বুধবার ● ৩ জুলাই ২০১৩
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিটিসিএলের বকেয়া পাওনা ৩৫৩ কোটি টাকা
বিটিসিএলের বকেয়া পাওনা ৩৫৩ কোটি টাকা
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন সংসদকে জানিয়েছেন, বর্তমান সরকারের চার বছরে সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) বকেয়া পাওনা ৩৫২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের ১৮ অধিবেশনে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য আমিনা আহমেদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি তথ্য জানান।
সাহারা খাতুন বলেন, ‘সরকারি ও সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেরগুলোর কাছে টেলিফোন ও অন্যান্য টেলিকম সেবা বাবদ বকেয়ার পরিমাণ ৬১ কোটি ৯১ লাখ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছে বিটিসিএলের বকেয়ার পরিমাণ ২৯১ কোটি দুই লাখ টাকা।’ বিটিসিএলের এক্সেচেঞ্জগুলোর ১৩ লাখ ধারণক্ষমতার বিপরীতে ল্যান্ড ফোন গ্রাহক সংখ্যা ১০ লাখ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগযোগ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন।
তিনি বলেন, ‘বিটিসিএলের টেলিফোন, এডিএসএল, ইন্টারনেট ব্যান্ডইউথ ইত্যাদির চার্জ হ্রাস করেছে। ব্যয়বহুল কপার ক্যাবল ব্যবহারের পরিবর্তে অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করে খরচ কমানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার ফাইবার স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।’
মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রযুক্তিগত ত্রুটি দূরীকরণ ও সফটওয়্যার আপ-গ্রেড করার জন্য দোয়েল প্রাইমারি মডেল-২১০২ নেটবুক বিক্রয় সাময়িক বন্ধ আছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘টেশিস গেইটে ও রমনাস্থ বিটিসিএয়ের ওয়ান পয়েন্ট সার্ভিসে দোয়েলের দুটি বিক্রয় ও গ্রাহক সেবা কেন্দ্র আছে। শীঘ্রই বিভাগীয় সদরে দোয়েল ল্যাপটপের বিক্রয় ও গ্রাহক সেবা কেন্দ্র খোলা হচ্ছে।’
মো. আনোয়ার হোসেনের এক প্রশ্নের উত্তরে সাহারা খাতুন বলেন, ‘আগামী পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ২.৫ জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, ৩জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং টেলিযোগাযোগ খাতে ৪জি (এলটিই) প্রযুক্ত চালুকরণ তিনটি প্রকল্প পরিকল্পনাধীন।’
মো. মনিরুল ইসলামের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সব জিপিও, প্রধান ডাকঘর, উপজেলা ডাকঘর, গুরুত্বপূর্ণ উপ-ডাকঘর এবং এক হাজার ৩৮৯টি গ্রামীণ ডাকঘরসহ বর্তমানে দেশের ২ হাজার ৭৫০টি ডাকঘরে ইলেক্ট্রনিক বা মোবাইল মানি অর্ডার চালু আছে।’
মোল্যা জালাল উদ্দিনের এক প্রশ্নের উত্তরে সাহারা খাতুন বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ ডাক বিভাগে ২৯৭৫টি পদ শূন্য আছে। এগুলোর মধ্যে ৭১টি প্রথম শ্রেণী, দ্বিতীয় শ্রেণীতে ৩২টি, তৃতীয় শ্রেণীতে এক হাজার ৯২৭ এবং চতুর্থ শ্রেণীতে ৯৪৫টি শূণ্য পদ রয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর শূন্য পদগুলো বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের মাধ্যমে পূরণের কার্যক্রম চলছে।’