বৃহস্পতিবার ● ১১ জুলাই ২০১৩
প্রথম পাতা » নিউজ আপডেট » পুলিশ-বিসিএস শিক্ষার্থী সংঘর্ষে শাহবাগ রণক্ষেত্র
পুলিশ-বিসিএস শিক্ষার্থী সংঘর্ষে শাহবাগ রণক্ষেত্র
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত বিসিএস শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ, হাতাহাতি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপের ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে রাজধানীর শাহবাগ চত্বর।
এখন পর্যন্ত সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন কয়েকজন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভাংচুর করেছেন এটিএন বাংলার গাড়ি।
বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটার দিকে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে শাহবাগের ‘মেধা চত্বরে’ আসতে চাইলে পুলিশ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এ মুহূর্তে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ। এরই মধ্যে পুলিশ বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে গেছে।
টিয়ারসেল ও লাঠিচার্জের মাধ্যমে মেধা চত্বর থেকে শিক্ষার্থীদের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করে দিচ্ছে পুলিশ। লাঠিচার্জের মুখে শিক্ষার্থীরা বিচ্ছিন্নভাবে দৌঁড়ে পালালেও তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুঁড়ছেন। পুলিশ আর শিক্ষার্থীরা এখন মুখোমুখি অবস্থান করছে।
শিক্ষার্থীদের একাংশ ধাওয়া খেয়ে চারুকলা ও ছবির হাটের সামনে টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ করছেন। তাদের মিছিল ও স্লোগানে উত্তাল হয়ে এলাকাটি। অন্যদিকে পুলিশ পাবলিক লাইব্রেরির গেট আটকে রাখায় ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন আরও বেশ কিছু শিক্ষার্থী। তারাও ভেতর থেকে আন্দোলনের সপক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন।
ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এটিএন বাংলার গাড়ি ভাঙচুর করেন। এ সময় এটিএন বাংলার ক্যামেরাপারসন কামাল হোসেন এবং ড্রাইভার মোঃ নয়ন খান গুরুতর আহত হন। তাদের বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে শাহবাগ থানা ও ছবির হাটের সামনে থেকে শাহবাগ চত্বরে যাওয়ার রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রেখেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। শাহবাগে ঢোকার অন্য ৩টি পয়েন্ট বারডেম হাসপাতাল, রমনামুখী সড়ক ও শাহবাগ-কাটাবন সড়কও কর্ডন করে কাউকে যেতে দিচ্ছে না পুলিশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম জানান, চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও সদ্য প্রকাশিত ৩৪তম বিসিএস’র ফল বাতিলের পূর্বঘোষিত আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে শিক্ষার্থীদের বেলা ১১টা থেকে শাহবাগ জড়ো হওয়ার কথা ছিল। ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা পাবলিক লাইব্রেরির সামনে শাহবাগের মেধা চত্বরে জড়ো হতে শুরু করলে পুলিশ বিনা উস্কানিতে লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল ছুঁড়েছে।