বুধবার ● ৯ জুলাই ২০১৪
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » এ্যন্ড্রয়েডের বিলিয়ন ডলারের বাজারে নেতৃত্ব দেবে তরুণরা-এনআই খান
এ্যন্ড্রয়েডের বিলিয়ন ডলারের বাজারে নেতৃত্ব দেবে তরুণরা-এনআই খান
দ্রুত বাড়ছে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের বাজার। ২০১২ সালে এ্যান্ড্রয়েড মার্কেটের আকার ছিলো ১৩ বিলিয়ন ডলার যা ২০১৩ সালে এসে ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পরিণত হয়েছে। এই বিশাল বাজারে দেশের তরুণদের ভাগ বসানোর আহব্বান জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, ‘এ্যান্ড্রয়েডের বিলিয়ন ডলার মার্কেটে আপনাদেরকে নেতা হতে হবে। আপনাদেরকেই এই মার্কেটে নেতৃত্ব দিতে হবে। এজন্য নিজে শিখুন, আশেপাশের অন্যদেরকেও শেখান।’
বরিশাল বিভাগে এ্যান্ড্রয়েড এ্যাপ্লিকেশন ডেভলপারদের নিয়ে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল বুট ক্যাম্প বা জাতীয় প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন নজরুল ইসলাম খান। বরিশাল মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই বুট ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ‘কম্পিউটার জানা ছেলে-মেয়েদের আমরা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ফ্রি ল্যান্সার হিসেবে তৈরী করছি। এই ফ্রি ল্যান্সারদেরকে উদ্যোক্তা তৈরী করা হচ্ছে। আর এই উদ্যোক্তাদেরকেই শিল্পপতি হিসেবে প্রস্তুত করা হবে।’
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপসচিব ও কর্মসূচী পরিচালক ড. মোহাম্মদ আবুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বক্তব্য দেন বরিশাল মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. রঞ্জিত চন্দ্র খান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুনুর রশিদ খান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মাদ ইব্রাহীম, বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার একেএম এহসান উল্লাহ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন, এমসিসি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী আশ্রাফ আবির। এই বুট ক্যাম্পটি পরিচালনা করে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান এমসিসি লি.
প্রকল্পের নানা দিক তুলে ধরে আবুল হাসান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত করতে এই প্রকল্প সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এই প্রকল্পের আওতায়া ২৫০০ ছাত্রছাত্রীকে এ্যান্ড্রয়েড ডেভলপার প্রশিক্ষণ প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। আরো একটি বড় প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে যেটার মাধ্যমে ২৫০০০ মানুষকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
দিনব্যাপী এই বুট ক্যাম্পে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে পাঁচশ‘র বেশি এ্যাপ্লিকেশন ডেভলপার একত্রিত হন। এ্যান্ড্রয়েড এ্যাপ্লিকেশন ডেভলপমেন্টের বিভিন্ন উচ্চতর কারিগরী বিষয় যেমন গেইম ডেভলপমেন্ট, মোবাইল এ্যাপের ব্যবসার উপায় ছাড়াও একটি এ্যাপ্লিকেশনের ডেভলপমেন্ট পর্যায়ে সাধারণত যেসকল অসুবিধা হয় এমন একাধিক বিষয় নিয়ে সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া দেশের কয়েকজন সেরা মোবাইল এ্যাপ নির্মাতারাও এই বুট ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন। অংশগ্রহণকারীরা তাদের সাথে পেশাগত বিষয় নিয়ে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পান। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারীদের গ্রামীনফোন, সিম্ফোনি ও নোকিয়ার পক্ষ থেকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, বরগুণার এডিএম মো. হাবিবুর রহমান, পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক মো. খায়রুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচীর আওতায় এর আগে ঢাকা, সিলেট, খুলনা ও চট্টগ্রাম ও রংপুরে পাঁচটি বুটক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া একই প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত জেলা পর্যায়ে ৬২টি প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২৩৪৭ জন শিক্ষার্থীকে এ্যান্ড্রয়েড এ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
পুরো প্রকল্পে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এমসিসি লি. ও ইএটিএলের সাথে কাজ করছে বেসিস, মাইক্রোসফট, গ্রামীণফোন, রবি, নোকিয়া, সিম্ফনি, এসওএল কোয়েস্ট, গুগল ডেভলাপার গ্র”প ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট, কিউবি ও টেলিটক।
-তানিম