বৃহস্পতিবার ● ১১ জুলাই ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি শিল্প ও বানিজ্য » রেলওয়ের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে এম-সেনট্রেক্স চালু করল গ্রামীণফোন
রেলওয়ের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে এম-সেনট্রেক্স চালু করল গ্রামীণফোন
বাংলাদেশের শীর্ষ টেলিযোগাযোগ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন বাংলাদেশ রেলওয়ের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে এম-সেনট্রেক্স চালু করেছে। এর ফলে রেলওয়ের বিদ্যমান তামার তাঁর ভিত্তিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ফাইবার/আইপি ব্যবস্থায় রূপান্তর করা হবে।
এম-সেনট্রেক্স হচ্ছে জিএসএম প্লাটফর্মের অধীনে পরিচালিত একটি সমাধান যা মোবিলিটি এবং ব্যবসা দক্ষতাকে বাড়াতে সহায়তা করে। এখানে বর্তমানে রেলওয়েতে ব্যবহৃত ফিক্সড লাইন এক্সচেইঞ্জের কার্যক্রম মোবাইল ডিভাইসে (উদাহরণস্বরূপ: ফিক্সড ওয়্যারলেস টার্মিনাল, মোবাইল হ্যান্ডসেট) শর্টকোড ডায়ালিং অপশনের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়েছে। এই নতুন ব্যবস্থা বর্তমানের পিএবিএক্স ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপিত করবে। প্রাথমিকভাবে রেলওয়েকে ৩০০টি রিমোট স্টেশনসহ ১২৬০টি এম-সেনট্রেক্স সংযোগ প্রদান করা হবে। পরবর্তীতে তা ১৭০০টিতে বৃদ্ধি করা হবে।
রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল কালাম আজাদ জুলাই মাসের ৪ তারিখে রেলভবনে এর উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিবেক সুদ। বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আবু তাহের, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) আমজাদ হোসেন, গ্রামীণফোনের চীফ টেকনোলজি অফিসার তানভীর মোহাম্মদ সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব পিএবিএক্স সিস্টেমকে আধুনিক এম-সেনট্রেক্স এ রূপান্তর করার জন্য গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ জানান। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে রেলওয়ের পরিচালনার মান বাড়বে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিবেক সুদ বলেন, “এম-সেনট্রেক্স এর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রামীণফোন ও রেলওয়ের কৌশলগত সম্পর্ক আরো জোরদার হওয়ার পাশাপাশি রেলওয়ের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা আরো উন্নত হবে।”
রেলওয়ের মহাপরিচালক বলেন, “রেলওয়ের অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহারের মাধ্যমে শুরু হওয়া গ্রামীণফোন ও রেলওয়ের মধ্যকার সম্পর্কের বয়স ১৬ বছর।” তিনি আরো বলেন, “গ্রামীণফোন রেলওয়ের রেলগাড়ি নিয়ন্ত্রণ এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে ফোন এবং ব্লক সিস্টেম উন্নয়নে কাজ করবে। এসব কাজ সম্পন্ন হলে রেলওয়ের পরিচালনা আরো উন্নত হবে। “