সর্বশেষ সংবাদ
ঢাকা, ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১
ICT NEWS (আইসিটি নিউজ) | Online Newspaper of Bangladesh |
শনিবার ● ১৩ জুলাই ২০১৩
প্রথম পাতা » আলোচিত সংবাদ » ফেসবুকে প্রেম,ভালোবাসা,বিয়ে অতঃপর বিকৃত নির্যাতন!!!
প্রথম পাতা » আলোচিত সংবাদ » ফেসবুকে প্রেম,ভালোবাসা,বিয়ে অতঃপর বিকৃত নির্যাতন!!!
৮৭৩ বার পঠিত
শনিবার ● ১৩ জুলাই ২০১৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ফেসবুকে প্রেম,ভালোবাসা,বিয়ে অতঃপর বিকৃত নির্যাতন!!!

ফেসবুকে প্রেম,ভালবাসা,বিয়ে অতঃপর বিকৃত নির্যাতন!!!ফেসবুকে  পরিচয়ের মাধ্যমে প্রেম এর পর সংসার পাতাতে বিয়ে অতঃপর বিকৃত নির্যাতন ! এমনই এক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ভারতের দক্ষিণ মুম্বাইয়ের এক নারী। জানাগেছে ভারতের দক্ষিণ মুম্বাইয়ে ছদ্মবেশী এক সন্ত্রাসী তার সাবেক স্ত্রী সারিতা শর্মাকে (পরে নাম পরিবর্তিত হয়েছে) অপহরণ করে ব্লেড দিয়ে সারা দেহে একশ বার আঘাত করে ক্ষত-বিক্ষত করেছে।

ওই সন্ত্রাসী স্বামীর নাম বাজুউজ্জামান ওরফে সুখা ওরফে পাশা(২৩). সে দক্ষিণ মুম্বাইয়ের সেউরি আবাসিক এলাকার বাসিন্দা। অপরদিকে সারিতা উত্তর মুম্বাইয়ের উপশহর মিউল্যান্ডের বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, দুজনের পরিচয় ফেসবুকের মাধ্যমে । অভিযুক্ত বাজুউজ্জামান গত ফেব্রুয়ারিতে সারিতাকে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালে সারিতা একসেপ্ট করে । শুরু হয় তাদের ভার্চুয়াল রোমান্স। সারিতাকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে বাজুউজ্জামান। সারিতা এতে রোমাঞ্চিত হতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা মুম্বাইয়ের বান্দ্রার পারিবারিক আদালতে দেখা করে এবং বিয়ে করে।

বিয়ের পর বাজুউজ্জামান সারিতার সাথে বিভিন্ন নৈতিকতাবিহীন কাজ করত। যৌনমিলনের আগে সে সারিতার সারাদেহ বিশ্রিভাবে উলঙ্গ করে ফেলত এবং শরীরের উপর দিয়ে চলত তার নজিরবিহীন অত্যাচার। সারিতার মনে তার স্বামী সম্পর্কে সন্দেহ বাড়তে থাকে। তার আসল চরিত্র প্রকাশ পায় তখন যখন সে আবিষ্কার করে যে বিয়ের আগে বাজুউজ্জামান তাকে যে বলেছিল তার একটি অ্যাপার্টমেন্ট আছে এবং সে গ্রাজুয়েট-এসব তথ্যের সবই মিথ্যা।

বাজুউজ্জামানের সন্দেহজনক আচরণের কারণে সারিতা ও তার পরিবার ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেয়। অনেক সংগ্রামের পর তাদের ডিভোর্স হয় গত ২৯মে। কিন্তু ঘটনা এখানেই শেষ নয়। বাজুউজ্জামান সারিতা ও তার পরিবারকে নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে। অবশেষে সে গত ১৭জুন সারিতাকে অপহরণ করে তার সেউরির অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে নয় দিন আটকে রেখে তার উপর নির্মম অত্যাচার চালায় । ব্লেড দিয়ে সারিতার সারা দেহে আচড় কাটে সে এবং রক্তাক্ত করে দেহের প্রতিটি নরম স্থানকে।

সারিতা চিৎকার করে উঠতো যন্ত্রণায়। বাজুউজ্জামান সারিতার ক্ষত-বিক্ষত দেহের ছবি তার বোনের কাছে পাঠিয়ে দিত এবং সারিতার নাম দিয়ে তার বোনের কাছে এসএমএস পাঠাত। এসএমএসে লেখা থাকত-‘ এই নাম্বারে আর কল দিবেনা। আমার মা বাবাকে ছাড়া এই ছবিগুলো কাউকে দেখাবে না । আমার ভাইকেও না। কাউকে কোনো অভিযোগ করবে না। আমার জীবনটা বোধ হয় আর থাকবে না। কারণ আমি সবাইকে খুব ভালবাসি!’

তদন্ত করে পুলিশ বের করেছে যে,বাজুউজ্জামান সারিতাকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয়ার জন্য নানা পরিকল্পনা করে আসছিল।

এক পর্যায়ে সারিতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বাজুউজ্জামান তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আর এটাই তার কাছে পালিয়ে যাওয়ার মহাসুযোগ হয়ে ধরা দেয়। গত ২৬ জুন সারিতা মিউল্যান্ডের হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। আর বাজুউজ্জামান মনে করে যে সারিতা আত্মহত্যা করেছে।

পালিয়ে যাওয়ার পর সারিতা মুম্বাই পুলিশকে তার সব ঘটনা খুলে বলে। পুলিশ সতর্ক অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার বাজুউজ্জামানকে শক্তিশালী অস্ত্রসহ মিউল্যান্ডের এক অ্যাপার্টমেন্ট থেকে গ্রেফতার করেছে। বর্তমানে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে বাজুউজ্জামান নিজের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে এবং তার বাবার ১৯৯৩ সালে মুম্বাই বোমা হামলার জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করেছে।

এদিকে সারিতা তার সুস্থ জীবনে ফিরে যাওয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সূত্র:এনডিটিভি।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
ঢাকা ব্যাংক, আইসিএমএবি ও মাস্টারকার্ডর যৌথ উদ্যোগে ভার্টিক্যাল ক্রেডিট কার্ড চালু
দেশের বাজারে শাওমির নতুন দুইটি স্মার্ট ওয়াচ
এআই-নির্ভর রূপান্তর: পিআই ওয়ার্কসের সহায়তায় দক্ষতা বাড়াচ্ছে বাংলালিংক
শুরু হচ্ছে আইডিয়া প্রকল্পের ন্যাশনাল ইউথ সামিট স্টার্টআপ গ্র্যান্ট প্রোগ্রাম
আইসিটি খাতের ঐক্যে ইউনাইটেড আইসিটি ফোরাম গঠনের উদ্যোগ
অনার এক্স৫বি সিরিজের সাথে গ্রামীণফোনের অফার
গ্রামীণফোনের নতুন সেবা ১ নম্বর এক্সপ্রেস
সিএএবি-এক্সেনটেক চুক্তি: বিমান চলাচলে উন্নত সংযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ
বিডিঅ্যাপস অ্যাওয়ার্ড নাইট ২০২৪ অনুষ্ঠিত
বাংলা ভাষার প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা রচিত উপন্যাস ‘যুবক যেখানে যেমন’