বৃহস্পতিবার ● ১১ জুলাই ২০১৩
প্রথম পাতা » আলোচিত সংবাদ » ফেসবুকে বোঝা যাবে প্রেমিকের সততা !
ফেসবুকে বোঝা যাবে প্রেমিকের সততা !
বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো ‘ফেসবুক’। ফেসবুকের মাধ্যমে যেমন বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে আবার তেমনি সর্ম্পকে ভাঙ্গনও ধরে। তবে নিরাশ হবার কিছু নেই এবার ফেসবুকেই বোঝা যাবে প্রেমিকের সততা।
ফেসবুকের অপব্যবহার করেন অনেকেই। মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে গড়ে তোলেন সম্পর্ক, পরবর্তিতে অপর বন্ধুটি হন প্রতারণার শিকার। তবে এবার ফেসবুক পর্যবেক্ষন করেই জেনে নিন আপনার প্রেমিক কতটা সৎ। জেনে নিতে পারেন আপনার প্রতি তার দায়বদ্ধতা কতটুকু।
১. ফেসবুকে তার নিত্য নতুন ছবি আপলোড হয়ে থাকলেও আপনাদের জুটির কোন ছবি তিনি ফেসবুকে দেননা। তাহলে এবার একটু ভাবুন, কেন আপনাকে অন্যান্য বন্ধুদের কাছে দেখাতে চাইছেন না পুরুষটি। এক্ষেত্রে তার কাছ থেকে বিষয়টি জানতে চান।
তার পরেও তিনি অভ্যেস না বদলালে আপনার নেতিবাচক দিকটার কথা ভাবাই বোধহয় উচিত হবে। তাছাড়া নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকার প্রমাণ স্বরূপ আপনার প্রেমের মানুষটি যদি একটু বেশিই নিজের ছবি পোস্ট করে থাকে, তবে জেনে রাখুন তিনি শুধু নিজেকেই ভালবাসেন। আপনার প্রতি মনোযোগ নেই।
২. এর বিপরীত বিষয়ও আছে। ধরুণ আপনার কিংবা আপনাদের প্রচুর ছবি যদি আপনার প্রেমিক পোস্ট করেন ফেসবুকে, তাও আবার সম্পর্কের মাস কয়েকের মধ্যেই। অথবা প্রেম প্রস্তাব স্বীকার করার মুহূর্তের মধ্যেই তিনি যদি ‘ইন আ রিলেশনশিপ’ রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে দেন আপনাকে-তবে নিশ্চিন্ত থাকুন, সেটিও আর যাই হোক- প্রেম নয়।
স্পষ্ট করে বলতে গেলে আপনার বয়ফ্রেন্ড বড় ধরনের রিলেশনশিপ অ্যাডিক্ট! এবার তিনি মনেপ্রাণে কতটা চাইছেন আপনাকে, আর কতটাই বা শুধুই রিলেশনশিপের চাহিদা- ভাল করে ভেবে দেখুন।
৩. মাস কয়েকের বেশি সময় ধরেই আপনাদের প্রেম চলছে। কিন্তু আপনার প্রেমিকের ফেসবুক রিলেশনশিপে ‘সিঙ্গল’ লেখা রয়েছে। আপনি বলেও তা পরিবর্তন করতে পারছেন না। তাহলে বুঝবেন আপনার প্রেমিক ইচ্ছেকৃত ভাবেই সিঙ্গেল রেখেছে। উদ্দেশ্য কতটা সৎ এবার আপনিই বিচার করুন।
৪. কারও প্রেমে পড়লে স্বাভাবিকভাবেই ফেসবুকে ডুবে থাকার সময়টি কমে যায় মানুষের জীবনে। ঘন্টার পর ঘন্টা ফেসবুকে দেয়ার সময় তখন তার থাকেনা। কিন্তু প্রেম হবার পরও যদি এ অবস্থা না বদলায় তাহলে বুঝবেন, মানুষটি একেবারেই সিরিয়াস নন সম্পর্টিকে নিয়ে।
৫. অতি তুচ্ছ কারণে মনের মানুষের সব কিছুই ফেসবুকে পোস্ট করাকেও দেখতে পারেন সন্দেহের চোখে। যেমন ধরুন, তাঁর মায়ের শরীর খারাপে তিনি মর্মাহত, কিংবা চাকরি নিয়ে জটিলতায় আছেন। এমন ব্যক্তিগত কথা যদি আপনাকে না জানিয়ে আগে ভাগেই ফেসবুকে পোষ্ট করে, তার অর্থ আপনার নয়, অন্য মেয়েদের অ্যাটেনশন চাইছেন তিনি।
এসব বিষয় বিচার বিশ্লষণ করে আপনার প্রেমিকের গতিবিধি নজরদারী করুন। এরপর সিদ্ধান্ত নিন আর সামনে এগুবেন না এগুবেননা।প্রাইম নিউজ।