সর্বশেষ সংবাদ
ঢাকা, নভেম্বর ২৯, ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ন ১৪৩১
ICT NEWS (আইসিটি নিউজ) | Online Newspaper of Bangladesh |
মঙ্গলবার ● ২৫ জুন ২০১৩
প্রথম পাতা » নিউজ আপডেট » কর ফাঁকি দেয়া ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান ও বাড়িমালিক চিহ্নিত করছে এনবিআর
প্রথম পাতা » নিউজ আপডেট » কর ফাঁকি দেয়া ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান ও বাড়িমালিক চিহ্নিত করছে এনবিআর
৫২৩ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ২৫ জুন ২০১৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কর ফাঁকি দেয়া ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান ও বাড়িমালিক চিহ্নিত করছে এনবিআর

কর ফাঁকি দেয়া ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান ও বাড়িমালিক চিহ্নিত করছে এনবিআরশহরাঞ্চলে করযোগ্য আয় থাকার পরও দীর্ঘ সময় ধরে তা ফাঁকি দিচ্ছে, এমন প্রতিষ্ঠান ও বাড়িমালিকের তালিকা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এরই মধ্যে কর ফাঁকি দেয়া ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান ও বাড়িমালিককে শনাক্তও করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরে এদের কাছ থেকে হাজার কোটি টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করছে এনবিআরের কর অনুবিভাগ।
গত জানুয়ারি থেকে ব্যক্তিপর্যায়ের করদাতাদের রাজস্ব ফাঁকি ধরতে মাঠে নামে এনবিআর। উদ্যোগ নেয়া হয় দুই ধরনের জরিপের (অভ্যন্তরীণ ও বহিঃ)। বিদ্যুৎ, ওয়াসা, টেলিফোনসহ সেবাদানকারী সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সেবাগ্রহীতার নানা তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তথ্য নেয়া হয় আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাব থেকেও। প্রাপ্ত তথ্য এনবিআরের তথ্যভাণ্ডারের সঙ্গে যাচাই-বাছাই করে কর ফাঁকির তালিকা তৈরি করা হয়। পাশাপাশি স্থানীয় কর কার্যালয়গুলো সার্কেল কর্মকর্তাদের মাধ্যমে রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান, বনানী, বারিধারা, উত্তরা, ধানমন্ডি ও চট্টগ্রামের খুলশীতে বাড়ি-বাড়ি জরিপ পরিচালনা করে। একই সঙ্গে শপিংমলগুলোয়ও চলে বিশেষ অভিযান। সব মিলে ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান ও বাড়িমালিককে চিহ্নিত করা হয়, যাদের কোনো কর ফাইল ও কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) নেই। এসব ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতা বছরের পর বছর ২ লাখ টাকার বেশি আয় করছেন। এদের মধ্যে কারো কারো আয় কর প্রদানের সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে; কিন্তু তারা কোনো কর দিচ্ছেন না।

এনবিআরের হিসাব অনুযায়ী, সারা দেশে কয়েক লাখ বাড়িমালিক রয়েছেন, যারা করযোগ্য হওয়ার পরও সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেন। প্রাথমিক তালিকায় এমন ৩০ হাজার বাড়ি ও ২০ হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক রয়েছেন; যারা এ-যাবৎ কোনো কর পরিশোধ করেননি। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আগামী ১ জুলাই থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠান ও বাড়িমালিককে আয়কর বিবরণী জমা দিতে বলা হবে। বিবরণী অনুযায়ী সরকারের রাজস্ব পাওনা পরিশোধ না করলে মামলাসহ ব্যাংক হিসাব জব্দ করে কর আদায় করা হবে।
এ প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, রাজস্ব বাড়ানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সারা দেশে কর দিতে সক্ষম- এমন বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান শনাক্ত করা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ৫০ হাজার বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান শনাক্ত করা হয়েছে। শিগগিরই এ সংখ্যা এক লাখে পৌঁছবে। সরকারের পাওনা আদায়ে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, করযোগ্য মানুষের একটি বড় অংশ সরকারের আয়ে অবদান রাখছে না। এদের করজালের আওতায় আনা গেলে জিডিপিতে করের অবদান ২ শতাংশ বেড়ে যাবে। এরই সূত্র ধরে রাজস্ব বিভাগ অব্যাহতভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। দেশের সাত বিভাগীয় শহর, সিটি করপোরেশনসহ পৌরসভায় বাড়িমালিকদের করজালের আওতায় আনতে সক্রিয় হয় এনবিআর।

আবাসন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন রিহ্যাবের হিসাবমতে, ঢাকা ও চট্টগ্রামে কয়েক বছর ধরে গড়ে ২৫ হাজার ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হয়। এর বাইরেও রয়েছে ব্যক্তিমালিকানায় গড়ে ওঠা ফ্ল্যাট ও বাড়ি। সব মিলে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় কয়েক লাখ ফ্ল্যাট ও বাড়িমালিক রয়েছেন।
তবে রিহ্যাবের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, গত চার বছরে ২০ হাজারের মতো ফ্ল্যাট নিবন্ধন হয়েছে; যার বেশির ভাগ মালিকেরই টিআইএন রয়েছে।
এর আগেও অভিজাত এলাকায় বাড়ি-বাড়ি জরিপ পরিচালনার পদক্ষেপ নেয়া হলেও প্রভাবশালীদের চাপে পরবর্তী সময়ে তা বাতিল করা হয় উল্লেখ করে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান বদিউর রহমান বলেন, রাজস্ব আহরণ বাড়াতে আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

এদিকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে উপজেলা ও ব্যবসায়িকভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোয় স্পট অ্যাসেসমেন্ট জোরদার করেছে এনবিআর। দেশের প্রায় ১০০টি স্থানে এ স্পট অ্যাসেসমেন্ট চলছে। সেখান থেকে আরো প্রায় অর্ধলাখ নতুন করদাতা খুঁজে বের করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। মূলত ব্যবসায়িকভাবে গুরুত্বপূর্ণ উপজেলাগুলোর বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অভিজাত দোকানের মালিকদের এ স্পট অ্যাসেসমেন্টের আওতায় আনার জন্য রাজস্ব বোর্ডের স্থানীয় কার্যালয়গুলোকে একটি তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে।

স্পট অ্যাসেসমেন্ট পদ্ধতিতে করাদাতাদের নিবন্ধন, আয় নিরূপণ ও আয়কর পরিশোধের জন্য তাত্ক্ষণিক সেবা দেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট আয়কর কর্মকর্তারা করদাতাদের ব্যবস্যা কিংবা পেশাস্থলে হাজির হয়ে এ সেবা দেবেন। যেসব ব্যবসায়িক করদাতার মূলধন অনধিক ১০ লাখ টাকা, তাদের এর আওতায় আনা হবে। আর যেসব চিকিত্সক ও আইনজীবী অনধিক ১০ বছর পেশায় নিয়োজিত, তারা এ পদ্ধতির আওতায় রিটার্ন দাখিল ও কর পরিশোধ করতে পারবেন। এ পদ্ধতির সুযোগ গ্রহণকারী করদাতারা পরবর্তী দুই বছর একই পরিমাণে কর দেয়ার সুযোগ পাবেন। এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে উপস্থিত থেকে অ্যাসেসমেন্ট পরিচালনা করছেন। যেসব জায়গায় রাজস্ব বোর্ডের কোনো কার্যালয় নেই, সেখানে বিশেষ বুথ করে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, ব্যবসার ক্ষেত্রে মূলধনের সীমা ৮ লাখ টাকা হলে সেক্ষেত্রে ২ হাজার টাকা আর ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা হলে তাদের ৪ হাজার টাকা আয়কর দিতে হবে। অন্যদিকে চিকিত্সক ও আইনজীবীদের পাঁচ বছর পর্যন্ত ২ হাজার এবং পাঁচ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত ৪ হাজার টাকা দিতে হবে।



পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
আইটি দক্ষতা উন্নয়নে বেসিস ও সিসিপ এর মধ্যে চুক্তি
নারী সাংবাদিক এবং মানবাধিকারকর্মীদের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপে ক্যাসপারস্কি’র নতুন ফিচার
‘সংবিধানে ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার ও ডাটা সুরক্ষা অন্তর্ভুক্তি’ বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত
যাত্রা শুরু করলো তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্লাটফর্ম ‘ইউনেট’
সপ্তাহব্যাপী ‘পিক-আপ’ ক্যাম্পেইনে ফুডপ্যান্ডা দিচ্ছে বিশেষ ছাড় ও ভাউচার
ফ্যাশন ও স্থায়িত্বে জেন-জি দের পছন্দ ইনফিনিক্স হট ৫০সিরিজ
স্পার্ক গো ওয়ানের নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এলো টেকনো
প্রিয়শপ কো-ব্র্যান্ডেড ক্রেডিট কার্ড জিতলো মাস্টারকার্ড এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪
এআই ও অটোমেশনের অগ্রগতিতে একসাথে কাজ করবে গ্রামীণফোন ও এরিকসন