শুক্রবার ● ২৮ জুন ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » ছাত্রছাত্রীদের জন্য বাংলালিংকের গ্র্যান্ডমাস্টার সিজন-৩
ছাত্রছাত্রীদের জন্য বাংলালিংকের গ্র্যান্ডমাস্টার সিজন-৩
এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলালিংক তাদের গ্র্যান্ডমাস্টার প্রতিযোগিতার তৃতীয় আসরের আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দিয়েছে। গত ২৭ জুন এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘোষনা দেয়া হয়। এ সময় জানানো হয়, সেরা অ্যাপস তৈরির নতুন প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতা বাংলালিংক গ্র্যান্ডমাস্টার এরই মধ্যে সারাদেশে ব্যাপক আলোচিত ও প্রশংসিত। গ্র্যান্ডমাস্টার সিজন-৩ এর মিডিয়া পার্টনার হচ্ছে একাত্তর টিভি ও রেডিও আমার। তৃতীয়বারের এই আয়োজনে প্রতিযোগিরা ৩০ জুলাই, ২০১৩ পর্যন্ত নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে গ্র্যান্ডমাস্টার প্রতিযোগিতার তৃতীয় আসরের আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দেন বাংলালিংকের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমাদ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের ক¤িপউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. কায়কোবাদ, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ বিজনেসের ডিন প্রফেসর ড. আবদুল হান্নান চৌধুরী, ইন্ডিপেন্ডেট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের স্কুল অফ বিজনেসের ডিন ড. সারওয়ারউদ্দীন আহমেদ, ফিনানসিয়াল এক্সেলেন্স লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর মামুন রশিদ এবং ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মো: মূসা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রাথমিক উপস্থাপন পর্যায়ের পর ২৫ আগস্টের মধ্যে ২ থেকে ৪ সদস্য বিশিষ্ট ১৫টি দল বাছাই করে পরবর্তী ১দিন দলগুলোকে যার যার প্রকল্প উপস্থাপনের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। গ্র্যান্ডমাস্টার প্রতিযোগিতার প্রথম আসরে ১৫৮৫ টি দল তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে এবং এতে জমা পড়ে মোট ৯৪৯টি প্রকল্প। পরবর্তী বছরে নাম অন্তর্ভুক্তির সংখ্যা ছিল ২২২৩ এবং এতে প্রকল্প জমা পড়ে ২৩০টি। ক্রমবর্ধমান এই সংখ্যাই প্রমাণ করে বাংলালিংক গ্র্যান্ডমাস্টার প্রতিযোগিতা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিপুল সাড়া জাগিয়েছে, যারা দিনবদলের পথিকৃত।
ছাত্রছাত্রীরা বরাবরই বাংলালিংকের কাছে বিশেষভাবে প্রাধান্য পেয়ে আসছে। গ্র্যান্ডমাস্টার প্রতিযোগিতার প্রথম দুই আসরই বিশ^বিদ্যালয় এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে এবং এবার সঙ্গতভাবেই প্রত্যাশা করা যাচ্ছে যে, গেল দুবারের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবারও সফল হবে গ্র্যান্ডমাস্টার প্রতিযোগিতা। প্রকল্প বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যে দিকগুলোর প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখা হবে, তা হচ্ছে এর মধ্য দিয়ে কি পরিমাণ মানুষ উপকৃত হবে, সৃজনশীলতা, ব্যবহার উপযোগী, কৌশলগত সহজতা এবং বাণিজ্যিক সম্ভাবনা।
গতবছরের মতো এবারও ফেসবুক পেজ ‘বাংলালিংক মেলা’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের জন্য একটি জরুরি প্লাটফর্ম হিসেবেই বিবেচিত হবে। অংশগ্রহনে ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীরা প্রথমে একটি দল তৈরি করে নিজেদের আইডিয়াসহ বাংলালিংকের ফেসবুক ফ্যান পেজ ‘বাংলালিংকমেলা’র মাধ্যমে নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন। ইন-হাউজ ভিত্তিতে প্রাথমিক বাছাই শেষে চুড়ান্ত পর্যায়ে সেরা তিনটি দলকে নির্বাচন করবেন জ্যুরি প্যানেল।
গ্র্যান্ডমাস্টার চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার হিসাবে পাবেন দুই লক্ষ টাকা, প্রথম ও TMি^তীয় রানার্স আপ পাবেন যথাক্রমে দেড় লক্ষ টাকা ও এক লক্ষ টাকা। এ বছরের প্রকল্পের থিম হচ্ছে- ‘মানুষের জীবনমান পরিবর্তনে মোবাইল এপ্লিকেশন’। সম্ভাবনাময় প্রকল্পসমুহ বানিজ্যিক এপ্লিকেশন হিসেবে পরিচালনা করা হবে।
বাংলালিংকের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমাদ বলেন, ‘প্রথম দুই বছর গ্র্যান্ডমাস্টার প্রতিযোগিতা ব্যাপকভাবে সাফল্যমন্ডিত হয়। আর এ কারণেই আবারও ফিরে এলো এই প্রতিযোগিতা। এখন যেহেতু ত্রি জি আমাদের হাতের নাগালের মধ্যে তাই এই আয়োজন এখন যে কোন সময়ের চেয়ে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। আমরা প্রত্যাশা করি, এই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে সত্যিকার অর্থেই বেশকিছু অসাধারণ অ্যাপ্লিকেশন আমরা পাবো যা মানুষের জীবনমান বদলে দেওয়ার ক্ষেত্রে ভুমিকা পালন করবে।