বুধবার ● ১৭ জুলাই ২০১৩
প্রথম পাতা » নিউজ আপডেট » মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বুধবার দুপুর পৌণে একটায় দেশের শীর্ষ এ যুদ্ধাপরাধীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
মুজাহিদের বিরুদ্ধে আনা ৭টি অভিযোগের মধ্যে ৫টি প্রমাণিত হয়েছে এবং ২টি প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে পারেননি বলে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১, ৩, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে এবং ২ ও ৪ নম্বর অভিযোগ প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে পারেননি। প্রমাণিত ৬ ও ৭ নম্বর অভিযোগে মুজাহিদকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড, ১ ও ৫ নম্বর অভিযোগে যাবজ্জীবন এবং ৩ নম্বর অভিযোগে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। প্রমাণিত না হওয়া ২ ও ৪ নম্বর অভিযোগে খালাস পেয়েছেন মুজাহিদ।
মুজাহিদের মামলার রায়ের শেষ অংশ অর্থাৎ মূল রায়ে মুজাহিদের বিরুদ্ধে এ শাস্তির আদেশ দেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীন। এর আগে রায়ের দ্বিতীয় অংশ পাঠ করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্যানেলের সদস্য বিচারপতি মুজিবুর রহমান মিয়া। রায়ের প্রথম অংশ পড়া শেষ করেন বিচারক প্যানেলের অন্য সদস্য শাহিনুর ইসলাম।
বেলা ১১টা ২ মিনিট থেকে পৌণে একটা পর্যন্ত রায় পাঠ করা হয়। ২০৯ পৃষ্ঠার রায়ে মোট ৬৫৮টি প্যারাগ্রাফ রয়েছে। এর মধ্যে ৩৭ পৃষ্ঠা পড়ে শোনান বিচারকরা।
এর আগে সকাল দশটা ৫০ মিনিটে ১২ মিনিটের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীন। দশটা ৪৮ মিনিটে বিচারকরা আসন নেন এজলাসকক্ষে।
এর আগে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ট্রাইব্যুনালের এজলাসকক্ষে আসামির কাঠগড়ায় তোলা হয় আসামি মুজাহিদকে। তার পরনে ছিল সাদা পাঞ্জাবি-পায়জামা।
সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের করা হয় মুজাহিদকে। এরপর একটি সাদা মাইক্রোবাসযোগে তাকে আনা হয় ট্রাইব্যুনালে। ৯টা ৪০ মিনিটে ট্রাইব্যুনালে এনে তাকে রাখা হয় ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায়। পরে তাকে নেওয়া হয় এজলাসকক্ষে।