্রগতি হলেও ২০১২ সালে এক জরিপে দেখা গেছে বাংলাদেশে মাত্র ৪ শতাংশ নারী এ পেশায় রয়েছেন। তবে মামুন খান আশা প্রকাশ করেন, এ ধরণের প্রশিক্ষণ দিয়ে নারীদের উৎসাহিত করলে আগামীতে এ খাতে নারীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হরে বাড়বে।