বৃহস্পতিবার ● ১১ জুলাই ২০১৩
প্রথম পাতা » নিউজ আপডেট » বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস বৃহস্পতিবার
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস বৃহস্পতিবার
‘কৈশরে গর্ভধারণ, মাতৃমৃত্যুর অন্যতম কারণ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার সারা দেশে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ অ্যাডভোকেট ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
পৃথক বাণীতে তারা জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক আ ফ ম রুহুল হক বলেন, ‘বাল্যবিবাহ কিশোরীদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়। কিশোরীদের জোর করে বা প্রতারণা করে যৌনমিলনে বাধ্য করা হয়। অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ার কারণে বেশির ভাগ কিশোরীর মধ্যেই যৌন শিক্ষা-সম্পর্কিত কোনো ধারণা নেই। তারা নিজের পছন্দমতো সময়ে গর্ভধারণ করতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘দরিদ্র পরিবারের এই কিশোরীরা বেশির ভাগ সময় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। ক্ষতিকর ও বিপজ্জনক যৌন অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। কম বয়সী মা ফিস্টুলার ঝুঁকিতে থাকেন, জীবনীশক্তি হারান, শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে ভোগান্তির শিকার হন।’
পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, ১৬৫০ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল এক কোটি। দুইশ’ বছর পর ১৯৫১ সালে তা বেড়ে হয় দুই কোটি তিন লাখ। অর্থাৎ প্রায় দ্বিগুণ। ১৯৪১ সালে মাত্র ৯০ বছরের ব্যবধানে দেশের জনসংখ্যা দাঁড়ায় চার কোটি ২০ লাখে।
বাংলাদেশে বর্তমান জনসংখ্যা ১৪ কোটি ২৩ লাখ ১৯ হাজার। জনসংখ্যা বৃদ্ধির বার্ষিক হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৯৭৯ জন মানুষ বাস করে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির এ হার অব্যাহত থাকলে আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশের জনসংখ্যা দ্বিগুণ হবে।
দেখা গেছে, ১৯৫০ থেকে ‘৯১ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ঊর্ধ্বগামী। ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমলেও পূর্বের বৃদ্ধির তুলনায় একেবারেই উদ্বেগজনক।