শুক্রবার ● ৮ আগস্ট ২০১৪
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » বাংলায় ওসিআর বা পুঁথি উদ্ভাবন করল টিম ইঞ্জিন
বাংলায় ওসিআর বা পুঁথি উদ্ভাবন করল টিম ইঞ্জিন
বাংলা ভাষায় লিখিত সব প্রকার কনটেন্ট বা বই কিংবা নথি ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণ করতে বা খুঁজে পেতে এবং সম্পাদন যোগ্য করতে টিম ইঞ্জিন নিয়ে এসেছে বাংলাভাষার প্রথম পূর্ণাঙ্গ অপটিক্যাল
বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১১টার সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এর উদ্বোধন করেন।
বাংলা ওসিআর-এর মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন-পুরাতন বই, নথি ডিজিটাইজড করা যাবে। এতে এসব বই ও নথি একেবারে হারিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে।বাংলায় ওসিআর বা পুঁথি উদ্ভাবন করল টিম ইঞ্জিন
এটি ব্যবহারে বই, নথি কিংবা কাগজের স্তুপ থেকে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকে কোনো তথ্য খুঁজে বের করতে হবে না। ওয়েবে বা কম্পিউটারে সার্চ দিলেই সব তথ্য পাওয়া যাবে।
এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে আগের সব ফাইল ডিজিটাল ফরম্যাটে ওয়েভ/সার্ভার কিংবা কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে সংরক্ষণ করা যাবে।
এছাড়া অনলাইন লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠায় বাংলা ওসিআর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। ই-গভর্নেন্স ও কাহজ-ফাইলবিহীন যে অফিসের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে সেখানেও এটি ভূমিকা রাখতে পারবে।
কি কাজ করে:
পুঁথি মাত্র ৪ সেকেন্ডেই বইয়ের একটি পাতাকে ডিজিটাইজ এবং এডুটেবল করতে সক্ষম। মূল টেক্সটের শতকরা ৯৫ ভাগেরও বেশি শব্দ নির্ভুলভাবে প্রদর্শন করতে সক্ষম। এটি এখন পর্যন্ত একশোরও বেশি বাংলা ফন্ট রিড করতে পারে।
তবে এই সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকবে। এই সফটওয়ারটি সংগ্রহ করে পিসিতে ইন্সটল করার পর রান করে ব্যবহার করা যাবে। অনলাইনে সীমিত পরিসরে ওসিআর করতে চাইলে পুঁথির ওয়েবসাইটে টেক্সট আপলোড করে বিনামূল্যে ওসিআর করা যাবে।
টিম ইঞ্জিনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামিরা জুবেরী হিমিকা বলেন,‘ আমাদের অনলাইন লাইব্রেরি ‘অ্যানসেস্টর’ তৈরি করতে গিয়ে বাংলা ওসিআর এর প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তাই প্রাথমিকভাবে এই প্রয়োজন মেটাতে আমরা বাংলা ওসিআর তৈরির সিদ্ধান্ত নেই। এরপর তৈরি করি এটি। এই ওসিআর পৃথিবীর সমস্ত বাংলা ভাষাভাষী এবং বাংলা ভাষায় আগ্রহী মানুষের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সাবেক সভাপতি ও তথ্য প্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘কম্পিউটিং এ বাংলা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা যে চ্যালেঞ্জ সবচেয়ে বেশি মোকাবিলা করেছিলাম তা হচ্ছে ওসিআর পাওয়া। টিম ইঞ্জিনের কল্যাণে তা আমরা পেয়ে গেলাম। এটি বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই একটি বড় ঘটনা।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রাসেল টি আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল বাংলা ওসিআর ‘পুঁথি’। এই সাফল্য বাংলাদেশের তরুণ ও মেধাবী প্রযুক্তিবিদদের এ ধরণের আরও উদ্ভাবনে উদ্যোগী হতে উৎসাহিত করবে ।
বিশেষ অতিথি তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলা ওসিআর বা ‘পুথি’ একটি বিশ্বমানের উদ্ভাবন। এই উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ই-গভর্নেন্স এর প্রকৃত বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।বাংলায় ওসিআর বা পুঁথি উদ্ভাবন করল টিম ইঞ্জিন
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, তরুণরাই এগিয়ে নিচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের পতাকা।বাংলা ওসিআর তৈরির মাধ্যমে ত্বরান্বিত হলো এই এগিয়ে যাওয়া। সেজন্য টিম ইঞ্জিনকে সাধুবাদ জানাই।
সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থসংস্থানের মাধ্যমে তারা এই সফটওয়ারটি তৈরি করেছেন বলে জানান সামিরা জুবেরী হিমিকা। এটি আগামী ১৫ই আগস্ট বাজারে আনার পরিকল্পনা করছেন। তবে তার আগে আরও কিছু পরীক্ষা করে দেখতে চান এটি কতটা কার্যকর ও গ্রহণযোগ্য।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ, প্রকাশক মহলের প্রতিনিধি, ভাষা গবেষক, নীতি নির্ধারকরা। পুঁথি সম্পর্কে আরও জানতে ভিজিট করুন: www.puthiocr.com Email: info@puthiocr.com