বুধবার ● ২৬ জুন ২০১৩
প্রথম পাতা » নিউজ আপডেট » বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পর্কে টানাপড়েন তৈরি হয়েছে - বিজিবি
বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পর্কে টানাপড়েন তৈরি হয়েছে - বিজিবি
মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী নাসাকার অসহযোগিতার কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পর্কে টানাপড়েন তৈরি হয়েছে। নাসাকা বাহিনীর দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ভাষাগত বৈষম্যের কারণে মিয়ানমার সীমান্তে কোনো ঘটনা ঘটলেও তাদের দিক থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের(বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ।
বুধবার দুপুরে বিজিবির সদর দফতর পিলখানায় পুনর্গঠিত বিজিবির সার্বিক দিক নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, সীমান্তে হত্যা কোনো দেশেরই কাম্য নয়। বিজিবি এ হত্যার সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। এজন্য বিজিবি বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে এবং যেসব অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে নিয়মিত আঞ্চলিক ও স্থানীয় ব্যাটেলিয়নের সঙ্গে আলোচনা করছে।
পুনর্গঠিত বিজিবির আধুনিকায়ন প্রসঙ্গে আজিজ আহমেদ বলেন, বিডিআর বিদ্রোহ ছিল আমাদের জন্য একটি কালো অধ্যায়। এ কালো অধ্যায় থেকে আমরা ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছি। বিজিবিকে শক্তিশালী করতে সৈনিক থেকে কর্মকর্তা পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সীমান্তে টহলের জন্য বিওপি পর্যন্ত ১ হাজার ৩৭৯টি মোটরসাইকেল দেওয়া হয়েছে। সৈনিকদের বিওপিগুলোতে চিত্তবিনোদনের জন্য রঙ্গিন টেলিভিশন এবং দুর্গম অঞ্চলের ১৬৫টি বিওপিতে সোলার সিস্টেম বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এখনও ৪ হাজার ৪২৭ কি.মি. সীমান্ত এলাকার মধ্যে প্রায় ৫ শ’ কি.মি. সীমান্ত অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। সেই অরক্ষিত এলাকাগুলোতে টহল জোরদারের পাশপাশি সরকারের পক্ষ থেকে সীমান্ত এলাকা চিহ্নিত করার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আঞ্চলিক দফতরের পাশাপাশি চারটি নতুন সেক্টর হেডকোয়ার্টার এবং ১১টি ইউনিট গঠনের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। বিডিআর বিদ্রোহের পরে নতুন জওয়ান নিয়োগ দিয়ে বিজিবির সদস্য সংখ্যা ৪৪ হাজার ২২৯ জন থেকে ৫০ হাজার ৬৬৮ জনে উন্নীত করা হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন নিয়োগ দেওয়া সদস্যদের উন্নত ও আধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ সৈনিক হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। এসব সৈনিক বেসামরিক প্রশাসনের পাশাপাশি যেন যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে অংশ নিতে পারেন, সে চেষ্টাও করা হচ্ছে।
বিজিবি মহাপরিচালক আরো বলেন, চোরাচালান, মাদক, অস্ত্র, নারী ও শিশু পাচার রোধে বিজিবি আগের চেয়ে আরো বেশি কাজ করে যাচ্ছে। গত সাড়ে চার বছরে সীমান্তে ২১৪ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন এবং অন্তত ৩২৩ জন আহত হয়েছেন। সীমান্তে এ হত্যাকাণ্ড কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিজিবি এ হত্যার সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। এ সময় তিনি পাচার রোধে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে বিজিবি ঢাকা সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আযম, কর্নেল রুস্তম, লে. কর্নেল জিয়াসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।