মঙ্গলবার ● ১৬ জুলাই ২০১৩
প্রথম পাতা » নিউজ আপডেট » গণজাগরণ মঞ্চের মিছিলে পুলিশের বাধা
গণজাগরণ মঞ্চের মিছিলে পুলিশের বাধা
গনজাগরণ মঞ্চের মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। মঙ্গলবার হরতাল আরম্ভের পর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মিছিলটি শুরু হওয়ার সময়ই বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় রমনা জোনের প্যাট্রোল ইন্সপেক্টর আব্দুস শহিদ মিছিলকারীদের শাহবাগের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে কড়া হুঁশিয়ারি দেন।
কিন্তু গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে বিক্ষোভ মিছিলটি বাংলামোটরের দিকে নিয়ে যায়। পরে কারওয়ানবাজার ঘুরে আবারও শাহবাগে এসে মিছিলটি শেষ হয়।
বাংলাদেশের অনলাইন নিউজ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ভোর থেকেই শাহবাগে জড়ো হতে শুরু করে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনকারীরা। সকাল সাড়ে ৬টার পর আসে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের কর্মীরা। ৭টার দিকে মিছিল না করার জন্য গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের নির্দেশ দিতে শুরু করে পুলিশ।
এ সময় গণজাগরণ মঞ্চের চারিদিকে ৫ শতাধিক পুলিশ মোতায়েন থাকতে দেখা যায়। সকাল আটটার দিকে শাহবাগে প্রিজন ভ্যান নিয়ে আসে পুলিশ।
পুলিশের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার শিবলী নোমান সাংবাদিকদের বলেন, আন্দোলনকারীদের মিছিল ও সমাবেশ করতে দেওয়া হবে। তবে তারা সড়ক অবরোধ করতে চাইলে বাধা দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে যা করার দরকার পুলিশের পক্ষ থেকে তাই করা হবে বলে জানান তিনি।
তবে প্রিজন ভ্যান দেখে ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে শুরু করেন। তবে শাহবাগের পরিস্থিতি এখনও পুলিশের নিয়ন্ত্রণেই আছে।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের ফাঁসির দাবিতে সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে গণজাগরণ মঞ্চ। হরতাল সামনে রেখে রাজধানীর ২০ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে আন্দোলনকারীরা। তবে মূল পয়েন্ট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে শাহবাগের গণজাগরণ চত্বর।
অন্যান্য পয়েন্টের মধ্যে রয়েছে, মিরপুর-১০, প্রেসক্লাব, খিলগাঁও, উত্তরা, টেকনিক্যাল, মোহাম্মদপুর টাউন হল, মিরপুর-১, বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকা, আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড, ঢাকা কলেজ ইত্যাদি এলাকা।
গণজাগরণ মঞ্চের প্রতিনিধি হিসেবে এসব এলাকায় আন্দোলনকারীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডা. রুবেল, সঙ্গিতা ইমাম, শাকিল, আরিফ, নান্টু, সাগর, শুভ, সজিব, মাজরু ও নাঈম।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সোমবার যুদ্ধাপরাধের দায়ে পাঁচটি অভিযোগে জামায়াতের মুক্তিযুদ্ধকালীন আমির গোলাম আযমকে সর্বমোট ৯০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিলে ওই রায় প্রত্যাখ্যান করে বিকেলে গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে হরতালের এই ঘোষণা দেওয়া হয়।