বুধবার ● ১৭ জুলাই ২০১৩
প্রথম পাতা » নিউজ আপডেট » এখনও চাঁদাবাজি চলছে অভিযোগ কাদেরের
এখনও চাঁদাবাজি চলছে অভিযোগ কাদেরের
যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এখনও ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজি চলছে। চাঁদা নেওয়া বন্ধ হয়নি। চাঁদা নেওয়া বন্ধ করতে প্রশাসনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের নির্দেশ দেন তিনি।
বুধবার গাবতলী বাস টার্মিনালে এক ঝটিকা অভিযানে গিয়ে গাবতলী বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি অ্যাসোসিয়েশনের ট্রেজারার কামাল হোসেনকে ধমক দিয়ে বলেন, ‘তোমাদের এখানে চাঁদাবাজি হয়। প্রতিদিন কাগজে এসব নিউজ আসছে।’
জবাবে কামাল হোসেন ‘গাবতলীতে কোনো চাঁদাবাজি নেই।’ উল্লেখ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘তুমি কি নিশ্চিত যে গাবতলীতে চাঁদাবাজি হয় না?’ পরে কামাল হোসেন এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি।
মন্ত্রী আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে যাতে কোনো পরিবহন মালিক সরকারের নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করে এবং যাত্রীদের হয়রানি না করা হয় এসব বিষয়ে আগাম সতর্ক করতেই এ অভিযানে আসেন তিনি।
তিনি এ সময় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন ঈদের সময় যেন রাজধানীতে প্রবেশ এবং বহির্গমনের পথে কোনও রকম যানজটের সৃষ্টি না হয়।
তিনি আরও বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গাবতলীতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা পুলিশ প্রশাসন, ৠাবসহ ভিজিটিং টিম থাকবে।
রাজধানীর যানজটের চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘যানজটের অন্যতম কারণ রাজনৈতিক অস্থিরতা। বর্তমানে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে তা অচিরেই শেষ হবে না, কারণ সামনে নির্বাচন। এটা থাকবে, তবে রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করা উচিত।
ট্রাক মালিকদের পক্ষ থেকে একটি সতন্ত্র ট্রাক টার্মিনাল দাবি করা হলে মন্ত্রী বলেন, এ মুহূর্তে আমি এ কাজ করতে পারবো না। এ সরকারের আর মাত্র দুই মাস সময় আছে। এর মধ্যে আমি এ কাজ করতে পারবো না। তবে পরবর্তীতে যদি দল ক্ষমতায় আসে এবং আমি যদি মন্ত্রী থাকি তাহলে এ সমস্যার সমাধান করে দিব।
তিনি আরও বলেন, এখানে সিটি কর্পোরেশনে অনেক জায়গা আছে সে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য কয়েকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে কিন্তু তারা কোনও সাড়া দিচ্ছেন না।
এসব ভোগান্তির সমস্যা সমাধানে আরও কয়েকটি মন্ত্রণালয় রয়েছে। তাদের কাজের সমন্বয় হলে সমাধান করা সম্ভব বলেও জানান তিনি।