সোমবার ● ২৭ জানুয়ারী ২০১৪
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » ভিওআইপি মামলার আসামিরা জামিনে বেরিয়ে গেছেন
ভিওআইপি মামলার আসামিরা জামিনে বেরিয়ে গেছেন
অবৈধভাবে ভিওআইপি ব্যবসার ঘটনায় করা সব মামলার আসামিরা জামিনে বেরিয়ে গেছেন। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার হিসাব অনুযায়ী, এ ধরনের ঘটনায় মামলা রয়েছে অর্ধশতাধিক।
পুলিশ সূত্র জানায়, এসব মামলায় অপরাধের ধরন গুরুতর হলেও ধারা জামিনযোগ্য রাখা হয়েছে। আইনের এই দুর্বলতার কারণে আসামিরা সহজেই জামিন পেয়েছেন।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালে অবৈধভাবে ভিওআইপি ব্যবসার অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো শুরু হয়। এর পর থেকে এসব ঘটনায় ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৫০টিরও অধিক মামলা হয়েছে। অধিকাংশ মামলাই তদন্তাধীন রয়েছে।
এরপর গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে ৩৭ জন বিদেশিসহ ৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় আসামিদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, ওয়াকিটকি, ল্যান্ডফোন, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কেব্ল, সিম, মডেমসহ এক কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন ধরনের অবৈধ ভিওআইপি যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়। অবৈধভাবে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকেরা এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হওয়ার পরও মামলায় শুধু ছাড়পত্র ছাড়া অবৈধভাবে ভিওআইপি ব্যবসার অভিযোগ (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন, ২০০১ (সংশোধিত ২০০৬)-এর ৩৫(২) ধারা) আনা হয়। এই আইনে ৭৭ ধারায় বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধিতে যাই থাকুক না কেন, এই আইনে সব অপরাধ আমলযোগ্য ও জামিনযোগ্য।
অভিযোগ রয়েছে, এই সুযোগে আসামিদের জামিন করাতে বিভিন্ন মহল তৎপরতা চালাচ্ছে। এ ব্যবসার মাধ্যমে সরকারের আর্থিক ক্ষতি সাধনের কথা মামলায় উল্লেখ করা হলেও সংশ্লিষ্ট আইনের ধারায় বিষয়টি ধর্তব্য নয়। ৪৩ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি বহুল আলোচিত হওয়ায় আসামিদের জামিন ঠেকাতে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের একটি ধারা এই মামলার এজাহারে সংযোজন করা হয়েছে। এঁরা এখন পর্যন্ত জামিন পাননি।
র্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল কিসমত হায়াত বলেন, মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বসবাস করে এ ব্যবসা করার অভিযোগে টেলিযোগাযোগ আইনে মামলা করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনেও মামলা হবে।
এ বিষয়ে পুলিশের অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, অপরাধ গুরুতর হলেও ধারা জামিনযোগ্য হওয়ায় ইতিপূর্বে এ ধরনের ঘটনায় করা মামলার আসামিরা জামিনে আছেন। তবে উত্তরার মামলায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ধারা সংযোজন করায় আসামিদের জামিনের সম্ভাবনা কম।