শনিবার ● ২৫ জানুয়ারী ২০১৪
প্রথম পাতা » আইসিটি বিশ্ব » মাসিক ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ মাথাপিছু আয়ের ৫ শতাংশ হচ্ছে !!?
মাসিক ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ মাথাপিছু আয়ের ৫ শতাংশ হচ্ছে !!?
জাতিসংঘের ব্রডব্যান্ড কমিশনের অন্যতম লক্ষ্য উন্নয়নশীল দেশগুলোয় মাসিক ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ মাথাপিছু আয়ের ৫ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনা। এ৪এআই এ উদ্দেশ্যই বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।
সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোয় ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ কমিয়ে আনতে অ্যালায়েন্স ফর অ্যাফোর্ডেবল ইন্টারনেট (এ৪এআই) জোটে যোগ দিয়েছে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন জিএসএমএ। আগে থেকেই এ জোটে রয়েছে গুগল, আলকাটেল-লুসেন্ট, ফেসবুক, ইন্টেল, মাইক্রোসফটের মতো কোম্পানিগুলো। ইংরেজি গণমাধ্যম টেলিকমস-এ এ খবর প্রকাশিত হয়।
এ জোটে জিএসএমএর মূল কাজ হবে বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারে নীতিগত ও আইনি বাধা অপসারণ। এর পাশাপাশি সস্তা ইন্টারনেট বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার জন্য কারিগরি ও প্রযুক্তিগত মানদণ্ড নির্ধারণ করবে সংগঠনটি।
বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশগুলোয় ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে মূলত মোবাইল ডিভাইসের কল্যাণে। জিএসএমএর মতে, মোবাইল ডিভাইসের দাম কমিয়ে আনা গেলে ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ অনেকটাই হ্রাস করা যাবে। সংগঠনটির প্রধান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা টম ফিলিপস বলেন, অনেক উন্নয়নশীল দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার পুরোপুরি মোবাইল ডিভাইসনির্ভর। তাই নীতিগত বাধা অপসারণ করে মোবাইল ডিভাইসের দাম কমানো গেলে প্রকৃতপক্ষেই উপকৃত হবেন তৃণমূল ভোক্তারা।
তিনি জানান, এ৪এআই প্লাটফর্মের সহযোগিতায় তারা বিভিন্ন দেশের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এতে কীভাবে নীতিগত বাধা অপসারণ করা যায়, সে বিষয়ে রাজনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারকদের পরামর্শ দেবেন তারা।
জিএসএমএর মতে, ইন্টারনেট সহজলভ্য করতে সর্বপ্রথম প্রয়োজন পড়বে কার্যরত মোবাইল অপারেটরদের মধ্যকার সহযোগিতা। এর পাশাপাশি তরঙ্গ ভাগাভাগি করে ব্যবহারের সুযোগ ও বৈষম্যহীন নীতি বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছে সংগঠনটি। তারা আরো জানায়, ইন্টারনেটকে সস্তা রাখতে অপারেটরদের দেয়া লাইসেন্সের মেয়াদ দীর্ঘায়িত করা উচিত। এর পাশাপাশি নীতি হওয়া উচিত প্রযুক্তি নির্ভরতাহীন; যাতে নেটওয়ার্ক যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করে সহজেই খরচ কমাতে পারে অপারেটররা।