শুক্রবার ● ২৮ জুন ২০১৩
প্রথম পাতা » আলোচিত সংবাদ » ।। মামলায় সয়লাব গোল্ডেন লাইফ, গ্রাহকের টাকা দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি- বীমা সেক্টরের নামিদামি কর্মকর্তাদের-বহু দপ্তরে প্রতিকার চেয়েও প্রতিকার পায়নি ভূক্তভোগিরা।। মাহফুজুল বারী জালিয়াতি পর্ব-৮
।। মামলায় সয়লাব গোল্ডেন লাইফ, গ্রাহকের টাকা দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি- বীমা সেক্টরের নামিদামি কর্মকর্তাদের-বহু দপ্তরে প্রতিকার চেয়েও প্রতিকার পায়নি ভূক্তভোগিরা।। মাহফুজুল বারী জালিয়াতি পর্ব-৮
আমাদের তদন্তমূলক গত ৭ পর্বের নির্যাসে বলা যায়, ২০১০ সাল থেকে মূলত কোম্পানীটি ধংসের দিকে ধাবিত হয়। লাক্কু মিয়ার বিবৃতি মোতাবেক - পরিচালক আজিজুর রহমান খান এবং সৈয়দ মুনসেফ আলীর শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য এবং নিয়মিত প্রতিমাসের পারিতোষিক ঘুষ গ্রহনের জন্য মাহফুজুল বারীর জন্ম দেয় তারা। বিগত সকল বছরের জমানো ক্ষোভ মিটানোর জন্য মুসা মিয়া গ্রুপের কর্মকর্তাদের বেছে বেছে গন-চাকুরীচ্যুতি করতে থাকে এম. বারী। একক নিয়ন্ত্রনে হিসাব পরিচালনাকারী মাহফুজুল বারী কোম্পানীর গ্রাহকের টাকা খরচ করে মিথ্যা, বানোয়াট ও হয়রানিমূলকভাবে কর্মকর্তাদের নাজেহাল করে চলেছে। জানা যায়, মাহফুজুল বারী ৮ অগাষ্ট’২০১২ তারিখ যোগদান করার বহু পূর্ব থেকে সে পরিচালকদের সাথে আতত করে প্রতিষ্ঠানে ঢোকার জন্য পায়তারা শুরু করে এবং এমডি মুফতি আজিজ ও এমডি কে.এম. ইলিয়াস হোসেনকে কোম্পানীর বাইরে থেকে কলকাঠি নেড়ে চাকরীচ্যুত করান। ২০১০ সালে চাকুরী হারানো এক প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘গোল্ডেন লাইফের আজকের পরিনতি এবং সকল মামলার খরচ ও দায়ভার মাহফুজুল বারীর উপর বর্তাবে। গোল্ডেন লাইফের পরিচালকদের উচিত এখনই হিসেব নিকেষ করে মাহফুজুল বারীকে বের করে দেয়া; নতুবা কোম্পানীর ৯শত কোটি টাকার দায়ভার গুনে গুনে ৭ মালিককে পরিশোধ করতে হবে।’
প্রায় প্রতিদিনই মাহফুজুল বারীকে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে ফোন করা হলে dailyictnews এর ফোন সে রিসিভ করেনা। ২৬ জুন’১৩ তারিখ হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের এক কর্মকর্তা বরখাস্তকৃত ৫৫ জন কর্মকর্তা পিয়ন ড্রাইভার ঝাড়–দারের তালিকা থেকে dailyictnews কে ৫৩ জনের নাম প্রদান করেছে যা প্রকাশ করা হলো-
১। এ.কে.এম. শরীফুল ইসলাম - এডিশনাল এমডি
২। কে.এম. রফিকুল আলম - ডিএমডি
৩। মোঃ জসিম উদ্দিন - প্রজেক্ট-ইনচার্জ-জিডিপিএস-০১
৪। মোঃ বাহাউদ্দিন বাহার - প্রজেক্ট-ইনচার্জ-জিডিপিএস-০২
৫। মোঃ কামাল হোসেন - প্রজেক্ট-ইনচার্জ-তাকাফুল-০১
৬। মোঃ কাবির হোসেন - প্রজেক্ট-ইনচার্জ-মুদারাবা-০২
৭। মোঃ মনিরুল হক - প্রজেক্ট ইনচার্জ- তাকাফুল-০২
৮। শেখ মনিরুল ইসলাম - প্রজেক্ট ইনচার্জ- গৃহকল্যান-০১
৯। মোঃ শাহাদাত হোসেন - প্রজেক্ট ইনচার্জ- আইডিপিএস-০২
১০। মোঃ রুহুল আমিন বাচ্চু - প্রজেক্ট ইনচার্জ- গৃহকল্যান-০২
১১। এম.এ. আহাদ আলম - অফিস ইনচার্জ, জিডিপিএস, সিলেট
১২। আবুল বাশার পান্না - এভিপি, সিলেট
১৩। আঃ রহমান মিয়া - প্রকল্প-ইনচার্জ-বন্ধুবীমা-০২
১৪। আবু বক্কর সিদ্দিক - এক্সিকিউটিভ অফিসার
১৫। আশরাফুল ইসলাম - এক্সিকিউটিভ অফিসার
১৬। রাজিয়া সুলতানা - সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার
১৭। আফরোজা খাতুন - এভিপি
১৮। উম্মে সালমা - জুনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার
১৯। মাহমুদা হাবিব - জুনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার
২০। নাসরিন ইসলাম - এক্সিকিউটিভ অফিসার
২১। হানিফ আহমেদ - অফিসার গ্রেড-০১
২২। মাজেদা রহমান - অফিসার গ্রেড-০১
২৩। শরিফুল ইসলাম - অফিসার গ্রেড-০১
২৪। যমুনা রায় - জুনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার
২৫। হুমায়ুন কবির - অফিসার গ্রেড-০১
২৬। জিয়া উদ্দিন তালুকদার - পিয়ন
২৭। রাজু দাস - ঝাড়–দার
২৮। মোস্তাফিজুর রহমান - অফিসার গ্রেড-০১
২৯। হাবিবুর রহমান - ওজি-০২
৩০। রাসেল আহমেদ - জেইও
৩১। মোঃ আল আমিন - ওজি-০১
৩২। মোঃ ইলিয়াস হোসেন - ড্রাইভার
৩৩। আঃ রহিম - ড্রাইভার
৩৪। মাসুম রানা - ড্রাইভার
৩৫। মোঃ দুলাল - ড্রাইভার
৩৬। মোঃ মনোয়ার হোসেন - ড্রাইভার
৩৭। নুর আলম - ড্রাইভার
৩৮। রামপ্রসাদ দাস - ড্রাইভার
৩৯। আতিকুর রহমান - ড্রাইভার
৪০। মোঃ রুবেল - ড্রাইভার
৪১। মোঃ হানিফ - ড্রাইভার
৪২। মোঃ কাওছার - ড্রাইভার
৪৩। মোঃ জালাল হোসেন - ড্রাইভার
৪৪। মোঃ ইমাম হোসেন - ড্রাইভার
৪৫। মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন - ড্রাইভার
৪৬। মোঃ সোহেল মিয়া - ড্রাইভার
৪৭। মোঃ বাদল মাতুব্বর - পিয়ন
৪৮। মোঃ রনি শেখ - পিয়ন
৪৯। শাখাওয়াত হোসেন - এক্সিকিউটিভ অফিসার
৫০। রাবেয়া আক্তার পপি - অফিসার গ্রেড-০২
৫১। সুরঞ্জিত দাস - জেএভিপি
৫২। মোঃ নাজমুল হুদা - জুনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার
৫৩। মোঃ গিয়াস উদ্দিন - অফিসার গ্রেড-০১
উক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী-পিয়ন-ড্রাইভারের নামে কোম্পানীর গ্রাহকের টাকা খরচ করে মামলা করেছে, জাতীয় দৈনিকে কালার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে মাহফুজুল বারী। জানা গেছে, নতুন অফিস নেয়া এবং উক্ত খরচ বাবদ এ পর্যন্ত ৫ কোটি টাকার উপরে খরচ হয়েছে। dailyictnews দপ্তরে এ যাবৎ পাওয়া সকল মামলা-জিডি নিয়ে “মাহফুজুল বারী মামলা কড়চা’’ প্রকাশ করা হলো-
১৬ মে-২০১২ তারিখ-
** বর্তমানের মত ৩০ কোটি টাকা গ্রাহকের অনুমোদিত বিভিন্ন দাবী পরিশোধ না করায় এবং ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করায় ক্ষুব্ধ গ্রাহক-কর্মী-জনতা ৪ জন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে গনধোলাই দিয়ে তেজগাও শিল্পাঞ্চল থানায় ফেনীর গ্রাহক মোঃ জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করে যার নং জিআর-১৭, তারিখ -১৬-০৫-২০১২ইং। আসামীরা হলো ১। উজ্জ্বল কুমার নন্দী (৩৪), ২। মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (৩৪), ৩। মোঃ জাকারিয়া ভূইয়া (৩৬) এবং ৪। রাহাত মাহমুদ (৩২)। ধারা সমূহ হলো- ৪২০,৪০৬,৫০৬,১০৯।
** আসামীগ্রুপ মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে একই থানায় কথিত আব্দুর রহমান, পিতা- মৃত আব্দুর রহিম, সাং ৩৭২ গুলবাগ, মালিবাগ, শাহজাহানপুর, ঢাকা বর্তমানে এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, গোল্ডেন লাইফ ইনসিওরেন্স লিমিটেড কে দিয়ে একটি কাউন্টার মামলা করায় যার নং ২৩, তারিখ ২৪-০৫-২০১২ইং। জানা যায়, উক্ত নামে কোন লোক কোম্পানীতে ছিলনা এবং মামলা চলাকালিন কখনও কোর্টেও যায়নি। উক্ত মামলায় মিথ্যাভাবে হয়রানি করার জন্য ২০ জনকে আসামী করা হয়। আসামীরা হলো- ১। এ.কে.এম শরীফুল ইসলাম ২। এসএম মোস্তাফিজুর রহমান ৩। কে.এম. রফিকুল আলম ৪। এম.এ. আজিজ চৌধুরী ৫। সামছুল আলম ৬। মঞ্জুরুল ইসলাম ৭। মোর্শেদ আলম সিদ্দিকী ৮। সমীর কান্তি দেব ৯। মোঃ জসীম উদদিন ১০। মোঃ কামাল হোসেন ১১। মোঃ কবির হোসেন ১২। মোঃ মনিরুল হক ভূইয়া ১৩। শেখ মনিরুল ইসলাম ১৪। মোঃ শাহাদাত হোসেন ১৫। মোঃ রুহুল আমিন বাচ্চু ১৬। আবুল কাশেম ১৭। আকবর হোসেন ১৮। মোঃ বদিউল আলম ভূইয়া ১৯। মোঃ জসিম উদ্দিন এবং ২০। নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস। ধারা হলো – ১৪৩, ৩০৭, ৩২৩, ৩২৪, ৩২৬, ৩৪২, ৪২৭, ৩৮০, ৩৮৫, ৫০৬, ৪০৬, ৪২০ এবং ১১৪।
** কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ, ২১ জন কর্মকর্তাকে মিথ্যাভাবে বরখাস্ত করা, এ্যারেষ্ট হওয়া কর্মকর্তাদের বহিস্কারের আদেশ প্রত্যাহার করা, ভূয়া বোর্ড মিটিং ও এজিএম করা, ভূয়াভাবে কোম্পানীর চেয়ারম্যান পরিবর্তন করা, কোরাম না হয়েও মিথ্যা কোরাম দেখিয়ে এমডি নিয়োগ দেয়া, মাইনোরিটি শেয়ার প্রটেকশন করা ইত্যাদি কারনে মুসা মিয়া ও সুলতান আহমেদ হাই কোর্টে ৭/৮ টি রিট করে এবং প্রত্যেকটি রিটে গ্রাহকের পক্ষে, কোম্পানীর পক্ষে রায় পায়। পিছু হটে আজিজ ও মুনসেফ আলী গ্রুপ।
** গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করে না দেয়ার কারনে গ্রাহক বাদী হয়ে কুষ্ঠিয়ায় মামলা করে। মামলা নং কুষ্ঠিয়া সিআর ২৩৮/২০১৩। আসামী হলো- ১। এম. মাহফুজুল বারী চৌধুরী এবং ২। সামছুল আলম। জানা যায়, উক্ত মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে আসামীদ্বয় ১ মাস পলাতক থেকে জামিন নেয় এবং গ্রাহককে মূল টাকার ৩ গুন টাকা দিয়ে আপোষ করে। ধারা হলো- ৪০৬ এবং ৪২০।
** ডিএমডি কে.এম. রফিকুল আলমকে বরখাস্ত করে তাকে প্রধান আসামী করে বাদী এম. মাহফুজুল বারী চৌধুরী মামলা করে যার নং ৩৬৬/২০১৩। তারিখ ০৬-০৫-২০১৩ইং। আসামী হলো- ১। কে.এম. রফিকুল আলম (৪২) ২। মোঃ কবির হোসেন (৩৬) ৩। মোঃ জসীম উদ্দিন(৩৪) ৪। মোঃ কামাল হোসেন (৩৪) এবং ৫। মোঃ মনিরুল হক ভূইয়া (৩৪)। আদালত কে.এম. রফিকুল আলমকে গ্রেফতারি পরোয়ানা দিয়ে বাকী ৪ জনের নাম আমলে নেয়নি। ধারা হলো- ৪৬৫, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭৪, ৪২০, ৪৪১, ৪৭১, ৪৪৭, ৪৫২, ৩৫০ এবং ৫০৬।
জানা যায়, মামলাটি মিথ্যা ও বানোয়াট। এম. মাহফুজুল বারী অফিসে না আসার পায়তারায় এবং গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্ঠা স্বরুপ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে একটি কাহিনী দাঁড় করায় এবং ২৩-০৪-২০১২ইং তারিখ মিথ্যা বর্ননায় তেজগাও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি জিডি করে যার নং ১৪২৫। মামলা করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি এম. বারী। সে সারা দেশে জেনারেল সার্কূলার করে সকল লাইফ এবং ননলাইফ কোম্পানীর চেয়ারম্যান এমডি এবং সকল শাখা অফিসে পাঠায়, জাতীয় দৈনিকে ৫, ৬ এবং ১২ মে’২০১৩ তারিখ ৩ দিন কালার ছবিসহ সতর্কি করন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে যাতে রফিকুল আলমের ক্যারিয়ার চিরতরে নষ্ট হয়ে যায়।
** আত্মরক্ষার্থে কে.এম. রফিকুল আলম তার সার্টিফিকেট জাল নয় মর্মে এবং চাকুরী ফেরৎ চেয়ে দেওয়ানি মামলা করেন যার নং ৩৪৫/২০১৩। মামলায় আসামী এমডি এম. মাহফুজুল বারী চৌধুরীকে কোর্ট সো-কজ করলে কোন জবাব না দিয়ে বারংবার টাইম পিটিশন দিচ্ছে।
** ৩৬৬/২০১৩ নং মামলা দিয়ে তেমন কিছু না করতে পারায় ডিএমডি এইচআর মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে আরও একটি মামলা দায়ের করে যার নং ৩৭১/২০১৩। আসামী হলো ১৮ জন। এরা হলো- ১। কে.এম. রফিকুল আলম (ডিএমডি) ২। একেএম শরীফুল ইসলাম (এডিশনাল এমডি) ৩। মোঃ কবির হেসেন (প্রজেক্ট-ইনচার্জ) ৪। মোঃ জসীম উদ্দিন (প্রজেক্ট-ইনচার্জ) ৫। মোঃ কামাল হোসেন (প্রজেক্ট-ইনচার্জ) ৬। মোঃ মনিরুল হক ভূইয়া (প্রজেক্ট-ইনচার্জ) ৭। মোঃ বাহা উদ্দিন বাহার (প্রজেক্ট-ইনচার্জ) ৮। শেক মনিরুল ইসলাম (প্রজেক্ট-ইনচার্জ) ৯। মোঃ রুহুল আমিন বাচ্চু (প্রজেক্ট-ইনচার্জ) ১০। মোঃ রাসেল (কারপুল) ১১। মোঃ আল আমিন (কারপুল)১২। মোঃ ইলিয়াস (ড্রাইভার) ১৩। রাম প্রসাদ (ড্রাইভার) ১৪। সোহেল রানা (ড্রাইভার) ১৫। মোঃ জাহাঙ্গীর (ড্রাইভার) ১৬। নুরে আলম (ড্রাইভার) ১৭। রনি (পিয়ন) এবং ১৮। বাদল মাতুব্বর (পিয়ন)। ধারা হলো- ৩৭৯, ৪৪৭, ৪৪৮, ৪২৭, ৩২৩, ৫০৬, ৩৮০ এবং ৩৮১।
এই মামলায় ৫ জনকে স্বাক্ষী রাখে মোস্তাফিজ। তারা হলো-১। মোঃ শাহাদাত হোসেন (পিআই) ২। মোঃ খোরশেদ আলম (পিআও) ৩। মোঃ রুহুল আমিন ৪। মোঃ মুকসুদুর রহমান এবং ৫। আবুল কাশেম। স্বাক্ষীদের মধ্যে থেকে চাকুরী ছেড়ে দেয়া এক কর্মকর্তা ফোনে dailyictnews কে জানায়, “মোস্তাফিজ স্যার শয়তান লোক। এই মামলাটি সম্পূর্ন মিথ্যা। আমাদের যে ৫ জনকে সাক্ষী মানছে তার মধ্যে মোঃ মুকসুদুর রহমান স্যার এবং আবুল কাশেম স্যার ঔদিন অফিসেই ছিলনা। আসামী যাদের করেছে তাদের মধ্যে- কে.এম. রফিকুল আলম স্যার (ডিএমডি), একেএম শরীফুল ইসলাম স্যার (এডিশনাল এমডি), মোঃ ইলিয়াস (ড্রাইভার), রাম প্রসাদ (ড্রাইভার) এবং মোঃ জাহাঙ্গীর (ড্রাইভার) এরা অফিসেই ছিলনা”। থানা মারফত জানা যায়, মোস্তাফিজুর রহমান তার মামলার আর্জিতে বলেছে “এই সংক্রান্তে বাদী তেজগাও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করিতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা রজু না করিয়া অভিযোগটি সাধারন ডায়েরী হিসেবে গ্রহন করে যাহার নং ৮৬ তারিখ ০২.০৫.২০১৩ ইং” যা সম্পূর্ন মিথ্যা।
** এদিকে মাহফুজুল বারীর ২য় স্ত্রী রেশমা আক্তারের দায়ের করা নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলায় রমনা থানা কর্তৃক গ্রেফতার হয় মাহফুজুল বারী। মামলা নং সিআর- ২৪১/২০১৩ তরিখ ২৭-০৫-২০১৩ইং। উক্ত গ্রেফতারের বিষয়টি সারাদেশের সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় ২৯, ৩০ এবং ৩১ মে’২০১৩ ফলাউ করে প্রচার করে। পরের দিন কোম্পানীর এমডি’র সাফাই গাওয়া চেয়ারম্যান কোর্টে গিয়ে কাবিনের ৩ লাখ টাকা পরিশোধ করে মুচলেকা দিয়ে মাহফুজুল বারীকে জামিনে আনে। ৩৭১/২০১৩ নং মামলার স্বাক্ষীদের মধ্যে থেকে চাকুরী ছেড়ে দেয়া এক কর্মকর্তা ফোনে dailyictnews কে আরও জানায়, “ছোট বৌ রেশরা আক্তারের জন্য স্যারের আমেরিকা প্রবাসী বড় বৌ অনেক ক্ষুব্ধ, তাদের সংসার টিকে কিনা সংন্দেহ। ছেলে মেয়েসহ সকলে চায় সে চাকুরী ছেড়ে আমেরিকা যাক।”
** মাহফুজুল বারী কর্তৃক বেতন না দেয়া, চাকুরী থেকে বরখাস্তের হুমকি, হেফাজতের জন্য টাকা চাওয়া এবং মেরে ফেলার হুমকির জন্য প্রকল্প ইনচার্জ মোঃ শাহাদাত হোসেন এবং মোঃ জসীম উদ্দিন তেজগাও শিল্পাঞ্চল থানায় ১টি করে জিডি করে যার নং যথাক্রমে ৯৯৪/২০১৩ তারিখ ২২-০৫-২০১৩ইং এবং ১০৩১/২০১৩ তারিখ ২৩-০৫-২০১৩ইং। জিডি’র সংবাদে ক্ষুব্ধ হয়ে এম. বারী সকল প্রকল্প ইনচার্জদের বরখাস্ত করে। তাদের মধ্যে ৪ জন প্রকল্প ইনচার্জ আত্ম রক্ষায় মামলা করে যার বিবরন নিম্নরুপ-
** মোঃ মনিরুল হক ভূইয়া প্রকল্প ইনচার্জ-তাকাফুল-০২ তাকে ইন্টারমিডিয়েট সার্টিফিকেট জাল মর্মে বরখাস্ত করেছে; অথচ সে মাস্টারস ডিগ্রীধারী। এম. মাহফুজুল বারী চৌধুরীকে আসামী করে তার অন্যায় বরখাস্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছে সে যার নং সিআর- ৪৩৬/২০১৩। কোর্ট সো-কজ করেছে বারীকে-জবাব দেয়নি।
** প্রকল্প ইনচার্জ শেখ মনিরুল ইসলামের ডিগ্রী ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সার্টিফিকেট কুমিল্লা বোর্ড থেকে ভেরীফাই করিয়েছে মর্মে তাকে বরখাস্ত করেছে। এম. মাহফুজুল বারী চৌধুরীকে আসামী করে তার অন্যায় বরখাস্তকে চ্যালেঞ্জ করে সেও মামলা করেছে যার নং সিআর- ৪৪৯/২০১৩। কোর্ট সো-কজ করেছে বারীকে-জবাব দেয়নি।
** প্রকল্প ইনচার্জ মোঃ শাহাদাত হোসেন এর ডিগ্রী সার্টিফিকেট জাল মর্মে তাকে বরখাস্ত করেছে। এম. মাহফুজুল বারী চৌধুরীকে আসামী করে তার অন্যায় বরখাস্তকে চ্যালেঞ্জ করে সেও মামলা করেছে যার নং সিআর- ৪০১/২০১৩। কোর্ট স্ব-মন দিয়েছে বারীকে।
** প্রকল্প ইনচার্জ মোঃ জসীম উদ্দিন কোম্পনীতে ১ম দিন থেকে ১৩ বছর চাকুরী করে। তার ভাষ্যমতে সে ১৩ বছরে ১৩ বারই কালেকশনে ১ম হয়েছে। তাকেও কোন কারন ছাড়া বরখাস্ত করেছে। এম. মাহফুজুল বারী চৌধুরীকে আসামী করে তার অন্যায় বরখাস্তকে চ্যালেঞ্জ করে সেও মামলা করেছে যার নং সিআর- ৫০৪/২০১৩। কোর্ট সো-কজ করেছে বারীকে।
** এদিকে একর পর এক মিথ্যা ও বানোয়াট কাহিনী তৈরী করে নাজেহাল করার জন্য ‘বারী-মোস্তাফিজ চক্র’ কোম্পানির কোটি কোটি টাকা নিজের ভেবে খরচ করে যাচ্ছে। প্রতারনা ও জালিয়াতির অভিযোগে প্রকল্প ইনচার্জ শেখ মনিরুল ইসলামকে আসামী করে মাহফুজুল বারীর পক্ষে নিয়োগবিহিন সাইদ হাসান নুর নামক কথিত সংস্থাপন কর্মকর্তা মামলা দিয়েছে যার নং সিআর-৪৮৯/২০১৩ইং। ধারা হলো- ৪৬৫, ৪৬৮, ৪৭১, ৪৭৪ এবং ৪২০।
** প্রতারনা ও জালিয়াতির একই অভিযোগে প্রকল্প ইনচার্জ মোঃ শাহাদাত হোসেনকে আসামী করে মাহফুজুল বারীর পক্ষে নিয়োগবিহিন সাইদ হাসান নুর নামক কথিত সংস্থাপন কর্মকর্তা মামলা দিয়েছে যার নং সিআর-৪৯০/২০১৩ইং। ধারা হলো- ৪৬৫, ৪৬৮, ৪৭১, ৪৭৪ এবং ৪২০।
** প্রতারনা ও জালিয়াতির একই অভিযোগে প্রকল্প ইনচার্জ মোঃ মনিরুল হক ভূইয়াকে আসামী করে মাহফুজুল বারীর পক্ষে নিয়োগবিহিন সাইদ হাসান নুর নামক কথিত সংস্থাপন কর্মকর্তা মামলা দিয়েছে যার নং সিআর-৪৯১/২০১৩ইং। ধারা হলো- ৪৬৫, ৪৬৮, ৪৭১, ৪৭৪ এবং ৪২০।
এদিকে স্বাক্ষীর ভাষ্যমতে, ‘বারী-মোস্তাফিজ শয়তান চক্র’ কোম্পানীর কোটি কোটি টাকা কালেকশন করা ৮ কর্মকর্তাদের বীমা শিল্পে কলংকিত করার জন্য ছবিসহ গত ২১ জুন’২০১৩ ইং তারিখ দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার ১ম পৃষ্ঠায় গ্রাহকের লাখ লাখ টাকা খরচ করে সকলের সার্টিফিকেট জাল মর্মে পুনরায় সতর্কি করন বিজ্ঞপ্তি দেয়। বহুল পুচারিত এই পত্রিকার মারফত সারা পৃথিবীকে মিথ্যা বিষয় দিয়ে জানান দিল এবং উক্ত ৮ জন কর্মকর্তা ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনে মানহানী হলো। যার ফলশ্রুতিতে কোম্পানীর চেয়ারম্যার ও এমডি’র বিরুদ্ধে মানহানী ও ক্রিমিনাল মামলা করেছে ভূক্তভোগী প্রকল্প ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন যার নং সিআর-৩৪২/২০১৩। আরও একাধিক মামলা সারা দেশে হবে বলে জানিয়েছে ভূক্তভোগীরা।
dailyictnews কে ভূক্তভোগী ৫৫ জন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্থক্ষেপ কামনায় একটি চিঠি পাঠানো হয়ে যার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি তারা ৯শত কোটি টাকার কোম্পানীটিকে বাঁচাতে কোথায় কোথায় প্রতিকার চেয়েছে-
১। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আবেদন।
২। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরে আবেদন।
৩। চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশন।
৪। সচিব, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতষ্ঠান বিভাগ।
৫। মহা পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি)
পুলিশ হেডকোয়ার্টার, ঢাকা, বাংলাদেশ।
৬। মহা পরিচালক-র্যাব
র্যাব হেডকোয়ার্টার, উত্তরা, ঢাকা।
৭। পুলিশ কমিশনার, ডিএমপি, ঢাকা।
৮। ডিআইজি, সিটিএসবি, ঢাকা।
৯। উপ-পুলিশ কমিশনার, তেজগাও বিভাগ, ডিএমপি, ঢাকা।
১০। উপ-পুলিশ কমিশনার, রমনা বিভাগ, ডিএমপি, ঢাকা।
১১। অফিসার ইনচার্জ, শিল্পাঞ্চল থানা, তেজগাও, ডিএমপি, ঢাকা।
১২। অফিসার ইনচার্জ, রমনা মডেল থানা, রমনা, ডিএমপি, ঢাকা।
১৩। সম্পাদক- প্রথম-আলো।
১৪। সম্পাদক- সমকাল।
১৫। সম্পাদক- ইত্তেফাক।
১৬। সম্পাদক- যুগান্তর।
১৭। সম্পাদক- ভোরের কাগজ।
১৮। সম্পাদক- ভোরের ডাক।
১৯। সম্পাদক- মানবকন্ঠ।
২০। সম্পাদক- কালেরকন্ঠ।
২১। সম্পাদক- বাংলাদেশ প্রতিদিন।
২২। চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক- এটিএন বাংলা।
২৩। চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক- বাংলাভিশন।
২৪। চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক- চ্যানেল ২৪।
২৫। চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক- চ্যানেল-১।
২৬। চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেশটিভি।
২৭। চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক-দিগন্ত টিভি।
২৮। চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক- ইটিভি।
২৯। চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক-জিটিভি।
৩০। চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক-ইনডেপেনডেন্ট টিভি।
৩১। চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক-ইসলামীক টিভি।
৩২। চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক-এনটিভি।
৩৩। চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক-আরটিভি এবং
৩৪। মহাপরিচালক-বিটিভি।
আবেদন কারীরা জানান সকল প্রচার মাধ্যমই কোননা কোর ভাবে সাড়ে ৮ লাখ গ্রাহকের ৯শত কোটি টাকার কোম্পানীকে বাঁচাতে ভূমিকা রেখে চলছে। এরমধ্যে দৈনিক সংগ্রাম, দৈনিক জনতা, দৈনিক যুগান্তর, ইটিভি, ইনডেপেনডেন্ট চ্যানেল, জিটিভি, অনলাইন হ্যালো-টুডে এবং dailyictnews এদের অবদান অপূরনীয়। দৈনিক প্রথম আলোর কয়েকজন ক্রাইম রিপোর্টার গোল্ডেন লাইফকে নিয়ে dailyictnews এর যৌথভাবে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
চলবে———