রবিবার ● ৬ নভেম্বর ২০১১
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » অনলাইনে গবাদিপশু কেনা-বেচা!
অনলাইনে গবাদিপশু কেনা-বেচা!
চলমান ই-ব্যবসায় উপার্জন বৃদ্ধিতে উৎসাহিত হয়ে অনলাইনে ব্যবসার উদ্যোক্তারা আগামী বছর থেকে অনলাইনে ঈদুল আযহার কোরবানীর পশু বিক্রির পরিকল্পনা করছেন।এ প্রসঙ্গে এফএসবি (ফিউচার সলিউশন অব বিজনেস)-এর মার্কেটিং ডিরেক্টর সাদেকা হাসান সেঁজুতি জানান, ‘অনলাইনে বিভিন্ন পণ্যের ব্যবসা বৃদ্ধির কারণে আগামী বছর থেকে আমরা গবাদি পশু কেনা-বেচার বিষয়টি শুরু করতে যাচ্ছি।’ তিনি বলেন, আগামী বছর থেকে মানুষ ঘরে বসেই অনলাইনে তাদের কোরবানীর পশু কিনতে পারবে। তিনি আরো বলেন, যেসব কৃষক তাদের গবাদি পশু বিক্রি করতে আগ্রহী হবেন তারা সংশ্লিষ্ট গরু বা ছাগলের ছবি কোম্পানীর ওয়েবসাইটে ‘আপলোড’ করতে পারবেন। পশুর ছবির সঙ্গে দাম ও পরিবহন খরচ উল্লেখ করতে হবে। তিনি জানান, আগ্রহী ব্যক্তিরা কোম্পানীর ওয়েবসাইটে ক্রেডিট কার্ডের সাইটে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে সুলভমূল্যে কোরবানীর পশুর জন্য ‘অর্ডার’ দিতে পারবেন। তাদের পছন্দ করা পশু তাদের বাসায় পৌঁছে দেয়া হবে।
অন্যদিকে অনলাইনে ব্যবসার ফলে কোরবানীর পশুর দাম কমে যাবে। কেননা, এ ক্ষেত্রে কোনো মধ্যস্বত্বভোগী থাকবে না। এ ছাড়াও এর মাধ্যমে ব্যস্ত নগরবাসীদের হাট থেকে পশু কিনে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার ভোগান্তিরও অবসান হবে। আর অনলাইনে ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে অর্থ লেনদেন হবে বিধায় তা পশু ব্যবসায়ীদের জন্যও নিরাপদ হবে।
আরেকটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট -এর শাহরিয়ার হাসান সীমান্ত জানান, এ বছর তারা পশুর বাজার পর্যালোচনা করছেন। তারা কৃষক ও পশু ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলছেন যাতে আগামী বছর অনলাইনে গবাদিপশু বিক্রির উদ্যোগ নেয়া যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা সেই সব বিক্রেতাদের তালিকা তৈরি করছি, যারা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরাসরি বিক্রেতাদের কাছে পশু বিক্রি করতে আগ্রহী।
তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা এ উদ্যোগকে বর্তমান সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনের পথে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। তাদের মতে, এ উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দোড়গোড়ায় তথ্যপ্রযুক্তির সুফল পৌঁছে দেবে।