সোমবার ● ৪ আগস্ট ২০১৪
প্রথম পাতা » অ্যাপস কর্নার » দেহব্যবসা চলছে হোয়াটস অ্যাপে মাধ্যমে !!!
দেহব্যবসা চলছে হোয়াটস অ্যাপে মাধ্যমে !!!
সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার বন্ধ করায় কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার পর এবার হোয়াটস অ্যাপে মধুচক্রের ব্যবসার নয়া ফর্মুলা বের করেছে দেহব্যবসায়ীরা ৷ এই অ্যাপের মাধ্যমেই দেহব্যবসা চলছে রমরমিয়ে ৷ এর সাহায্যে দালালরা সরাসরি গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করে মেয়েদের দরদাম ঠিক করে ফেলছে৷ এরপর গ্রাহকের পছন্দের জায়গায় মেয়েদের পাঠিয়ে মোটা টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে গ্রাহকদের থেকে৷ভারতের গুড়গাঁও পুলিশের জালে বন্দী হাইপ্রোফাইল সেক্স র্যাকেটের তদন্তে নেমে পুলিশ এই ঘটনার কথা জানতে পারে ৷
গুড়গাঁও পুলিশের সূত্র অনুযায়ী এই র্যাকেটের দালালরা হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমেই গ্রাহক খুঁজত৷ মেয়েদের দরদামের সঙ্গে স্থান ও সময় ঠিক করার পর একটি কোডের মাধ্যমে মেয়েদের পাঠানো হত৷ এই র্যাকেটটি প্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ১০ হাজার টাকা করে নিত৷ বিপদের ভয়ে মেয়েদের সঙ্গে সবসময় দুজন করে সঙ্গী থাকত যারা গাড়িতে বসে নজর রাখত৷ হোয়াটস অ্যাপে বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি করে গ্রাহকদের আকর্ষণ করত এই র্যাকেটটি৷ এখানেই শেষ নয় কোন গ্রাহক জবাব দিলে কোডের মাধ্যমে ব্যবসা পাকা করে দিন ঠিক করা হত৷
দালালদের এই নয়া ফর্মূলা সম্পর্কে পুলিশও একেবারেই ওয়াকিবহাল ছিল না৷ এই কারণেই প্রায় চার বছর ধরে র্যাকেট রাজধানীর বুকে চালিয়ে গেছে মধুচক্র৷ এমনও জানা গেছে এই র্যাকেট ছাড়াও এখনও শহরে বেশ কিছু গ্রুপ ও র্যাকেট সক্রিয় রয়েছে যারা এই একই পদ্ধতিতে মধুচক্রের ব্যবসা চালাচ্ছে৷ এই ঘটনা জানার পর দিল্লি পুলিশ সাইবার সেলকে এই ধরনের গ্রুপের উপর নজর রাখতে বলেছে যেখানে এই ধরনের বেআইনী ব্যবসা চালানো হয়৷
পুলিশ জানিয়েছে, প্রশাসনের নজর থেকে বাঁচতে বেশ কিছু কোডওয়ার্ডের মাধ্যমে এই বেআইনী র্যাকেট চালানো হচ্ছে৷ বর্তমানে এই বিষয়ে পুলিশের কাছে তেমন কোন তথ্যই নেই৷ তবে পুলিশ জানিয়েছে, এই কোডআয়ার্ডের মধ্যে অন ডিমান্ড সার্ভিস, বডি মাসাজ সেন্টার, বডি মাসাজ সেন্টার অ্যাট হোম ইত্যাদি নামের বেশ কিছু গ্রুপ হোয়াটস অ্যাপে রয়েছে৷ সেখানে গিয়ে খুব সহজেই মেয়েদের ডিল করা যেতে পারে৷ এই গ্রুপের মাধ্যমে ভারতীয় ছাড়াও বিদেশী মেয়েদেরও দাম ও ফটো পাঠানো হয়৷